পদ্মা সেতু সক্ষমতার প্রতীক: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা গর্বের বিষয়। ‘এটি আমাদের গর্বের অহংকারের এবং সক্ষমতার প্রতীক’।
রবিবার (২৯ মে) সচিবালয় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা পদ্মা সেতু করতে পারব না বলে অনেকে আস্ফালন করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি বিরুদ্ধে আরও অনেকে ষড়যন্ত্র করেছেন। আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে তাই তিনিও এর বিরোধিতা করেছেন। বিশ্বব্যাংক যেন অর্থায়ন না করে তার পক্ষ থেকে নানা অপতৎপরতা ছিল।’
বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তখন টিআইবি তার গভীরে না গিয়ে বারংবার এটা নিয়ে বক্তব্য রেখেছে এবং প্রেস কনফারেন্স করেছে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন এখন যখন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে এটি তাদের জন্য লজ্জার। বিএনপির যেহেতু পদ্মা সেতু চায়নি, সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মুখেও চুনকালি পড়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন সারাদেশের মানুষ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে উদ্বেল হয়ে আছেন। মানুষের উচ্ছাস এতটাই যে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন যদি মানুষকে সেতুতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তা হল ৬ কিলোমিটার সেতু মানুষ সে ভরে যাবে।
তিনি বলেন, মানুষ যেন সেই উচ্ছ্বাস না করতে পারে সেজন্য বিএনপি দেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুপ্রিম কোর্টে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি'র সকল অপচেষ্টা মোকাবেলা করবো।
তথ্য মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে কোন অগ্নি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঘটে তার দায়-দায়িত্ব বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে হবে। কারণ সরকার মানবিক কারণে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগে তার দল করছে। সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে বেগম জিয়াকে বাইরে রাখা ঠিক হবে কিনা? তাকে আবারও কারাগারে পাঠানোর প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কোন স্থানই দেয় নাই। উস্কানি দিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রদল যখন বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছে তখন তো ছাত্ররা বাধা দেবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন যারা ছাত্র দলের নেতৃত্বে রয়েছে তাদের সবার বয়স ৪০ এর কোটায়। তারা ছাত্র দের বাপ। ছাত্রের বাপেরা যখন শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে চায় তখন সাধারণ ছাত্ররা বাধা দেবে।
এনএইচবি/এমএমএ/