কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলী গ্রেফতার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইশা খা হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, মামলা হওয়ার পর মেয়র আব্বাস আলী রাজধানীর ইশা খা হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আব্বাস আলীকে আটক করা হয়।
আব্বাস আলী দেশ ত্যাগের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তার কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তার দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমে যে বক্তব্য প্রচার হয়েছে, সেটা মেয়র আব্বাসেরই বক্তব্য। তিনি সেটা আমাদের জানিয়েছেন।’ তবে কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি ওই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, মেয়র তাদের এমন কিছু জানাননি বলেও দাবি করেন কমান্ডার মঈন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন আব্বাস আলী। এ সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওর কণ্ঠ নিজের বলে স্বীকার করেছেন আব্বাস আলী।
পরে গত ২৬ নভেম্বর ফেসবুক লাইভে এসে আব্বাস আলী দাবি করেন, স্থানীয় একটি মাদরাসার বড় হুজুরের পরামর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি ম্যুরাল না রাখার বিষয়টি কথাচ্ছলে বলেছিলেন। এটা তিনি ভুল করেছেন বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষমা চান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওটি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইতিমধ্যে কাটাখালী পৌরসভার কাউন্সিল ও পৌর আওয়ামী লীগ এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। আব্বাস আলীকে অপসারণে অনাস্থা এনেছেন কাউন্সিলররা। এ অনাস্থা প্রস্তাবসংবলিত অপসারণের আবেদনপত্র ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন কাউন্সিলররা। আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বে আছেন।
/এনএইচ/এসআইএইচ/এসএ/