বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ | ২০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ নিজের ভাগ্য গড়তে আসেনি, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে। এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই দেশের মানুষের যতটুক অর্জন সবটুকুই আওয়ামী লীগের হাতে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। এজন্য বার বার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয় না।

নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নেতৃত্বশূন্য কোনো দল ইলেকশন করবে, জনগণ ভোট দেবে কী দেখে? চোর, ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা অথবা খুন অস্ত্র চোরাকারবারি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদেরকে এদেশের জনগণ ভোট দেবে? তা তো এদেশের জনগণ দেবে না। দেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তারা শুধু জানে আওয়ামী লীগ ও নৌকাকে। এবার বন্যায়ও প্রমাণ হয়েছে নৌকার প্রয়োজনীয়তা। মানুষ নৌকার জন্য হাহাকার করেছে। নৌকা ছাড়া তো গতি নাই এই বাংলাদেশে। এটাও মনে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে যুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখান থেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জন্ম লগ্ন থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতা শুধু এনে দেয়নি স্বাধীনতার সুফল এখন জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করে, জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের পাশেই থাকবে। সেই আদর্শই জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন। সেই আদর্শ নিয়েই আওয়ামী লীগ চলবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে বিশ্বে একটা সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওদের মিথ্যাচার থাকবেই। পদ্মা সেতু নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে কোন মুখে? ওরা তো কিছুই করে যেতে পারেনি। জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে যখন জাপানে যান তারই অনুরোধে যমুনা নদীর ওপর সমীক্ষা হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেটা করে যেতে পারেননি। জিয়াউর রহমান এসে এটা বন্ধ করে দেয়। জেনারেল এরশাদ আসার পর আবার উদ্যোগ নেয় যমুনা সেতু করার। যতটুকু কাজ এরশাদ করে গিয়েছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে খুব বেশি এগুতে পারেনি। কারণ সব জায়গায় তো কমিশন খাওয়ার অভ্যাস। আবার কমিশন তো একজনকে দিলে হবে না। মায়ের জন্য একটা দুই ছেলের জন্য দুইটা, ফালুর জন্য একটা অমুকের জন্য একটা, এই করতে করতে কেউ আর ওখানে কাজ করতে পারত না। এত ভাগে ভাগে তাদের কমিশন দিতে হতো। সেই কারণে কোনো কিছুতে এগুতে পারেনি। আমরা ৯৬ সালে সরকার এসে যমুনা সেতুতে রেললাইন, গ্যাস লাইন, বিদ্যুতের লাইন দিয়ে ডিজাইনটা সংশোধন করে মাল্টিপারপাস ব্রিজ করে তৈরি করি।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বলেছিল যমুনা সেতুতে রেল সংযোগ ভায়াবেল হবে না। আমি বলেছিলাম রেল সব থেকে বেশি ভায়াবেল হবে। আমি বিশ্ব ব্যাংকের কথা রাখিনি। কারণ দেশটা আমরা যতটুকু চিনি জানি এদেশের প্রকৃতি পরিবেশ মানুষ মানুষের কল্যাণ আওয়ামী লীগ যতটা বুঝবে অন্যরা তা বুঝবে না। বুঝবে কী করে? বিএনপির হৃদয়ে আছে পাকিস্তান। তাদের মনেই আছে পাকিস্তান। ‘দিল মে হায় পেয়ারে পাকিস্তান। সারাক্ষণ মনে মনে গুণ গুণ করে ওই গান ই গায় ‘হায় মেরে জান পেয়ারে মান আখগি তারা আসমান কি চান মেরে জান পাকিস্তান এই হলো খালেদা জিয়ার কথা।’ কাজেই এই যাদের মানসিকতা তারা তো বাংলাদেশের ভালো চাইবে না, এটা খুব স্বাভাবিক। এটা নিয়ে দুঃখ করার চিন্তা করার কিছু নাই। ওদের কথা না বলাই ভালো। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। বরং এগুলোকে গুলি গাট্টি বেঁধে পাকিস্তানে পাঠায়ে দিলে ভালো হয়। পাকিস্তানে এখন যে অবস্থা ওখানে থাকলেই তারা ভালো থাকবে। এখনও লাহোরে সোনার দোকানে খালেদা জিয়ার বড় ছবি আছে। তাদের মানসিকতা ওই দিকেই আমাদের বাংলাদেশের জন্য না। এটাও ঠিক এদের জন্মও তো বাংলাদেশে না। না জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে, না খালেদা জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে। এরশাদও তো কুচ কুচ বিহারী। তারও জন্ম কুচ বিহারে। একমাত্র আমার বাবা ছিলেন এই দেশের। আমিও এই মাটিতে জন্ম। কাজেই এই মাটির টান আলাদা। এখানে আমাদের নাড়ির টান। এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়াটাই আমাদের লক্ষ্য, সেজন্য আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের আদর্শই হচ্ছে জনগণের সেবা করা।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে যখন বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে তখন নির্বাচনে নমিনেশন দিয়েছিল কীভাবে? এখান থেকে ফখরুল ইসলাম সাহেব একটা দেয়, রিজভী সাহেব একটা দেয়, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া আর একটা দেয়। সকালে একটা নাম যায় তাদের প্রার্থীর, দুপুরে আর একটা নাম যায় তাদের আর একটা প্রার্থী তারপর যায় আর এক জনের নাম। এনাম আহমেদ চৌধুরী এবং মোর্শেদ খান বলে গেছেন তাদের কাছে তারেক জিয়া টাকা চেয়েছে এমন অ্যামাউন্ট চেয়েছিল তারা বলেছিল আমরা দিতে পারব না। তাদের নমিনেশন বাতিল হয়ে যায়। ইলেকশনে যখন তারা বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে সেই ইলেকশনে তারা ভোটই বা পাবে কী? আর সেই ইলেকশন করবেই বা কী? নেতৃত্বশূন্য কোনো দল ইলেকশন করবে জনগণ ভোট দেবে কী দেখে? চোর, ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা অথবা খুন অস্ত্র চোরাকারবারি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের এদেশের জনগণ ভোট দেবে? তা তো এদেশের জনগণ দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করে, জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের পাশেই থাকবে। সেই আদর্শই জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন। সেই আদর্শ নিয়েই আওয়ামী লীগ চলবে। সরকারে থাকি আর বিরোধীদলে থাকি, সবসময় দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে আওয়ামী লীগই সবার আগে ছুটে গেছে, আওয়ামী লীগই সহযোগিতা করেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছে। মানুষের বিশ্বাসটাই আমাদের বড় শক্তি। সেই শক্তি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ন রাখতে আওয়ামী লীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এসএম/এসজি/

