যুদ্ধ বন্ধ করে মানুষকে সুন্দরভাবে বাঁচতে দেওয়ার আহ্বান

যুদ্ধাংদেহি ভাব নিয়ে যেসব দেশ রাস্তায় নেমেছে তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। জীবন মান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।'
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন “পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন” অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চু্য়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন। পায়রা বন্দর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী অংশে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকট চলছে। বাংলাদেশ এই সংকটের বাইরে নয়। একদিকে করোনা অতিমারির প্রভাব। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ রাশিয়া
-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে আজকে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী, তারা কষ্টে আছে। কারা লাভবান হচ্ছে জানি না। হয়তো লাভবান হচ্ছেন যারা অস্ত্র ব্যবসা করেন, বা অস্ত্র বানান। কিন্তু সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার আবেদন থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। জীবন মান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। উন্নত বিশ্বগুলো যারা যুদ্ধাংদেহি ভাব নিয়ে পথে নেমেছেন তাদের কাছে আমার এই আবেদনটা থাকল। আমি চাই মানুষ বাঁচুক, সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এই অস্থিরতা বন্ধ হোক। যেন শান্তির সুবাতাস বয়ে যেতে পারে মানুষের জীবনমান উন্নত হতে পারে সেটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই বন্দরটা এক সময় গভীর সমুদ্র বন্দরে উন্নত করতে পারব।
পায়রা বন্দরের কাজ রিজার্ভের টাকা থেকে করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বা ২ শতাংশ দিতে হবে। ঘরের টাকা ঘরেই থাকবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন রিজার্ভের টাকা কেন খরচ হচ্ছে বা রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়। যারা এই প্রশ্নগুলো তোলেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? তাদের বলছি রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি। এটা মানুষের কাজেই লাগছে, মানুষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিতে বিভিন্ন কাজে আমরা কাজে লাগাচ্ছি। বেলজিয়াম সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এসএম/এসএন
