বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেন তেনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আমার লক্ষ্য না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ অনেক থাকে। কিন্তু ওরকম সুযোগ নিয়ে তো প্রধানমন্ত্রী হইনি কখনও। ১৯৯১ সালে হতে পারতাম। আমি যাবো তখনই যখন আমার কাছে অ্যাপসুলেট পাওয়ার থাকবে। অর্থাৎ আমার ক্ষমতার ইচ্ছে হলো আমার দেশের উন্নতি করা। আর সেটা আমি প্রমাণ করিনি?

বাংলাদেশের চেহারাটা চিন্তা করেন। আর একটা কথা জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না। সেটা থাকবো না। মিলিটারি ডিকটেটররা যা করেছেন তার বিরুদ্ধে আমিই সংগ্রাম করেছি, আমিই আন্দোলন করেছি, জেল জুলুম, বোমা, গ্রেনেড, গুলির সন্মুখিন আমিই হয়েছি। গণতন্ত্রটা করতে পেরেছি বলেই এই ধারাবাহিকতা রয়েছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’

বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদ্মা সেতু ইস্যু ও সমসমায়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান একথা বলেন।

একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে না আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে জানতে চাই গত দুইটি নির্বাচন নানা কারণে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হতে পারেনি। আশা করছি আগামী নির্বাচনে সবাই আসবে। গত দুই নির্বাচন সহজ হওয়াতে আওয়ামী লীগ নেতারা জয় পাওয়াতে আত্মতুষ্টিভাবে চলে আসছে কি-না? এ থেকে বের হওয়ার উপায় কি?

জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই উপমহাদেশে সব থেকে প্রাচীন পার্টির মধ্যে একটি। যে দলটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একেবারে গণমানুষের মাধ্যমে। সেই সময় পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদ করতে যেয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। আমাদের প্রতিপক্ষ যে কয়টা দল আছে তাদের জন্মস্থানটা কোথায়? যদি ধরেণ মূল একটি দল আছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে একজন মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে, যে মিলিটারি ডিকটেটর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত, খুনি মোস্তাকের সঙ্গে হাত মেলানো ছিল। মোস্তাক যাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যার পর। সে যখন নিজেকেই নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে তখন প্রেসিডেন্ট সায়েম সাহেবকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ‘ল’ জারি করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ‘ল’ জারি করে যে ক্ষমতা দখল করে মিলিটারি উর্দি পরে একাধারে সেনাপ্রধান একাধারে রাষ্ট্রপতি। ঠিক আয়ুব খান যেটা করেছিল সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করলো। দেশে ১৯ টা ক্যু, প্রতি রাতে কারফিউ। আমাদের অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল যে তিনি গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমি বলেছিলাম এটা কারফিউ গণতন্ত্র। তার হাতে তৈরি করা হলো বিএনপি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থেকে প্রথমে হ্যাঁ না ভোট। সেই ভোট কেমন হয়েছিল? না ভোটের বাক্স ছিল না সব হ্যাঁ। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেটাও একটা নির্বাচনের খেলা। তারপ ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন। সেখানে দল ভাঙা গড়া আওয়ামী লীগ থেকে একে ওকে নিয়ে এগাছের তাল ওগাছের বাকল নিয়ে জোরা দেওয়া অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে দল তৈরি করা। সেই দলটাই হয়েগেছে মূল দল।

‘তার পরবর্তী জাতীয় পার্টি সেটাও ওইভাবেই তৈরি। আর এক মিলিটারি ডিকটেটর সেও ক্ষমতায় বসে জাতীয় পার্টি করেছে। যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি সেই দলগুলোর কাছে কী আশা করেন? তারপর ওই দলের নেতৃত্বটা কার হাতে, কে নেতা। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি। আর একজন দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি একজন ফিউজিটিভ। আর একজনকে আমি আমার এক্সিকিউটিভ ক্ষমতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগটা দিয়েছি চিকিৎসার জন্য বয়সের কথা বিবেচনা করে।’

তিনি বলেন, এখন এই দলটা যে নির্বাচন করবে। আপনারা বললেন কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। কিভাবে বলেন অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিএনপি এক একটা সিটে কতজনকে নোমিনেশন দিয়েছিল? এক আসনে একজনকে সকালে দেয় দুপরে সেটা পরিবর্তন হয়ে আর একজন দেয়। তারপর তৃতীয়ত আর একজনের নাম দেয়। অর্থাৎ যে যত বেশি টাকা দিচ্ছে তাকে নমিনেশন দিয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থায় যখন একটা দল নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দেয়। ঢাকা থেকে তাদের এক নেতা একজনকে দিচ্ছে তো আর এক নেতা লন্ডন থেকে আর একজনকে দিচ্ছে বা অমুক নেত্রীর কাছে টাকা চাচ্ছেন, টাকা না দিলে ননিনেশন পাবে না। দিনে যদি তিন বেলা নমিনেশন বদলান তারপর দেখা গেল এক সময় মাঝখানে মাঠ ছেড়ে চলে গেল। এটা কি অস্বীকার করতে পারবে বিএনপি? তাহলে এটা পার্টিসিপেটরি ইলেকশন হয়নি একথা কিভাবে বলেন। যখন নির্বাচনি মাঠ ছেড়ে মাঝপথে চলে যান, তখন তো মাঠ ফাঁকা। তখন পাবলিকের যা খুশি তাই করতে পারে। সেই দোষটা কাকে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগকে দিতে পারেন না। এই বাস্তবতা সবাই ভুলে যায়। একটা মিথ্যা বার বার বলতে পারেন আর সত্য একবার একবারই বলতে পারেন।

অনেকেই প্রচার করে দেশের নির্বাচন পার্টিসিপেটরি না, একটা দল অংশগ্রহণ করবে তখনই যখন মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে। সেই দলকে দেখাতে হবে যে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে কে হবে সরকার প্রধান। এটা তো মানুষ আগে বিবেচনা করে, করে না? এটা শুধু আমাদের দেশে না পৃথিবীর সব দেশেই। তারা যে নির্বাচন করবে তারা কাকে দেখাবে। সাজাপ্রাপ্ত ফিউজিটিভকে সে তো এদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে বসে আছে। কত টাকা বিনিয়োগ করলে সহজে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়া যায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে কিভাবে ব্রিটিশ নাগরিক হলো। এই নিয়ে তারা কি নির্বাচন করবে, সেটাই তো বড় কথা। এখানে গণতন্ত্রের দোষটা কোথায়? আর একটা দল তাদেরও একই অবস্থা। তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। বাকি ছিল বাম দলগুলো তার ক্ষুদ্রাতিক ক্ষুদ্র হতে হতে দাড়ি, কমা, সেমিকলন, দাড়ি বসবে না কমা বসবে এই করতে করতে ভাঙতে ভাঙতে তাদের এমন অবস্থা তারা এখন বাম হয়ে কখনও ডানে কাত হয়, কখনও বামে কাত হয়, তাদের তো এই অবস্থা। আছে কে সেটা বলেন না? একটা ভালো শক্তিশালী দল করে দেন, মাঠে দেখা হবে মাঠে দেখব জনগণ কাকে চায়।

সরকার প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ অনেক থাকে। কিন্তু ওরকম সুযোগ নিয়ে তো প্রধানমন্ত্রী হইনি কখনও। ১৯৯১ সালে হতে পারতাম। সাহাবুদ্দিন সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান তিনি যখন আমাদের ডেকে বলেছিলেন জামায়াত, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ মেজরিটি। আপনি সরকার গঠন করেন। আমি ক্ষমা চেয়ে চলে এসেছিলাম যে আমি এভাবে ক্ষমতায় যাবো না। আমি যখন সিট পাইনি আমি যাবো না। আমি যাবো তখনই যখন আমার কাছে অ্যাপসুলেট পাওয়ার থাকবে। অর্থাৎ আমার ক্ষমতার ইচ্ছে হলো আমাদের উন্নত করা। আর সেটা আমি প্রমাণ করিনি? বাংলাদেশের চেহারাটা চিন্তা করেন।

