বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ | ২০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেন তেনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আমার লক্ষ্য না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ অনেক থাকে। কিন্তু ওরকম সুযোগ নিয়ে তো প্রধানমন্ত্রী হইনি কখনও। ১৯৯১ সালে হতে পারতাম। আমি যাবো তখনই যখন আমার কাছে অ্যাপসুলেট পাওয়ার থাকবে। অর্থাৎ আমার ক্ষমতার ইচ্ছে হলো আমার দেশের উন্নতি করা। আর সেটা আমি প্রমাণ করিনি?

বাংলাদেশের চেহারাটা চিন্তা করেন। আর একটা কথা জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না। সেটা থাকবো না। মিলিটারি ডিকটেটররা যা করেছেন তার বিরুদ্ধে আমিই সংগ্রাম করেছি, আমিই আন্দোলন করেছি, জেল জুলুম, বোমা, গ্রেনেড, গুলির সন্মুখিন আমিই হয়েছি। গণতন্ত্রটা করতে পেরেছি বলেই এই ধারাবাহিকতা রয়েছে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’

বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদ্মা সেতু ইস্যু ও সমসমায়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান একথা বলেন।

একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে না আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে জানতে চাই গত দুইটি নির্বাচন নানা কারণে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হতে পারেনি। আশা করছি আগামী নির্বাচনে সবাই আসবে। গত দুই নির্বাচন সহজ হওয়াতে আওয়ামী লীগ নেতারা জয় পাওয়াতে আত্মতুষ্টিভাবে চলে আসছে কি-না? এ থেকে বের হওয়ার উপায় কি?

জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই উপমহাদেশে সব থেকে প্রাচীন পার্টির মধ্যে একটি। যে দলটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একেবারে গণমানুষের মাধ্যমে। সেই সময় পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদ করতে যেয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। আমাদের প্রতিপক্ষ যে কয়টা দল আছে তাদের জন্মস্থানটা কোথায়? যদি ধরেণ মূল একটি দল আছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে একজন মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে, যে মিলিটারি ডিকটেটর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত, খুনি মোস্তাকের সঙ্গে হাত মেলানো ছিল। মোস্তাক যাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যার পর। সে যখন নিজেকেই নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে তখন প্রেসিডেন্ট সায়েম সাহেবকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ‘ল’ জারি করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ‘ল’ জারি করে যে ক্ষমতা দখল করে মিলিটারি উর্দি পরে একাধারে সেনাপ্রধান একাধারে রাষ্ট্রপতি। ঠিক আয়ুব খান যেটা করেছিল সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করলো। দেশে ১৯ টা ক্যু, প্রতি রাতে কারফিউ। আমাদের অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল যে তিনি গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমি বলেছিলাম এটা কারফিউ গণতন্ত্র। তার হাতে তৈরি করা হলো বিএনপি। অর্থাৎ ক্ষমতায় থেকে প্রথমে হ্যাঁ না ভোট। সেই ভোট কেমন হয়েছিল? না ভোটের বাক্স ছিল না সব হ্যাঁ। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেটাও একটা নির্বাচনের খেলা। তারপ ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন। সেখানে দল ভাঙা গড়া আওয়ামী লীগ থেকে একে ওকে নিয়ে এগাছের তাল ওগাছের বাকল নিয়ে জোরা দেওয়া অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে দল তৈরি করা। সেই দলটাই হয়েগেছে মূল দল।

‘তার পরবর্তী জাতীয় পার্টি সেটাও ওইভাবেই তৈরি। আর এক মিলিটারি ডিকটেটর সেও ক্ষমতায় বসে জাতীয় পার্টি করেছে। যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি সেই দলগুলোর কাছে কী আশা করেন? তারপর ওই দলের নেতৃত্বটা কার হাতে, কে নেতা। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি। আর একজন দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি একজন ফিউজিটিভ। আর একজনকে আমি আমার এক্সিকিউটিভ ক্ষমতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগটা দিয়েছি চিকিৎসার জন্য বয়সের কথা বিবেচনা করে।’

