সংলাপ
ইভিএম নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে: ওয়ার্কার্স পার্টি
নির্বাচন সামরিক বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না এটা নির্বাচন কমিশনকে ক্লিয়ার করতে বলেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেটি ক্ষমতা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না? সামরিক বাহিনী যদি মোতায়েন করা হয়, সামরিক বাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়া হবে কি না এটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন কি ভাবছে?
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ অংশগ্রহণ করে একথা বলেন তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনটা দরকার। নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণায়ল নির্বাচন কমিশনের অধিন ন্যাস্ত করতে হবে। এটা আমাদের দাবি। নির্বাচনের তিন মাস আগে ও তিন মাসে এসকল মণন্ত্রণালয় ইসির অধিনে থাকতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়-নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য তৈরি হয়েছে। অতএব তারা সেই সুষ্ঠু নির্বাচন বিধিবদ্ধ ধারা করায় করতে চান। নির্বাচনে যে আসবে না সে দায়ভার তার দলকে নিতে হবে। আমার মনে হয় না নির্বাচন কমিশনের এরকম দায়ভার রয়েছে।
ইভিএম প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ইভিএম নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। যে ভোটটা আমি দেবো সেই ভোট যে মার্কায় দিচ্ছি সেই মার্কায় যাচ্ছে কি না? এটা হলো বড় প্রশ্ন। এজন্য কাউন্টার সিলিপ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভারতে আদালতের রায়ে ২৫ শতাংশ কাউন্টার সিলিপের মাধ্যমে দিতে হবে। কাউন্টার সিলিপে দিলে বুঝতে হবে যে মার্কায় ভোট দিলাম সেই মার্কাতেই ভোটটা গেলো। নির্বাচনে প্রাইডিং অফিসারের ক্ষেত্রে ভোটে হস্তক্ষেপ করার কত শতাংশ দেওয়া আছে চাইলে ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়-সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে যাদের অফিস রয়েছে সেটা সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গীতিপূর্ণ নয়। যুদ্ধাপরাধী-জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এটা নজরে আনা দরকার।
নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পদকের বক্তব্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে সরকারকে জানাবো পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের আছে কি-না? আমাদের স্ট্যাডি করে দেখতে হবে একই দিনে যদি নির্বাচন হতে হয় তাহলে কত বাহিনী দরকার। সরকারকে বলবো চার দিনে নির্বাচন করেন বা দুই দিনে করেন বা ৬ দিনে করেন। আমার কথা হচ্ছে একদিনে যদি নির্বাচন করতে হয় তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন হবে।
নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ‘আস্থা রাখতে পারেন, আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন আমরা উপহার দেবো।’
এসএম/