ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে।’
দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভ না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সোমবার (৩০ মে) সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভ না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বোরো সংগ্রহ সফল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে।’
যে সকল মিলমালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন করপোরেট হাউস বাজার থেকে ধান চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোনো সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা যেন আতঙ্কিত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিলমালিক যেন কোনোভাবে হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ময়েশ্চার মিটার দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।
মিলমালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, কৃষি বিভাগের উপপরিচালকগণ খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এসএম/এমএমএ/