তিনি বলেন, এরপর দেশে ইমার্জেন্সি এলো। ৮ বছর জাতির জীবন থেকে নষ্ট হলো। আমাকে আসতে দেওয়া হলো না। আমি আসতে পারতাম ক্ষমতায়। আমাকে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিলক্লিটন ধরেছিল এবং আমি তাদের এনার্জি মিনিস্টার সে এসছিল এখানে, আমাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতেরও প্রস্তাব ছিল আমাদের এখানে যে গ্যাস এক্সপোলারেশন হচ্ছে সব বিক্রি করতে হবে। আমেরিকার কোম্পানি গ্যাস উত্তোলন করবে আর ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে হবে। আমার কথা ছিল স্পষ্ট গ্যাসের মালিক দেশের জনগণ আমরা দেশের চাহিদা পূরণ হবে দেশের উন্নতি হবে দেশের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে তারপর যদি অতিরিক্ত হয় আমি বেচবো। এটাই তো আমার অপরাধ ছিল যে আমার দেশের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলাম? সেই কারণে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যেন তেনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আমার লক্ষ্য না। আমার কাছে একটাই ছিল নির্বাচন। কেয়ারটেকারের সময় যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখনও আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে আপনি নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রাইম মিনিস্টারের মর্যাদা দেওয়া হবে। আমি বলেছিলাম এই মর্যাদা তো আমি চাই না। আমার উত্তর কি ছিলো? যে ব্রিগেডিয়ার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল তাকে বলেছিলাম আপনার আর্মি চিফকে বলে দিয়েন ৫৪ সালে তাঁর জন্ম। আমার বাপ ৫৪ সালে মন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম। আমরা মিন্টু রোড থাকতাম। কাজেই ক্ষমতার লোভ আমাকে দেখিয়ে লাভ নাই। আমরা ইলেকশন চাই আর ক্ষমতায় যেত চাই দেশের উন্নয়নের জন্য, সোজা কথা।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা ইলেকশনটা করবে কাকে নিয়ে? আপনার পারেন দল করেন। আসেন পার্টিসিপেটরি করে দেবো অসুবিধে নাই। একটা কথা মনে রাখবেন জনগণের ভোট কেড়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না। থাকবো না। ওদের জন্য কান্না কাটি করে লাভ নাই। ওরা নির্বাচনটা করবে কি নিয়ে? পূজিটা কি? বাংলাদেশে বিএনপির কি একটাও যোগ্য নেতা নাই যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে। করলে তো তাদের এই অবস্থাটা হয় না।

এসএম/

Header Ad

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের চন্দ্রার বন্ধ হওয়া কারখানার বকেয়া বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন পাওনার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন করছেন মাহমুদ জিন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা। এর ফলে দুই পাশের রাস্তার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রা মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রা ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়কের উভয়পাশও অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

শিল্প পুলিশ, বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রা মোড় এলাকায় মাহামুদ জিন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানা আছে। এ কারখানায় কাজ করতেন ৬০০ থেকে ৭০০ শ্রমিক। বিভিন্ন সংকটের কথা বলে কিছুদিন আগে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। আজ সকালে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন–ভাতাসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই কারখানাটির সামনে আসতে থাকেন শ্রমিকেরা। কিন্তু এর মধ্যেই শ্রমিকদের পাওনা আজ পরিশোধ করা হবে না জানিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা চন্দ্রা মোড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক বিক্ষোভ করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শকের মো. আজাদ সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে অনেক শ্রমিক অন্যান্য জায়গায় চাকরি নিয়েছেন। কেউ কেউ এখনো বেকার। তাঁদের দুই মাসের বেতন ও অন্যান্য পাওনা আজ পরিশোধ করার কথা ছিল। সে জন্য শ্রমিকেরা সকাল থেকে কারখানার সামনে জড়ো হন। কিন্তু এর মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না মর্মে নোটিশ টাঙিয়ে দেন। এ জন্য শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক ছাড়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা মহাসড়ক ছাড়ছেন না।