Header Ad
Header Ad

স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। এতে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হবে। তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থাকুন বা অনুপস্থিত থাকুন না কেন তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার সরকারে থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেই সাথে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের গণহত্যার ঘটনাও তার তত্ত্বাবধানে হয়েছে।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিচার হবে। কেবল তারই (শেখ হাসিনা) নয়, বরং তার সাথে যুক্ত সবার, তার পরিবারের সদস্য, তার মক্কেল বা সহযোগীদেরও বিচার হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোপন আটক কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধান করেছিলেন। যেখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হতো, নির্যাতন করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। এ সবই হাসিনা করতেন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এর ব্যানারে।

বাংলাদেশ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ হাসিনার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাননি।

স্কাই নিউজের এশিয়া সংবাদদাতা কর্ডেলিয়া লিঞ্চকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে অথবা ভারতে অনুপস্থিতিতে আদালতের মুখোমুখি হবেন।

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি আয়নাঘর নামে পরিচিত কুখ্যাত গোপন কারাগারগুলোর মধ্যে একটি পরিদর্শন করেছেন। দরিদ্রদের ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক। ‘এটি সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস; যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। অনুভব করতে পারছেন, অথবা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত অ্যাক্টিভিস্টকে অপহরণ, নির্যাতন এবং হত্যা তদারকি করছেন।

যদিও হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ৮০০টিরও বেশি গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকির অভিযোগে অভিযুক্ত। যাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অপরাধের সাথে জড়িতদের সংখ্যা এবং পরিসর নিয়ে কাজ করতে সময় লাগছে।

ড. ইউনূস বলেন, সবাই এতে জড়িত ছিল। পুরো সরকার (হাসিনার সরকার) এতে জড়িত ছিল। তাই আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কে সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এটি করছিল। কে আদেশে এটি করছিল এবং কে এসব সমর্থন করত না কিন্তু এই ধরণের কাজগুলো বাধ্য হয়ে করেছিল।

তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হবে। কিছু লোক তদন্তাধীন থাকবে। কিছু লোককে শনাক্ত করা যাবে না।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীসহ মোট ২১ জন।

নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ৬ জন, বাকিরা বেসামরিক এবং হামলার শিকার। এই বেসামরিকদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন। যে ৬ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত এই ৬ জন পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য ছিলেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার সময় সেনা নিবাসের ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় নিকটবর্তী একটি মসজিদ এবং একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হামলায় হতাহতদের নিকটবর্তী ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটেছিল। এতে স্থানীয় শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।

Header Ad
Header Ad

এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এস আলমসহ পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলাম) ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজেদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মো. মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর নেতা জেনি, লুৎফুন নাহার, চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুননেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা।

দুদক জানায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে কোনো সময় দেশ হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নিবেন। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকার ১৭৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি তাদের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। এরপর ১৬ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের ২৪টি কোম্পানিতে ৩২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’
পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১
এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি
নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী