বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চাই। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণসহ অভিন্ন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে একটি গভীর ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার (১২ মে) বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টার যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে উভয় দেশের অটল রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং নিয়মিত উচ্চ-পর্যায়ের পরামর্শ এ লক্ষ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের ১৯৭২ সালের ১২ মে আমাদের স্বাধীনতার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।

বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমাদের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়া। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে।

ড. মোমেন বলেন, গত পাঁচ দশকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি, প্রতিরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে, আরএমজি সেক্টর আমাদের গর্ব এবং এটি ১৯৭৯ সালে কোরিয়ার সহায়তায় শুরু হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের মে মাসে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন এবং উভয় পক্ষ আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে ব্যাপক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। কোরিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়নের ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সফর আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য একটি গতি তৈরি করেছে।

কোরিয়া প্রজাতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের একটি প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে রয়ে গেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, আইসিটি, শিক্ষা, পানি, চিকিৎসা, জ্বালানি, পরিবহন ইত্যাদি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রের জন্য আমরা কোরিয়া সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।

দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন সহায়তা অবশ্যই আমাদের দর্শনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে লক্ষ্য করি যে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সফ্ট লোনের সবচেয়ে বড় গ্রহীতাদের মধ্যে একটি। এ ছাড়া ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নীত হওয়ার পরেও অগ্রাধিকার অংশীদার দেশ হিসেবে থাকার আশা করি।

দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১০ বছরের স্থবিরতার পরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সালে রেকর্ড উচ্চতায় দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। শুল্ক লাইনের ৯৫ শতাংশ কাভার করে বাংলাদেশি পণ্যগুলিতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকারের জন্য আমরা দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের প্রশংসা করি। আমরা আশা করি যে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ২০২৬ সালের পরেও আমাদের পণ্যগুলিতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করবে যাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অনুকূলভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।

ড. মোমেন বলেন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের জন্য পঞ্চম বৃহত্তম এফডিআই উৎস দেশ যেখানে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এফডিআই স্টক রয়েছে। যদিও কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে মূলত টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে বিনিয়োগ শুরু করে। কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা এখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, অটোমোবাইল, আইসিটি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫০টিরও বেশি কোরিয়ান কোম্পানির উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মানবিক সহায়তা এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এই বিষয়ে সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার সমাধান এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতএম দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরইউ/এসএন

 

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য ইলিশ মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

শারমিন আক্তার সুপ্তার প্রথম সেঞ্চুরি হয়েও আর হলো না। ৯৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা সুপ্তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পেয়েছে নারী দলের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচের সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন শারমিন সুপ্তা। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়তেও পারতেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম হান্ড্রেডের মালিক হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েছেন সুপ্তা।

সাজ ঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ৮৯ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল ২৫০। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। তবে এবার আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ রেখে ঘরের মাঠে আইরিশ মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ব্যাট করতে নেমে উইকেট অক্ষত রাখতে পারলেও শুরুর দিকে বেশ মন্থর ছিলেন ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্‌বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। তবে ততক্ষণে ১৮ ওভারেরও বেশি খেলা শেষ হয়ে যায়।

৬১ বলে ৩৮ রান করে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানা হক। চার বাউন্ডারিতে ১১০ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন শারমিন সুপ্তা। রানের গতিও বাড়ছিল।

বাংলাদেশের ইনিংসে সাধারণত এক উইকেট পড়লে পরপর আরও কয়েকটি পড়ে যায়। আজ এ জায়গায় বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক মেয়েদের। এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জ্যোতি। ২৮ বলে সমান সংখ্যক রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

অন্য প্রান্তে ইতিহাসের হাতছানি ছিল সুপ্তার সামনে। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ফ্রেয়া সার্জেন্টের বলে আর্লেন কেলির হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় শারমিন সুপ্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪টি চারের মারে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা আক্তার (১৩) ও সুবহানা মোস্তারি (৫)। আইরিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।

Header Ad

নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেনের এক দশকের সংসার জীবনে ফাটল ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তার স্ত্রী কাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব এমন দাবি করে আজ বুধবার ভোররাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন ঋদ্ধি।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বউ বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে। আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয় কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকতে দেব না।

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনোই পছন্দ ছিল না! তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীদের হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়া দাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য, এডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

নিরবকে মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজকে থেকে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে কদাকার সংগহীন হলেন! ঋদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম আপদ আপনার সুন্দর জীবনের ধারে কাছে আর না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আসলেই অসম্ভব ভালো একজন মানুষ যে কখনো কারো খারাপ করতে পারেন না। অন্তত আমি ২০১৪-২০২৪ এর মাঝে কখনো দেখিনি আপনি মানুষ হিসেবে খারাপ। শুধুমাত্র আমিই ছিলাম আপনার চক্ষুশূল এবং একমাত্র বিরক্তির কারণ! এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তাদের শুরুর কথা স্মরণ করিয়ে ঋদ্ধি লেখেন, ২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা বাবা সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না! আপনার সব সমস্যার কারণ হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দিস টাইম উই আর ডান ফরএভার।

সর্বশেষ নায়কের স্ত্রী লেখেন, আমি জানি না পরবর্তীতে আপনার নতুন পার্টনারকে আমি কিভাবে সহ্য করব। শুধু অতটুকুর জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সেই শক্তিটা দেয় যে আপনাকে আর বিরক্ত করতে আমার না হয়। আপনি যেন অসাধারণ যোগ্য পার্টনার পান সেই দোয়া করি এই আজানের সময়! সরি ফর অল যাই পজেজিভনেস এ্যান্ড মেন্টাল টরচারস। আমাকে মন থেকে মাফ করে দিয়েন।

এদিকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিরবেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়। দুই মাসের সফরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নিরবের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে নিরব-ঋদ্ধি ঘরে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীদের জন্য ইলিশ মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান