প্রস্তুত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজন
সকল ষড়যন্ত্র পদ্মার জলে ভাসিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে পদ্মা সেতু। একটা সেতু কীভাবে একটা দেশের অর্থনৈতিক চিত্রকে পাল্টে দিতে পারে তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে যাচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার ২৫ শে জুন সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের ২১টি জেলার প্রাপ্ত ৪ কোটি মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটবে। খুলে যাবে অর্থনীতির নতুন দুয়ার।
নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে সাজ সজ্জা সবকিছুই শেষ এখন অপেক্ষা শুধু দ্বার উন্মোচনের। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই প্রান্তে শুরু হয়েছে সাজ সাজ রব। আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু করে সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার প্ল্যাকার্ড রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে রঙিন বাতির আলোয় ঝলমল করছে।
এরইমধ্যে পুরো পদ্মা সেতু ঝলমলে আলোয় আলোকিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর সকল কাজ শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নির্মাণপ্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পদ্মা সেতু বুঝিয়ে দিয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই জনসভায় ২০ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে সভাবেশ স্থল প্রস্তুত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর আদলে মূল মঞ্চ সাজানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে সকল রাস্তা দোকান স্থাপনায় জ্বলছে রঙিন বাতি। মূল মঞ্চ তৈরির পর সেটি এখন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। জনসভার আগ পর্যন্ত পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উদ্বোধনের দিন সকাল ১০টায় সেতুর মাওয়া প্রান্তে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর উপর দিয়ে চলে যাবে জাজিরা প্রান্তে সেখানেও আর একটি ফলক উন্মোচন করবেন। শুরু হবে সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল। তবে সাধারণ যানবহন চলাচল শুরু হবে ২৬ জুন সকাল থেকে।
এরমধ্য দিয়ে প্রমত্তা পদ্মা পারি দিতে আর ফেরি বা লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এখন মুহূর্তেই প্রমত্তা পদ্মার উপর দিয়ে মাত্র ৬ থেকে ৭ মিনিটে পার হয়ে যাবে শত শত গাড়ি। যে নদী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগতো সেটি এখন ৭ মিনিটেই পার হওয়া যাবে।
এসএম/এমএমএ/