বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশে গুমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য

জাতিসংঘ বাংলাদেশে ‘জোর করে গুমের’ শিকার ৭৬ ব্যক্তির যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেটি আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তালিকায় থাকা ৭৬ জনের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে বসবাস করছে আবার তালিকাতে পলাতক আসামির নামও রয়েছে। এ কারণে যেই এনজিওগুলোর উপর নির্ভর করে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে সেই এনজিওসহ প্রশ্ন উঠছে খোদ জাতিসংঘের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে।

অনেক বিশেষজ্ঞ এমনও মন্তব্য করছেন, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতিত্ব করা এনজিওগুলোর উপর জাতিসংঘের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাই এ ধরনের ভুলের জন্য দায়ী।

বাংলাদেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রকাশিত তালিকায় মণিপুর-ভিত্তিক চরমপন্থি গ্রুপ ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (ইউএনএলএফ) চেয়ারম্যান সানায়াইমা রাজকুমারের নাম রয়েছে। যিনি মণিপুরের শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। তিনি ভারতে নির্দিষ্ট সময় জেল খেটে বর্তমানে বাংলাদেশে তার পৈতৃক বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন।

ইউএনএলএফ চেয়ারম্যান যার আসল নাম রাজকুমার মেঘেন (সানাইয়ামা তার দলের উপনাম) বিএনপি-জামাত শাসনামলে এবং সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে সক্রিয় হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বিদ্রোহীরা যেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য দীর্ঘ অভিযান চালান। এ সময় রাজকুমার মেঘেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নেপালে আশ্রয় নেন। এ সময় বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে।

‘ভারতে বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর' জন্য তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর গুয়াহাটির কারাগার থেকে মুক্তি পান রাজকুমার মেঘেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৮ বছর। তিনি এখন তার স্ত্রী ইবেংমুন্সি দেবী, ছেলে মেই চিংলেন এবং পুত্রবধূ বৃন্দার সঙ্গে তার পৈতৃক বাড়িতে থাকেন। তার নামও রয়েছে জাতিসংঘের এই গুম হওয়া মানুষের তালিকায়।

প্রশ্ন হলো— জাতিসংঘের একটি গ্রুপ কীভাবে এত বড় ভুল করতে পারে? উত্তরটি সহজ— তারা শুধুমাত্র স্থানীয় বাংলাদেশ-ভিত্তিক এনজিওদের দ্বারা সরবরাহকৃত গুমের ঘটনাবলীকে তথ্য যাচাই না করেই প্রকাশ করেছে।

২০১০ সালে কিছু অপ্রমাণিত মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেঘেনকে বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এবং নীরবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে অভিযোগ সে সময় ঢাকা ও দিল্লি উভয়ই অস্বীকার করে। মেঘেন, তার বিচারের সময় বিহারে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এই তথ্যের বিরোধিতা করেননি। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যান তিনি এবং মণিপুরে তার যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র পাচার করেছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে আসার চেষ্টাও করেন তিনি।

জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদনে কেইথেল্লাকপাম নবচন্দ্র ওরফে চিলহেইবাকে বাংলাদেশে গুমের শিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নবচন্দ্র ইউএনএলএফ সশস্ত্র শাখার একজন 'প্রধান'। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তথ্যমতে, ২০১৫ সালে ডাউকির কাছে সিলেট-মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় গ্রেপ্তার করা হয় চিলহেইবাকে।

মণিপুরের কিছু স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে নবচন্দ্রকে ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং নীরবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। যে অভিযোগ ভারত সরাসরি অস্বীকার করেছে। নবচন্দ্রকে ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ মণিপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং এখন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, সশস্ত্র উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের অংশ।

এ বিষয়ে লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, 'ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের পাশাপাশি এই বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছিল বিএনপি-জামাত সরকার। আর এ কারণে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সম্ভবত বিরক্ত। তাই তারা হাসিনা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য মেঘেন এবং নবচন্দ্রের মতো লোকদের জোরপূর্বক গুমের শিকার হিসেবে পাশ কাটিয়ে যেতে শুরু করে।'

প্রকৃতপক্ষে, জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ তথ্যের জন্য, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর রহমান খান শুভ্র দ্বারা পরিচালিত অধিকারের মতো বিতর্কিত এনজিওর ওপর নির্ভরশীল ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অন্যান্য অনুরূপ সংস্থাগুলিও বিচার চলাকালীন স্ব-স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে 'ওকালতি' এর জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।

এমনকি যখন উগ্রপন্থী হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মেয়েদের শিক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল এবং পশ্চিমাদেরকে 'কাফের' বা 'নাস্তিক' বলে আখ্যায়িত করে তাদের ক্যাডাররা ২০১৩ সালে ঢাকার রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দেয়া হলে অধিকার 'বহু হতাহতের' তথ্য প্রকাশ করে, যা শেষ পর্যন্ত মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, 'কিন্তু মেঘেনের মতো এই ধরনের বানোয়াট গুমের তথ্য গ্রহণ করা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের জন্য নিছক লজ্জাজনক। বিদ্রোহী নেতা যখন ভারতে গ্রেপ্তারের পর বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তখন তারা কীভাবে কাউকে নিখোঁজ হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে পারে সে সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। মেগান বা নবচন্দ্র কেউই কোনো বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেননি। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তারা অস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে ফিরে আসে। তাহলে কীভাবে জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা এই বিষয়ে আওয়াজ তোলে, যখন তাদের দুজনেরই ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে?

গত ডিসেম্বরে জেনেভায় এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বলে, বাংলাদেশে ৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রুপটি গুমের মামলাগুলো তদন্তেরও আহ্বান জানায়। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে টিভি দেখার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মমিনুর ইসলাম (৫৪) নামে একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মমিনুর ইসলামকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের দিওড় উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মমতাজুল হক। আটককৃত মমিনুর ইসলাম(৫৪) উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের দিওড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টিভি দেখার কথা বলে হাত ধরে প্রতিবেশির সাত বছরের দুই শিশুকে ডেকে তার নিজের ঘরে নিয়ে যায় এবং ঘরের জানালা দরজা লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত মমিনুর ইসলাম (৫৪)। একপর্যায়ে সাত বছরের ওই দুই শিশুকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ভয়ে ওই দুই শিশু চিৎকার করলে অভিযুক্ত তাদের হুমকি দেয় যে, এবিষয়ে কাউকে কিছু বললে তোদের গলা টিপে মেরে ফেলবো। পরে ওই দুই শিশু মায়ের কাছে এসে কান্নাকাটি করলে তাদের মা জিজ্ঞেস করে তোদের কী হয়েছে? তখন শিশু দুইটি ঘটনার বর্ণনা দেয়। বিষয়টি ধীরে ধীরে গ্রামে জানাজানি হলে অভিযুক্ত কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিরামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পরে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে ওই দুই শিশু দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মমিনুর ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার রাতেই আদালতের মাধ্যমে তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাকচাপায় কারখানা শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে তারা আন্দোলন শুরু করেন। এর কিছু সময় পর তারা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস্ লিমিটেড কারখানার শ্রমিক জান্নাতুল ফেরদৌস তামান্নার (৩২) বাচ্চা অসুস্থ থাকায় গতকাল রাত ৯টার দিকে এপিএম মতিউর রহমানের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ছুটি না দিয়ে তামান্নাকে কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিচয়পত্র রেখে বিদায় করে দিলে তিনি বাড়ি চলে যান। বুধবার কারখানায় আসার পথে ৫টা ৪০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এর প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

তারা আরও জানান, ঘাতক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নিহত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ঘটনাস্থলে শিল্পপুলিশের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আমরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া  

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে ধাওয়া দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে তাকে একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ধাওয়াকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন নিয়েও সমালোচনা করে সম্প্রতি শহীদুল ইসলাম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

এদিন বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনে ভর্তিসংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নেন সব বিভাগীয় সভাপতি। এতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন জানতে পেরে একদল শিক্ষার্থী সভাস্থলের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আওয়ামীপন্থি অন্য শিক্ষকরা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে যান।

তবে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে করে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাকে পেছন থেকে কিছু শিক্ষার্থী ধাওয়া দিলে দ্রুত তিনি নিজের অফিস রুমে চলে যান। ধাওয়াকারীরা বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের সামনে গিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘তার (শহীদুল ইসলাম) বিরুদ্ধে বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপাতত কিছুদিন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ থাকবেন বলে মনে করছি। তাই তাকে বাইরে পৌঁছে দিলাম।’

ধাওয়াকারীদের অভিযোগ, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। ওই সময় শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনও আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চলিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে গত ৭ মার্চেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট করেন তিনি।

এ বিষয়ে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম ৫ মার্চ পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নামে। মুসলিম লীগ নেতা শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিলেন। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক
ট্রাকচাপায় কারখানা শ্রমিক নিহত, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া  
বাংলাদেশ ফুটবল দলে হামজা ছাড়াও আরেক চমক ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহামিদুল
একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে: আযম খান
গুম, খুন, আয়নাঘরের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ : হাসনাত আব্দুল্লাহ  
ফিতরা হিসাব করবেন কিভাবে?    
স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা ভালো রাখার ১০ উপায়  
জেমস লাইভ ইন ডালাস; যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন জেমস  
এসিস্টের পর ইফতার, এসেই গোল, রোজা রেখে দুর্দান্ত লামিন ইয়ামাল  
পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত  
গণজাগরণ মঞ্চের লাকিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে শাহবাগে ঢাবি শিক্ষার্থীরা  
শামীম ওসমানসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা  
ট্রাম্পের কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন জেলেনস্কি
বেনাপোল পুটখালী সীমান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় বিজিবি সদস্য নিহত
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে কোচিং-প্রাইভেট নিষিদ্ধ  
হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষের হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২    
দেশের ভালোর জন্য যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে: তারেক রহমান  
একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা লিখছে না : মির্জা আব্বাস  
যে কারণে এমএজি ওসমানীকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া যাচ্ছে না