তিনি বলেন, এখন এই দলটা যে নির্বাচন করবে। আপনারা বললেন কোনো দল অংশগ্রহণ করেনি। কিভাবে বলেন অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিএনপি এক একটা সিটে কতজনকে নোমিনেশন দিয়েছিল? এক আসনে একজনকে সকালে দেয় দুপরে সেটা পরিবর্তন হয়ে আর একজন দেয়। তারপর তৃতীয়ত আর একজনের নাম দেয়। অর্থাৎ যে যত বেশি টাকা দিচ্ছে তাকে নমিনেশন দিয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থায় যখন একটা দল নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দেয়। ঢাকা থেকে তাদের এক নেতা একজনকে দিচ্ছে তো আর এক নেতা লন্ডন থেকে আর একজনকে দিচ্ছে বা অমুক নেত্রীর কাছে টাকা চাচ্ছেন, টাকা না দিলে ননিনেশন পাবে না। দিনে যদি তিন বেলা নমিনেশন বদলান তারপর দেখা গেল এক সময় মাঝখানে মাঠ ছেড়ে চলে গেল। এটা কি অস্বীকার করতে পারবে বিএনপি? তাহলে এটা পার্টিসিপেটরি ইলেকশন হয়নি একথা কিভাবে বলেন। যখন নির্বাচনি মাঠ ছেড়ে মাঝপথে চলে যান, তখন তো মাঠ ফাঁকা। তখন পাবলিকের যা খুশি তাই করতে পারে। সেই দোষটা কাকে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগকে দিতে পারেন না। এই বাস্তবতা সবাই ভুলে যায়। একটা মিথ্যা বার বার বলতে পারেন আর সত্য একবার একবারই বলতে পারেন।

অনেকেই প্রচার করে দেশের নির্বাচন পার্টিসিপেটরি না, একটা দল অংশগ্রহণ করবে তখনই যখন মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে। সেই দলকে দেখাতে হবে যে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে কে হবে সরকার প্রধান। এটা তো মানুষ আগে বিবেচনা করে, করে না? এটা শুধু আমাদের দেশে না পৃথিবীর সব দেশেই। তারা যে নির্বাচন করবে তারা কাকে দেখাবে। সাজাপ্রাপ্ত ফিউজিটিভকে সে তো এদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে বসে আছে। কত টাকা বিনিয়োগ করলে সহজে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়া যায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে কিভাবে ব্রিটিশ নাগরিক হলো। এই নিয়ে তারা কি নির্বাচন করবে, সেটাই তো বড় কথা। এখানে গণতন্ত্রের দোষটা কোথায়? আর একটা দল তাদেরও একই অবস্থা। তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। বাকি ছিল বাম দলগুলো তার ক্ষুদ্রাতিক ক্ষুদ্র হতে হতে দাড়ি, কমা, সেমিকলন, দাড়ি বসবে না কমা বসবে এই করতে করতে ভাঙতে ভাঙতে তাদের এমন অবস্থা তারা এখন বাম হয়ে কখনও ডানে কাত হয়, কখনও বামে কাত হয়, তাদের তো এই অবস্থা। আছে কে সেটা বলেন না? একটা ভালো শক্তিশালী দল করে দেন, মাঠে দেখা হবে মাঠে দেখব জনগণ কাকে চায়।

সরকার প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ অনেক থাকে। কিন্তু ওরকম সুযোগ নিয়ে তো প্রধানমন্ত্রী হইনি কখনও। ১৯৯১ সালে হতে পারতাম। সাহাবুদ্দিন সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান তিনি যখন আমাদের ডেকে বলেছিলেন জামায়াত, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ মেজরিটি। আপনি সরকার গঠন করেন। আমি ক্ষমা চেয়ে চলে এসেছিলাম যে আমি এভাবে ক্ষমতায় যাবো না। আমি যখন সিট পাইনি আমি যাবো না। আমি যাবো তখনই যখন আমার কাছে অ্যাপসুলেট পাওয়ার থাকবে। অর্থাৎ আমার ক্ষমতার ইচ্ছে হলো আমাদের উন্নত করা। আর সেটা আমি প্রমাণ করিনি? বাংলাদেশের চেহারাটা চিন্তা করেন।

তিনি বলেন, এরপর দেশে ইমার্জেন্সি এলো। ৮ বছর জাতির জীবন থেকে নষ্ট হলো। আমাকে আসতে দেওয়া হলো না। আমি আসতে পারতাম ক্ষমতায়। আমাকে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিলক্লিটন ধরেছিল এবং আমি তাদের এনার্জি মিনিস্টার সে এসছিল এখানে, আমাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতেরও প্রস্তাব ছিল আমাদের এখানে যে গ্যাস এক্সপোলারেশন হচ্ছে সব বিক্রি করতে হবে। আমেরিকার কোম্পানি গ্যাস উত্তোলন করবে আর ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে হবে। আমার কথা ছিল স্পষ্ট গ্যাসের মালিক দেশের জনগণ আমরা দেশের চাহিদা পূরণ হবে দেশের উন্নতি হবে দেশের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে তারপর যদি অতিরিক্ত হয় আমি বেচবো। এটাই তো আমার অপরাধ ছিল যে আমার দেশের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলাম? সেই কারণে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যেন তেনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আমার লক্ষ্য না। আমার কাছে একটাই ছিল নির্বাচন। কেয়ারটেকারের সময় যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখনও আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে আপনি নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রাইম মিনিস্টারের মর্যাদা দেওয়া হবে। আমি বলেছিলাম এই মর্যাদা তো আমি চাই না। আমার উত্তর কি ছিলো? যে ব্রিগেডিয়ার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল তাকে বলেছিলাম আপনার আর্মি চিফকে বলে দিয়েন ৫৪ সালে তাঁর জন্ম। আমার বাপ ৫৪ সালে মন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম। আমরা মিন্টু রোড থাকতাম। কাজেই ক্ষমতার লোভ আমাকে দেখিয়ে লাভ নাই। আমরা ইলেকশন চাই আর ক্ষমতায় যেত চাই দেশের উন্নয়নের জন্য, সোজা কথা।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা ইলেকশনটা করবে কাকে নিয়ে? আপনার পারেন দল করেন। আসেন পার্টিসিপেটরি করে দেবো অসুবিধে নাই। একটা কথা মনে রাখবেন জনগণের ভোট কেড়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না। থাকবো না। ওদের জন্য কান্না কাটি করে লাভ নাই। ওরা নির্বাচনটা করবে কি নিয়ে? পূজিটা কি? বাংলাদেশে বিএনপির কি একটাও যোগ্য নেতা নাই যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে। করলে তো তাদের এই অবস্থাটা হয় না।

এসএম/

Header Ad
Header Ad

স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। এতে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হবে। তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থাকুন বা অনুপস্থিত থাকুন না কেন তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার সরকারে থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেই সাথে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের গণহত্যার ঘটনাও তার তত্ত্বাবধানে হয়েছে।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিচার হবে। কেবল তারই (শেখ হাসিনা) নয়, বরং তার সাথে যুক্ত সবার, তার পরিবারের সদস্য, তার মক্কেল বা সহযোগীদেরও বিচার হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোপন আটক কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধান করেছিলেন। যেখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হতো, নির্যাতন করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। এ সবই হাসিনা করতেন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এর ব্যানারে।

বাংলাদেশ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ হাসিনার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাননি।

স্কাই নিউজের এশিয়া সংবাদদাতা কর্ডেলিয়া লিঞ্চকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে অথবা ভারতে অনুপস্থিতিতে আদালতের মুখোমুখি হবেন।

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি আয়নাঘর নামে পরিচিত কুখ্যাত গোপন কারাগারগুলোর মধ্যে একটি পরিদর্শন করেছেন। দরিদ্রদের ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক। ‘এটি সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস; যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। অনুভব করতে পারছেন, অথবা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত অ্যাক্টিভিস্টকে অপহরণ, নির্যাতন এবং হত্যা তদারকি করছেন।

যদিও হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ৮০০টিরও বেশি গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকির অভিযোগে অভিযুক্ত। যাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অপরাধের সাথে জড়িতদের সংখ্যা এবং পরিসর নিয়ে কাজ করতে সময় লাগছে।

ড. ইউনূস বলেন, সবাই এতে জড়িত ছিল। পুরো সরকার (হাসিনার সরকার) এতে জড়িত ছিল। তাই আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কে সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এটি করছিল। কে আদেশে এটি করছিল এবং কে এসব সমর্থন করত না কিন্তু এই ধরণের কাজগুলো বাধ্য হয়ে করেছিল।

তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হবে। কিছু লোক তদন্তাধীন থাকবে। কিছু লোককে শনাক্ত করা যাবে না।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীসহ মোট ২১ জন।

নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ৬ জন, বাকিরা বেসামরিক এবং হামলার শিকার। এই বেসামরিকদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন। যে ৬ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত এই ৬ জন পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য ছিলেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার সময় সেনা নিবাসের ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় নিকটবর্তী একটি মসজিদ এবং একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হামলায় হতাহতদের নিকটবর্তী ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটেছিল। এতে স্থানীয় শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।

Header Ad
Header Ad

এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এস আলমসহ পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলাম) ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজেদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মো. মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর নেতা জেনি, লুৎফুন নাহার, চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুননেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা।

দুদক জানায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে কোনো সময় দেশ হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নিবেন। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকার ১৭৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি তাদের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। এরপর ১৬ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের ২৪টি কোম্পানিতে ৩২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’
পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১
এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি
নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী