বন্যায় ক্ষতি ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
গত মাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্বাভাবিক বন্যায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।
এরমধ্যে ফসলের (সম্পূর্ণ) ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১২৫৮ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯১ হাজার ১১২ টাকা এবং ফসলের (আংশিক) ৫৫হাজার ৯৫৭ কোটি ২১ লক্ষ ২০ হাজার ৫০৮ টাকার।
বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত (সম্পূর্ণ) ৩৬৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা এবং (আংশিক) ১৩৫৫ কোটি ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা ।
সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্রবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাম্প্রতিক বন্যা,ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত "আন্ত:মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি"র সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ফসল, ও ঘরবাড়ির পাশাপাশি ব্রিজ/কালভার্ট পাকা সড়ক, ইট-নির্মিত সড়ক, কাঁচাসড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এবং বাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে সারাদেশে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। একই সময়ে ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হয়। টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশেপাশ জেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে দেশের আরও ১৮টি জেলায বন্যা কবলিত হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লক্ষ নগদ টাকা, ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লক্ষ, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা, এবং ৮ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
এনএইচবি/এমএমএ/