জেলহত্যা দিবস: জাতীয় নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জেলহত্যা দিবসে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত শহীদ এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যার শিকার বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে এদিন সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বনানীতে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীতে রয়েছে আরেক জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধি।
আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এ চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করবে।
আরএ/
