বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছি আমরা: প্রধানমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সরকার গঠন করে এই নীতিতে চলছি। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা খুব সফলভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন করেছি। ঢাকা ঘোষণাও গৃহীত হয়েছে। আমি চাইব বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষেরই যেন মানবাধিকার রক্ষা পায়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।'
পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই কূটনীতিক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দুজন কূটনীতিক আজ পুরস্কার পেলেন তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মদ আল মেহেরি দুদেশের জনগণের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাকে অভিনন্দন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেও আমরা সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছি। এটা কূটনৈতিক সফলতা। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম। তাকে অভিনন্দন জানাই।'
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এবং ঢাকায় দু’বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মদ আল মেহেরির হাতে।
আরইউ/টিটি