Header Ad

রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবারও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এর আগে মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় তাকে বহন কারী গাড়ি। মাতুয়াইলে আঘাত করে পালিয়ে যায় একটি ট্রাক। আবার গুলিস্তানে আঘাত করে আরেকটি মিনি ট্রাক।

এদিকে পরপর এমন কয়েকটি ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা সন্দেহ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

এর আগে গতকাল বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

পরে চাপা দেয়া ট্রাকটিকে জব্দ করে থানায় রাখা হয়। আটক করা হয়েছে চালককেও। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।

Header Ad

থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অনুসন্ধান কার্যক্রম বর্তমানে থমকে রয়েছে। সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে এই তদন্ত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই বন্ধ হয়ে আছে। এর পেছনে এস আলম গ্রুপের প্রভাব এবং দেশের প্রভাবশালী মহলের সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, ৩১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন এবং তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনলেও তাঁদের হঠাৎ বদলি করা হয়েছে।

বদলির পেছনে কারা?
জানা গেছে, তদন্ত প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার উদ্দেশ্যে এস আলম গ্রুপের পক্ষে কাজ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার্দী হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির এবং তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনকে একযোগে বদলি করা হয়। একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশেই এ বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবিরকে চট্টগ্রাম, এসএস মো. সরোয়ার্দী হোসেনকে র‍্যাবে এবং অনুসন্ধান কর্মকর্তা মনির হোসেনকে শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়। তিন কর্মকর্তাকেই বদলি করে দেওয়ায় গত ১২ অক্টোবর থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান স্থবির। তদন্ত কর্মকর্তা এখন অনুসন্ধানের কাজ অন্য একজনকে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছেন।

সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধানের কাজকে প্রভাবিত করার জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের বদলির নেপথ্যে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে। অভিযোগ, তিনি এস আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান কাজে ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগোতে বলেছেন। তাঁর কথা না শোনায় পুরো তদন্ত দলকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে আরও তিন-চারজন কর্মকর্তা নেপথ্যে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। দৃশ্যত এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এস আলম গ্রুপ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ ইউনিট এস আলমের পরিবার ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও অর্থ পাচারের ব্যাপকতা এত বড় যে দেশ-বিদেশ থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান একটি জায়গায় নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। তার মধ্যে এ ধরনের হস্তক্ষেপ কাজটি আরও কঠিন করবে।

সিআইডি ইতিমধ্যে এস আলমের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে গ্রুপটি এখনো কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। সিআইডির অনুসন্ধান কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি দেখে এই বিতর্কিত ধনকুবেরের অর্থ পাচার তদন্তের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা।

সিআইডির মুখপাত্র ও বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান অবশ্য এ বিষয়ে বলেছেন, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাঁর কথায়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় অন্য কর্মকর্তাকে কার্যক্রম বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাভাবিক।

সিআইডি প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং দুই ছেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাসসহ ইউরোপে অর্থ পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দাবি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাচার করা এই বিপুল অর্থ দিয়ে তাঁরা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ কেনা ছাড়াও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তাঁদের পাচারকৃত অর্থে সিঙ্গাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে নেওয়া ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান (শেল কোম্পানি) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এস আলম ও তাঁর পরিবারসহ তাঁদের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের সহযোগিতায় এ বিশাল অঙ্কের অর্থ পাচার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দেশের অর্থনৈতিক খাতের স্বচ্ছতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্ত কার্যক্রম সফল হতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী