সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইভিএমে কি আসলে ভোট কারচুপি করা যায়?

নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) উত্তম মাধ্যম বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক মহলে ইভেএমের পক্ষে-বিপক্ষে যে আলোচনা সেটা রাজনৈতিক আলোচনা। প্রকৃতপক্ষে ইভিএমে ভোট কারচুপি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কোথাও কেন্দ্র দখল বা বুথ দখল হলে সেই দায় ইভিএমের নয় বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা যতই এগিয়ে আসছে ততই ভোটের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা সরগরম হচ্ছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দেওয়া বক্তৃতায় বলেছেন আগামী নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। তার সেই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ নেতারাও একই সুরে কথা বলছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে আশ্বস্ত নয় অন্যতম বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা বলছে ইভিএম কেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না।

ক্ষতাসীন আওয়ামী লীগসহ তাদের শরীকরা ইভিএমের প্রতি আস্থাশীল থাকলেও বিএনপিসহ তাদের অনুসারীরা এর চরম বিরোধিতা করে আসছে। তাদের দাবি যেখানে যার ক্ষমতা বেশি সেখানে তাদের লোক দাঁড়িয়ে ইভিএমের বোতাম চেপে ভোটের চিত্র পাল্টে দিতে পারে। সেই সুযোগ ইভিএমে রয়েছে।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের ব্যবহার দেখা গেছে। ভোটের নিউজ কাভার করতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণে গতি কম ছিল। একজনের ভোট আর একজন দিয়েছে এরকম খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন আগেই বোতাম চেপে ভোট দিয়ে রেখেছে। এ যুক্তির সঙ্গে একমত নন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি একজনের ভোট আর একজন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ যন্ত্রটিতে ভোটার আইডি প্রবেশ না করালে কোনো লাভ হবে না।

আগামী নির্বাচনে ভোট কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে যখন চারদিকে জল্পনা কল্পনা তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাইরে থেকে পরামর্শ যাই আসুক সিদ্ধান্ত নেব আমরা। তবে বর্তমান পেক্ষাপটে ৩০০ সংসদীয় আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সামর্থ্য নির্বাচন কমিশনের নেই সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ করেছেন। সেই সংলাপে ইভিএম এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি এসেছে। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেছিলেন, ‘ইভিএম সব সময় বিতর্কিত। এটার সমাধান না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জোরের সঙ্গে বলব- ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য।’

সেন্টার ফর পলিসি ডাইলগের (সিপিডির) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘ইভিএমের ব্যবহার অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। এটা থেকে দূরে থাকা ভালো। ইভিএম নিয়ে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিতে পারে। ইভিএম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।’

ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ যন্ত্রে যে ম্যানুপুলেট করা যায় না-তা নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না।’

চারদিকে ইভিএম নিয়ে যখন এত আলোচনা তখন বাস্তবায়নকারীরা কী বলেন এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। বাইরে কে কী বলল সেটা তো আমি বলতে পারব না।‘

ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোটগ্রহণ আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি জানিয়েছেন সদ্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একসময় জাল ভোট হতো। কোনো কেন্দ্রে ঝটিকা একটা আঘাত হেনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টার জন্য কেন্দ্রটা দখল করে ২০০-৩০০ ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটত। ইভিএম একটি যন্ত্র। এ যে অনিয়মগুলো সেগুলো চিহ্নিত করতে ভালো একটা যন্ত্র হচ্ছে ইভিএম। কেউ যদি বলে ডিজিটাল কারচুপি করা সম্ভব, এটা সম্ভব না। যদি না মেশিনের প্রোগ্রামিং চেঞ্জ করতে পারে। সেটা নিশ্চই সম্ভব না।’

‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বাইরের লোকের উপর শতভাগ নির্ভর করতে হয়। পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার হায়ার করতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে, তাদের উপরই ভোটের স্বচ্ছতা নির্ভর করে। যদি কেন্দ্র দখল হয়ে যায়, সেখানে যদি বুথের মধ্যে কেউ থাকে সেটা তো বুথ দখল হয়ে যাওয়া। সেখানে ইভিএমের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যালট পেপারে সেটা আরও বেশি হতো। ইভিএমে অত ফাস্ট ভোট দিতে পারে না। ভোটারের উপস্থিতির প্রয়োজন আছে। সব দিক বিবেচনায় ইভিএম স্বচ্ছতা বা ভালো ভোটের জন্য ব্যালট পেপারের চেয়ে বেটার।’

 

Header Ad
Header Ad

খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এবারের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সরকার রমজানের পুরো মাস নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম বলেন, রমজানে সাধারণত ভোজ্যতেল, ছোলা ও খেজুরের মতো কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়ে। এসব পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিকল্পনা কমিশন একযোগে কাজ করছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং বাজার পরিস্থিতি প্রতিদিন মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশ একাধিক বন্যার সম্মুখীন হয়, যার কারণে সরকারের মনোযোগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দিকে ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অক্টোবর মাসেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনা অনুসারে উপদেষ্টামণ্ডলী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার ফলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা থাকলো না।

সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো.রেজাউল হক ২ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন রেখেছিলেন।

ওইদিন আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। রায়ের দিন আবেদনকারীদের আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার ৫৩১ জনের তৃতীয় পর্যায়ের যে নিয়োগ ছিল সেটা ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থী। এ কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫৩ জন রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সেই রিট পিটিশনে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে উত্তীর্ণদের যে ফল ঘোষণা করেছে সেটাকে ২৩ জুলাইয়ের পরিপন্থি এবং আপিল বিভাগের ২১ জুলাইয়ের রায়ের পরিপন্থি বলেছেন।

রায়ের উপসংহার হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের যে ফলাফল সেটা বাতিল হবে। নতুন করে মেধার ভিত্তিতে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশন ফলো করে ফলাফল প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনে মেধার যে ৯৩ শতাংশ নির্ধারণ করা ছিল সেটা ফলো করতে বলা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৫ শতাংশ। এছাড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা ছিল।

২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিতরা হাইকোর্টে রিটটি করেন।

রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। মার্চ মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমিয়ে ১,৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১,৪৭৮ টাকা ছিল, যা মার্চ মাসের জন্য কমিয়ে ১,৪৫০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও সমন্বয় করা হয়েছে। ১ টাকা ৩১ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের নতুন দাম ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসি জানিয়েছে, সৌদি আরামকোর ঘোষিত প্রোপেন ও বিউটেনের মূল্য পরিবর্তনের কারণে এই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সৌদি সিপি অনুযায়ী, প্রোপেনের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬১৫ মার্কিন ডলার এবং বিউটেনের মূল্য ৬০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত এলপিজির দাম চার দফা কমানো হয়েছে, সাত দফা বাড়ানো হয়েছে এবং একবার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। দাম কমায় ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও, গত কয়েক মাসে একাধিকবার মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে এর প্রকৃত প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম
বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার