'বঙ্গবন্ধুর জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলব চিহ্নিত হওয়া দরকার'

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এখন জাতির দাবি, এহত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে; কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারিনি। বিচার করতে পারিনি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি আমরা জানতে চাই-আগামি প্রজন্ম জানতে চায়-এত বড় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তারা চিহ্নিত হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাহস না দেখায়।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী’ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ৩রা নভেম্বর হত্যাকাণ্ড। মূলত তারা এসব হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করলে কেউ আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে না। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলবে না, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আবার পাকিস্তানের ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ও সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুজিব আদর্শের যারা ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।
তিনি বলেন, জেলখানা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সে নিরাপদ জায়গায় হত্যার শিকার হয়ে ছিলেন জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল তারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। ৩ নভেম্বর জেলখানায় তারা এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে।
এ সময় শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শেহরিন সেলিম রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদুল আসাদ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এএস
