জাতিসংঘের দাবি আরসার উপস্থিতি অস্বীকার বাংলাদেশের
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সক্রিয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। এ ব্যপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাত দিনের সফর শেষে রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে আরসার কর্মকাণ্ড বিষয়টি জেনেছি উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, এটা উদ্বেগের এবং এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি। জাতিসংঘকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সাবেক এই মার্কিন কংগ্রেসম্যান মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার, তাই এর সমাধানও সেখানেই। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে হবে। দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর সমন্বিত অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজোট হতে হবে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলছেন, আরসার উপস্থিতি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় সরকার। জাতিসংঘ তাদের চিহ্নিত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) অবস্থান করছে। ২০১৭ এর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭৫ জনের। এসব হত্যাকাণ্ডে ১২শর বেশি মামলা হয়েছে। নিহত কারও কারও মরদেহের খোঁজও মেলেনি। সবশেষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা খুনের পর নতুন করে আলোচনায় আসে মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরসার তৎপরতার বিষয়টি।
আরইউ/কেএফ/