'আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে'
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দেশকে ভালোবেসে সর্বোচ্চ দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকে। শুধু মাস শেষে একটা বেতন পাবে, সেজন্য দায়িত্ব পালন করে না, তাদের হৃদয়ে দেশের জন্য ভালোবাসা আছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সুন্দরবনে র্যাব অপারেশন শুরু করলো, আর সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়ে গেল বিষয়টা কিন্তু এরকম নয়। এজন্য অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে, ঘাম ঝরাতে হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে আইজিপি আরো বলেন, আমি দেখেছি কি মমত্ববোধ নিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করেছে। কারও হাত উড়ে গেছে, পা হারিয়েছে। কিন্তু কখনো দায়িত্ব থেকে তারা পিছপা হয়নি। র্যাব সদস্যরা দেশকে জঙ্গি মুক্ত করেছে, সন্ত্রাসমুক্ত করেছে, সুন্দরবনকে বনদস্যু মুক্ত করেছে। তারা তাদের জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করতে পিছপা হননি। মহাপরিচালক হিসেবে আমার নির্দেশে তারা জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেছে।
'অপারেশন সুন্দরবন' সিনেমার পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচালক দীপংকর দীপনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ও তার টিম তিন মাস সুন্দরবনে অবস্থান করেছেন, গবেষণা করেছেন, আমাকে ৭০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তখন আমার মনে হয়েছে, তিনি পারবেন। পরে তাকে সিনেমাটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আইজিপি বলেন, সুন্দরবনের বনদস্যুরা আজ সমাজের মূলধারায় মিশে আছে। তারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছে, তারা ভালো আছে। এটা একটা ইউনিক কার্যক্রম। এ ধরনের কার্যক্রম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিশ্বের কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। যেভাবে আমরা জঙ্গিবাদ দমন করেছি এটাও একটা ইউনিক মডেল।
তিনি বলেন, সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হওয়ার ফলে এ অঞ্চলের ২৫ লাখ মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছে। ব্রাজিল আমাজানের বন থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। সুন্দরবনে যে শান্তির সুবাতাস বইছে আমরাও এখান থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারব। তিনি বলেন, সুন্দরবন বনদস্যু মুক্ত হওয়ার ফলে এখানে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, হরিণের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে র্যাব সদস্যরা কোনো ঘটনায় আহত বা নিহত হলে মিডিয়া বা অন্যরা তেমন একটা খোঁজ খবর নেয় না। আমরা দেশে শান্তি রাখতে এবং দেশের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। র্যাবের প্রতিটা সদস্যদের মধ্যে যথেষ্ট দেশ প্রেম রয়েছে, সেই দেশ প্রেম নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
কেএম/এএস