শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশে গুমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য

জাতিসংঘ বাংলাদেশে ‘জোর করে গুমের’ শিকার ৭৬ ব্যক্তির যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেটি আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তালিকায় থাকা ৭৬ জনের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে বসবাস করছে আবার তালিকাতে পলাতক আসামির নামও রয়েছে। এ কারণে যেই এনজিওগুলোর উপর নির্ভর করে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে সেই এনজিওসহ প্রশ্ন উঠছে খোদ জাতিসংঘের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে।

অনেক বিশেষজ্ঞ এমনও মন্তব্য করছেন, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতিত্ব করা এনজিওগুলোর উপর জাতিসংঘের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাই এ ধরনের ভুলের জন্য দায়ী।

বাংলাদেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রকাশিত তালিকায় মণিপুর-ভিত্তিক চরমপন্থি গ্রুপ ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (ইউএনএলএফ) চেয়ারম্যান সানায়াইমা রাজকুমারের নাম রয়েছে। যিনি মণিপুরের শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। তিনি ভারতে নির্দিষ্ট সময় জেল খেটে বর্তমানে বাংলাদেশে তার পৈতৃক বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন।

ইউএনএলএফ চেয়ারম্যান যার আসল নাম রাজকুমার মেঘেন (সানাইয়ামা তার দলের উপনাম) বিএনপি-জামাত শাসনামলে এবং সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে সক্রিয় হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বিদ্রোহীরা যেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য দীর্ঘ অভিযান চালান। এ সময় রাজকুমার মেঘেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নেপালে আশ্রয় নেন। এ সময় বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে।

‘ভারতে বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর' জন্য তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর গুয়াহাটির কারাগার থেকে মুক্তি পান রাজকুমার মেঘেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৮ বছর। তিনি এখন তার স্ত্রী ইবেংমুন্সি দেবী, ছেলে মেই চিংলেন এবং পুত্রবধূ বৃন্দার সঙ্গে তার পৈতৃক বাড়িতে থাকেন। তার নামও রয়েছে জাতিসংঘের এই গুম হওয়া মানুষের তালিকায়।

প্রশ্ন হলো— জাতিসংঘের একটি গ্রুপ কীভাবে এত বড় ভুল করতে পারে? উত্তরটি সহজ— তারা শুধুমাত্র স্থানীয় বাংলাদেশ-ভিত্তিক এনজিওদের দ্বারা সরবরাহকৃত গুমের ঘটনাবলীকে তথ্য যাচাই না করেই প্রকাশ করেছে।

২০১০ সালে কিছু অপ্রমাণিত মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেঘেনকে বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এবং নীরবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে অভিযোগ সে সময় ঢাকা ও দিল্লি উভয়ই অস্বীকার করে। মেঘেন, তার বিচারের সময় বিহারে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এই তথ্যের বিরোধিতা করেননি। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যান তিনি এবং মণিপুরে তার যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র পাচার করেছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে আসার চেষ্টাও করেন তিনি।

জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদনে কেইথেল্লাকপাম নবচন্দ্র ওরফে চিলহেইবাকে বাংলাদেশে গুমের শিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নবচন্দ্র ইউএনএলএফ সশস্ত্র শাখার একজন 'প্রধান'। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তথ্যমতে, ২০১৫ সালে ডাউকির কাছে সিলেট-মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় গ্রেপ্তার করা হয় চিলহেইবাকে।

মণিপুরের কিছু স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে নবচন্দ্রকে ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং নীরবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে অভিযোগ ভারত সরাসরি অস্বীকার করেছে। নবচন্দ্রকে ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ মণিপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং এখন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, সশস্ত্র উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের অংশ।

এ বিষয়ে লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, 'ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের পাশাপাশি এই বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছিল বিএনপি-জামাত সরকার। আর এ কারণে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সম্ভবত বিরক্ত। তাই তারা হাসিনা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য মেঘেন এবং নবচন্দ্রের মতো লোকদের জোরপূর্বক গুমের শিকার হিসেবে পাশ কাটিয়ে যেতে শুরু করে।'

প্রকৃতপক্ষে, জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ তথ্যের জন্য, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান খান শুভ্র দ্বারা পরিচালিত অধিকারের মতো বিতর্কিত এনজিওর ওপর নির্ভরশীল ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অন্যান্য অনুরূপ সংস্থাগুলিও বিচার চলাকালীন স্ব-স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে 'ওকালতি' এর জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।

এমনকি যখন উগ্রপন্থী হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মেয়েদের শিক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল এবং পশ্চিমাদেরকে 'কাফের' বা 'নাস্তিক' বলে আখ্যায়িত করে তাদের ক্যাডাররা ২০১৩ সালে ঢাকার রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দেয়া হলে অধিকার 'বহু হতাহতের' তথ্য প্রকাশ করে, যা শেষ পর্যন্ত মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, 'কিন্তু মেঘেনের মতো এই ধরনের বানোয়াট গুমের তথ্য গ্রহণ করা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের জন্য নিছক লজ্জাজনক। বিদ্রোহী নেতা যখন ভারতে গ্রেপ্তারের পর বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তখন তারা কীভাবে কাউকে নিখোঁজ হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে পারে সে সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। মেগান বা নবচন্দ্র কেউই কোনো বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেননি। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তারা অস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে ফিরে আসে। তাহলে কীভাবে জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা এই বিষয়ে আওয়াজ তোলে, যখন তাদের দুজনেরই ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে?

গত ডিসেম্বরে জেনেভায় এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বলে, বাংলাদেশে ৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রুপটি গুমের মামলাগুলো তদন্তেরও আহ্বান জানায়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরএ/

Header Ad

ঢাকায় কনসার্ট করবেন পাকিস্তানের রাহাত ফাতেহ আলী খান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান ঢাকায় আসছেন। জুলাই-আগাস্টের ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে ঢাকায় বিনা পারিশ্রমিকে ‘চ্যারিটি কনসার্ট’ করবেন তিনি।

আয়োজকদের পক্ষথেকে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কনসার্ট থেকে অর্জিত অর্থ যাবে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে।

শুক্রবার বিকেলে ৪টায় (২৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কনসার্টটির আয়োজক ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামক এক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আগামী ২১ ডিসেম্বর ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই।’

এই কনসার্টের জন্য এরই মধ্যে রাহাত রাহাত ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা।

পাকিস্তানের এই শিল্পী ছাড়াও কনসার্টে গান পরিবেশন করবে দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র‌্যাপার সেজান এবং হান্নান।

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ইকোস অব রেভ্যুলেশন শিরোনামে চ্যারিটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad

বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তার ওপর হামলা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০/১১/২০২৪) দুপুরে দুপুরে নূরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ছাত্র তার ওপর হামলা চালান

ভুক্তভোগী বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে নেন পরিচালক।

তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক এই সংস্কৃতি মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ

ভয়েস অব আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।

গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে।

মাত্র ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে।

জরিপে ১,০০০ উত্তরদাতাকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলের সাথে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়।
বাংলাদেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের জন্য এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। উত্তরদাতাদের মধ্যে সমানসংখ্যার নারী ও পুরুষ ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায়, তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা সূফী সাধকদের আস্তানা ও মাজার সমূহের ওপর।

বাংলাদেশের এক মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আবার শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেও তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের আবাসস্থলে আক্রমণ হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভিন্নমত প্রকাশকারীরা যে বরাবরই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, সেদিকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, কোনো সরকার তাদের অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপের ফলাফলে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে কিছুটা তফাত লক্ষ করা গেছে।

মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে খারাপ। কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে খারাপ করছে।

জরিপে দেখা গেছে, মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এই ধারণার সঙ্গে একমত।

 

 

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় কনসার্ট করবেন পাকিস্তানের রাহাত ফাতেহ আলী খান
বিএসএমএমইউতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর আহত শিক্ষার্থীদের হামলা
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আগের তুলনায় বেশি ‘নিরাপত্তা’ পাচ্ছে: জড়িপ
এক মাস পর আবারও উৎপাদনে ফিরলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা
লোডশেডিংয়ে ২০ মিনিট বন্ধ ছিল আতিফ আসলামের কনসার্ট
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
বাংলাদেশী রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করলো কলকাতা
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব
‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক
সিরিজ রক্ষার মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম