আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক: ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে তিরস্কার

আওয়ামী লীগ নেতাকে বেআইনিভাবে আটকসহ বিভিন্ন অপরাধে পুলিশের এক অতিরিক্ত ডিআইজি ও তিন পুলিশ সুপারকে (এসপি) দণ্ড দিয়েছে সরকার।
এ কারণে এক অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৩ এসপিকে তিরস্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানান, এসব অভিযোগের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, জুয়া থেকে অর্থ আদায়, আওয়ামী লীগ নেতাকে বেআইনি আটকসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে এ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী দণ্ড হিসেবে পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে তিরস্কার ও এক কর্মকর্তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরপাত্তা বিভাগ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ঊর্ধ্বতন এ চার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন-পুলিশ সদর দপ্তরে (সাময়িক বরখাস্ত) সংযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি (এর আগে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কাজী মো. ফজলুল করিম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মিজানুর রহমান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পু্লিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (যশোরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মো. সালাউদ্দিন শিকদার।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন: পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত রয়েছেন।
এর আগে তিনি চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অধীনস্থ এক এসআইয়ের স্ত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান।
এ ছাড়া প্রায় রাতেই মদ্যপান করে বাসায় ফিরতেন। অভিযোগকারী মিসেস নওশিনের (ছদ্মনাম) জানান, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং যৌতুকের দাবি করেছেন সাখাওয়াত হোসেন। এ অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চারটি মামলা করা হয়েছে।
কেএম/এমএমএ/
