সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ নীতি সত্য প্রকাশ করা: আরেফিন সিদ্দিক
সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ নীতি সত্য প্রকাশ করা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাসসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বুধবার মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে ঢাকাপ্রকাশ-এর শুভ উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত আছেন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক, লেখক, কবি-সাহিত্যিক, অভিনয়শিল্পী, সংগীত শিল্পী ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিগণ।
বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ ঢাকাপ্রকাশ-কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'ঢাকাপ্রকাশ-এর স্লোগান 'সততাই শক্তি সুসাংবাদিকতায় মুক্তি'। সততা শেষ পর্ন্ত জয়ী হয়। সত্য অবিনাশি। বিনাশ নেই। প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেছেন, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। কিন্তু এটা তো সাংবাদিকতায় মুক্তি হওয়া উচিত ছিল। কেন সু শব্দটি যুক্ত করা হলো? কারণ আমরা একবিংশ শতাব্দীতে উত্তর সত্য যুগে বসাবস করছি।'
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'এ যুগে সত্য নির্বাসিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন বিকল্প সত্য। এগুলো সাংবাদিকতাকে কলুষিত করেছে। সাংবাদিকতার একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সত্যনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন।'
সত্য প্রকাশে বিপদ থাকে মন্তব্য করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, 'সত্য প্রকাশ করতে হবে। সত্যে নানা বাধা আসবে। শেষ পর্য়ন্ত আদালতেও যদি গড়ায় তবে দেখবেন সত্য প্রকাশ করার কারণে আপনি আদালতেও জয়ী হয়ে আসবেন।'
সততা ও সুসাংবাদিকতা চর্চার ব্রত নিয়ে এগুতে চায় ঢাকাপ্রকাশ। এজন্য বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কর্মরত আছেন একঝাঁক তরুণ ও মেধাবী সাংবাদিক।
গত ১ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাপ্রকাশের লোগো উন্মোচন করা হয়। সাতজন বিশিষ্ট সম্পাদক ঢাকা প্রকাশের লোগো উন্মোচন করেন। এরপর থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক বিশিষ্টজন ঢাকাপ্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারা নিয়ে এসেছে ঢাকাপ্রকাশ। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়াা নিউজ পোর্টাল। টেক্সট নিউজের পাশাপাশি পোর্টালটিতে থাকছে অডিও এবং ভিডিও নিউজ। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে থাকছে টকশো।
এছাড়া থাকবে ই-পেপার। প্রতিদিনের সংবাদ দিয়ে দিন শেষে হবে ই-পেপার। পাঠক ছাপা পত্রিকার স্বাদ পাবে ঢাকাপ্রকাশের ই-পেপারে।
আরইউ/এএন