লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুজন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এর ইঞ্জিন থেকে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় আনার পথে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- জিয়াসমিন আক্তার (৩৫) ও তার ৮ বছর বয়সী ছেলে মো. তামিম। আর মারা গেছেন ৬ বছয় বয়সী মেয়ে মাহিনুর।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়।
বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ড সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধদের মধ্যে জিয়াসমিনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তামিমের ১২ শতাংশ পুড়েছে। এ ছাড়া জিয়াসমিনের ৬ বছয় বয়সী মেয়ে মাহিনুরকে ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু হয়। আরও বেশ কয়েকজনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় বলে জানা গেছে। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনাল লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী উঠা-নামা করে। ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় রাত ৩টার পর লঞ্চে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়। আর আহত হন আরো অন্তত ৭৮ জন।
এনএইচ/ এসআইএইচ
