বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইভিএমে কি আসলে ভোট কারচুপি করা যায়?

নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) উত্তম মাধ্যম বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক মহলে ইভেএমের পক্ষে-বিপক্ষে যে আলোচনা সেটা রাজনৈতিক আলোচনা। প্রকৃতপক্ষে ইভিএমে ভোট কারচুপি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কোথাও কেন্দ্র দখল বা বুথ দখল হলে সেই দায় ইভিএমের নয় বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা যতই এগিয়ে আসছে ততই ভোটের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা সরগরম হচ্ছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দেওয়া বক্তৃতায় বলেছেন আগামী নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। তার সেই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ নেতারাও একই সুরে কথা বলছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে আশ্বস্ত নয় অন্যতম বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা বলছে ইভিএম কেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না।

ক্ষতাসীন আওয়ামী লীগসহ তাদের শরীকরা ইভিএমের প্রতি আস্থাশীল থাকলেও বিএনপিসহ তাদের অনুসারীরা এর চরম বিরোধিতা করে আসছে। তাদের দাবি যেখানে যার ক্ষমতা বেশি সেখানে তাদের লোক দাঁড়িয়ে ইভিএমের বোতাম চেপে ভোটের চিত্র পাল্টে দিতে পারে। সেই সুযোগ ইভিএমে রয়েছে।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের ব্যবহার দেখা গেছে। ভোটের নিউজ কাভার করতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণে গতি কম ছিল। একজনের ভোট আর একজন দিয়েছে এরকম খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন আগেই বোতাম চেপে ভোট দিয়ে রেখেছে। এ যুক্তির সঙ্গে একমত নন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি একজনের ভোট আর একজন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ যন্ত্রটিতে ভোটার আইডি প্রবেশ না করালে কোনো লাভ হবে না।

আগামী নির্বাচনে ভোট কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে যখন চারদিকে জল্পনা কল্পনা তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাইরে থেকে পরামর্শ যাই আসুক সিদ্ধান্ত নেব আমরা। তবে বর্তমান পেক্ষাপটে ৩০০ সংসদীয় আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সামর্থ্য নির্বাচন কমিশনের নেই সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ করেছেন। সেই সংলাপে ইভিএম এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি এসেছে। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেছিলেন, ‘ইভিএম সব সময় বিতর্কিত। এটার সমাধান না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জোরের সঙ্গে বলব- ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য।’

সেন্টার ফর পলিসি ডাইলগের (সিপিডির) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘ইভিএমের ব্যবহার অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। এটা থেকে দূরে থাকা ভালো। ইভিএম নিয়ে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিতে পারে। ইভিএম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।’

ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ যন্ত্রে যে ম্যানুপুলেট করা যায় না-তা নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না।’

চারদিকে ইভিএম নিয়ে যখন এত আলোচনা তখন বাস্তবায়নকারীরা কী বলেন এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ইভিএমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। বাইরে কে কী বলল সেটা তো আমি বলতে পারব না।‘

ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোটগ্রহণ আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি জানিয়েছেন সদ্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একসময় জাল ভোট হতো। কোনো কেন্দ্রে ঝটিকা একটা আঘাত হেনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টার জন্য কেন্দ্রটা দখল করে ২০০-৩০০ ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটত। ইভিএম একটি যন্ত্র। এ যে অনিয়মগুলো সেগুলো চিহ্নিত করতে ভালো একটা যন্ত্র হচ্ছে ইভিএম। কেউ যদি বলে ডিজিটাল কারচুপি করা সম্ভব, এটা সম্ভব না। যদি না মেশিনের প্রোগ্রামিং চেঞ্জ করতে পারে। সেটা নিশ্চই সম্ভব না।’

‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বাইরের লোকের উপর শতভাগ নির্ভর করতে হয়। পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার হায়ার করতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে, তাদের উপরই ভোটের স্বচ্ছতা নির্ভর করে। যদি কেন্দ্র দখল হয়ে যায়, সেখানে যদি বুথের মধ্যে কেউ থাকে সেটা তো বুথ দখল হয়ে যাওয়া। সেখানে ইভিএমের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ব্যালট পেপারে সেটা আরও বেশি হতো। ইভিএমে অত ফাস্ট ভোট দিতে পারে না। ভোটারের উপস্থিতির প্রয়োজন আছে। সব দিক বিবেচনায় ইভিএম স্বচ্ছতা বা ভালো ভোটের জন্য ব্যালট পেপারের চেয়ে বেটার।’

 

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

শারমিন আক্তার সুপ্তার প্রথম সেঞ্চুরি হয়েও আর হলো না। ৯৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা সুপ্তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পেয়েছে নারী দলের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচের সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন শারমিন সুপ্তা। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়তেও পারতেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম হান্ড্রেডের মালিক হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েছেন সুপ্তা।

সাজ ঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ৮৯ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল ২৫০। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। তবে এবার আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ রেখে ঘরের মাঠে আইরিশ মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ব্যাট করতে নেমে উইকেট অক্ষত রাখতে পারলেও শুরুর দিকে বেশ মন্থর ছিলেন ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্‌বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। তবে ততক্ষণে ১৮ ওভারেরও বেশি খেলা শেষ হয়ে যায়।

৬১ বলে ৩৮ রান করে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানা হক। চার বাউন্ডারিতে ১১০ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন শারমিন সুপ্তা। রানের গতিও বাড়ছিল।

বাংলাদেশের ইনিংসে সাধারণত এক উইকেট পড়লে পরপর আরও কয়েকটি পড়ে যায়। আজ এ জায়গায় বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক মেয়েদের। এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জ্যোতি। ২৮ বলে সমান সংখ্যক রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

অন্য প্রান্তে ইতিহাসের হাতছানি ছিল সুপ্তার সামনে। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ফ্রেয়া সার্জেন্টের বলে আর্লেন কেলির হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় শারমিন সুপ্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪টি চারের মারে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা আক্তার (১৩) ও সুবহানা মোস্তারি (৫)। আইরিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।

Header Ad

নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেনের এক দশকের সংসার জীবনে ফাটল ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তার স্ত্রী কাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব এমন দাবি করে আজ বুধবার ভোররাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন ঋদ্ধি।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বউ বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে। আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয় কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকতে দেব না।

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনোই পছন্দ ছিল না! তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীদের হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়া দাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য, এডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

নিরবকে মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজকে থেকে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে কদাকার সংগহীন হলেন! ঋদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম আপদ আপনার সুন্দর জীবনের ধারে কাছে আর না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আসলেই অসম্ভব ভালো একজন মানুষ যে কখনো কারো খারাপ করতে পারেন না। অন্তত আমি ২০১৪-২০২৪ এর মাঝে কখনো দেখিনি আপনি মানুষ হিসেবে খারাপ। শুধুমাত্র আমিই ছিলাম আপনার চক্ষুশূল এবং একমাত্র বিরক্তির কারণ! এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তাদের শুরুর কথা স্মরণ করিয়ে ঋদ্ধি লেখেন, ২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা বাবা সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না! আপনার সব সমস্যার কারণ হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দিস টাইম উই আর ডান ফরএভার।

সর্বশেষ নায়কের স্ত্রী লেখেন, আমি জানি না পরবর্তীতে আপনার নতুন পার্টনারকে আমি কিভাবে সহ্য করব। শুধু অতটুকুর জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সেই শক্তিটা দেয় যে আপনাকে আর বিরক্ত করতে আমার না হয়। আপনি যেন অসাধারণ যোগ্য পার্টনার পান সেই দোয়া করি এই আজানের সময়! সরি ফর অল যাই পজেজিভনেস এ্যান্ড মেন্টাল টরচারস। আমাকে মন থেকে মাফ করে দিয়েন।

এদিকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিরবেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়। দুই মাসের সফরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নিরবের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে নিরব-ঋদ্ধি ঘরে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান