সমুদ্রে মাছ ধরা নৌযানকে একই রং করার নির্দেশ
সমুদে মাছ ধরার কাজে ট্রলার, জাহাজ, ও বোটসহ যেসব নৌযান নিয়োজিত সেগুলোকে একটা কালার করে নাম্বার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে আইডেন্টিফাই করা যায়। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকে শৃঙ্খলায় আনতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ এর খসড়া অনুমোদনের সময় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন। অপরদিকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ২০টা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কে কী কাজ করবেন সেটা নীতিমালাতে বলে দেওয়া হয়েছে। যাতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে একটা নিয়মে আনা যায়।
তিনি জানান, সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত নৌযানগুলোর রেজিস্ট্রেশন দ্রুততম সময়ে করা বেশ কঠিন। তাই দ্রুত একটা কালার দিয়ে আইডেন্টিফাই করা। অন্যথায় মায়ানমারের কিছু নৌকা আমাদের এখানে ঢুকে যাচ্ছে। ১০-২০ হাজার নৌকার মধ্যে যদি একটা নৌকা ঢুকে যায় তাকে আইডেন্টিফাই করা কঠিন।
তিনি বলেন, ভারতীয় নৌযানগুলোর কালার, নাম্বার ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার আছে।
বৈঠকে মৎস্যসচিব জানিয়েছেন, নৌযানগুলোর নাম্বার ফেলা হচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রিসভা বলেছে, নাম্বার নয়, নৌযানগুলোকে আগে দ্রুত একই রংয়ের করে দেওয়া হোক। লাল, সবুজ বা যে রং কমেফোর্টেবল হয় সে রকম একটা রং করে দিতে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমার ধারণা সমুদ্রে মাছ আহরণের জন্য কমপক্ষে ১০ হাজার নৌযান আছে।
এনএইচবি/এমএমএ/