শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘৫০ বছর যাবৎ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত ৫০ বছর যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি’র ছেলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়র আশা প্রকাশ করেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ‘Commemorating the 50th Anniversary of US Bangladesh Relations’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা প্রদান তিনি এ কথা বলেন।

কেনেডি জুনিয়র বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যা সম্পর্কে আমাদের অনেক গল্প শুনিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭১ সালে ভারতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেছিলেন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পিতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়রকে ধন্যবাদ জানান।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, সেসময় বাংলাদেশের পক্ষে তিনি আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডির বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. পিটার ডি হাস এবং কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাচি মিস শার্লিনা, মরণান-হুসেন বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বেলা সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতার লাগানো ‘বট বৃক্ষ’ পরিদর্শন করেন এডওয়ার্ড এম কেনেডির পুত্র এডওয়ার্ড এম কেনেডি, জুনিয়র। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ড. ক্যাথেরিন ‘কিকি’ কেনেডির (স্ত্রী), টেডি কেনেডি (ছেলে), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি) ও ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।

কেনেডি জুনিয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমার বাবা ১৯৭২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বটগাছের চারা রোপণ করেছিলেন। বটগাছটি দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আগামীদিনেও এই গাছ ভবিষ্যৎ প্রজন্যের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন বহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছামাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামন কেনেডি পরিবারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর রিকশা যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা রিকশা যোগে সপরিবারে ঘুরে দেখেন তারা।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সম্মুখ সংগ্রাম ও প্রতিবাদের প্রতীক বটতলার ‘বটগাছ’ উপড়ে ফেলে পাকিস্তানি হানাদাররা। সেই স্থানেই দেশ স্বাধীনের তিন মাস পর বাহাত্তরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে, উপড়ে ফেলা সেইস্থানেই বটগাছ লাগান এডওয়ার্ড এম কেনেডি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটগাছ যেভাবে ‘কেনেডির বটগাছ’ হয়ে উঠল: মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সরকার যখন পাকিস্তানি শাসকদের পক্ষ নিয়ে রাজনৈতিক ও অস্ত্র সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন এর বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলেছিলেন প্রয়াত যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি। যুদ্ধকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) আসার অনুমতি পান নি। অনুমতি না পেলেও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনমত গঠন করেছিলেন কেনেডি।

গণহত্যার বিরুদ্ধে নিজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে অনেক মানুষ মুক্তিকামী বাঙালির পক্ষে অবস্থান নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের প্রস্তাবও উঠেছিল মার্কিন কংগ্রেসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের তিন মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসেন টেড কেনেডি। ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আয়োজনে শিক্ষার্থী ও জনতা এক সমাবেশে অংশ নেন তৎকালীন মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডি।

এ সময় সিনেটর টেড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে কিছু সরকার আপনাদেরকে এখনো চিনতে পারেনি, তবে বিশ্বের মানুষ আপনাদেরকে চিনেছে এবং অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আপনারা এখানে যা করেছেন তা বিশ্ববাসী স্বীকার করে।’

পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা থেকে
‘বটবৃক্ষ’ হানাদার যেইস্থান থেকে বটবৃক্ষ উপড়ে ফেলে সেখানেই আরেকটি বটবৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়। আজকের যে দরিদ্র আকৃতির বটগাছটি দেখা যায়, সেটির চারা রোপণ করা হয় বাহাত্তরের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে; যা আজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৯ অক্টোবর) কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সপরিবারে ঢাকায় এসেছেন কেনেডি জুনিয়র। আট দিনের ঐতিহাসিক এ সফরে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন তারা।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেউ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়, তবে দেশের মানুষ তাকে কঠোর হস্তে দমন করবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর পল্টন ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে রমজানুল মোবারক উদযাপন করছে। অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলো সফল হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। ইসলামবিরোধী কোনো কালচারকে এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে একজন রূপান্তরিত পুরুষকে অদম্য নারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া দেশের কৃষ্টি-কালচারের অবমাননা।

মামুনুল হক নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনি ব্যবস্থার শক্তিশালী করার দাবি জানান। এছাড়াও তিনি অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মাগফিরাত কামনা করেন।

ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২টি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক
সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা