দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট নিয়ে ইসির সংশয়

আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন না পেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা নির্বাচন কমিশন এখনো জানে না। এগুলো দেখার পর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রকল্প অর্থনৈতিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কত টাকা দিতে পারবে, তার উপর এটি নির্ভর করে।’
বুধবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) পরিকল্পনা কমিশন ওই প্রকল্প প্রস্তাবের ব্যয় যৌক্তিক করার পরামর্শ দেয়।
ইসি আলমগীর বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর কার্যাদেশ দেওয়া, এলসি খোলা, যন্ত্রাংশ দেশে আনা, মান পরীক্ষা করা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ, ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা, মাঠে পাঠানো-এ কাজগুলো করতে হবে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন না হলে নতুন ইভিএম জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইভিএমের যে ব্যয়, তার অধিকাংশই বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে। যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে, সে হিসাবে পরিকল্পনা কমিশন কতটুকু পারবে, সেসব দেখে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে কী করা উচিত, যোগ করেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল না। তারা প্রস্তাব পাঠানোর পর বুঝতে পেরেছেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে।
এমএমএ/
