সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অ্যামনেস্টি ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যখন পক্ষপাতদুষ্ট হয়, ক্রেডিবিলিটি হারায় সেটি আমাদেরকে পীড়া দেয়। একইভাবে টিআইবি ও তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আর রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার এর প্রতিবেদনও পক্ষপাতদুষ্ট।

বুধবার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ওকাব এর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ওকাব আহ্বায়ক বিবিসি বাংলার প্রতিনিধি কাদির কল্লোলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জার্মান প্রেস এজেন্সির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনবি’র উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আরএসএফ, হিউম্যান রাইটস ও টিআইবি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এক এক করে ওই সংগঠনগুলো সম্পর্কে জবাব দেন।

প্রথমে তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মত এই ধরনের সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় তাহলে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস এর প্রয়োজন রয়েছে। দেশে এবং বিদেশে সব জায়গায় প্রয়োজন রয়েছে। তো সেই সংগঠন যখন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে যায়, সেই সংগঠন যখন ক্রেডিবিলিটি হারায় সেটি আমাদেরকে পীড়া দেয়। যেটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্ষেত্রে ঘটেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে। আবার আমাদের দেশে যখন নির্বিচারে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হল, ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করা হল , জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে দেওয়া হল, দাঁড়ানো ট্রাকে ড্রাইভার যখন গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে ঘুমাচ্ছে সেখানে পেট্রোল বোমা মেরে সেই চালককে অঙ্গার করে দেওয়া হল এগুলোর বিরুদ্ধে তো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় না। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দেয় , আবার পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষকে একই দেশে হত্যা করার পরও বিবৃতি দেয় না, তাহলে সেই সংগঠন কি পক্ষপাত দুষ্ট নয়? প্রশ্ন তুলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যখন ইজরাইলে ফিলিস্তিনি শিশুরা ইজরাইলি বাহিনীর উপর ছোঁড়ার প্রতিউত্তরে ইজরাইলি বাহিনী যখন ব্রাশ ফায়ার করে শিশুদের হত্যা করে সেটির বিরুদ্ধে তো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে আমরা অন্য দেশে পান থেকে চুন খসলে বিবৃতি দিতে দেখি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রে (ফিলিস্তিন) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চুপ। অনেকে ক্ষেত্রে তারা পক্ষপাতদুষ্ট বিবৃতি দেয়।

রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এর কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, তারা যে রিপোর্টটি কদিন আগে প্রকাশ করেছে, আফগানিস্তানে যেখানে নারী সাংবাদিক টেলিভিশনে খবর পড়েছে সে জন্য তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আফগানিস্তানে টেলিভিশন থেকে সমস্ত নারী সাংবাদিকদের বিদায় দিয়ে দেওয়া হলো, যে দেশে সাংবাদিকতাই নাই, যেই দেশে সাংবাদিকরা কোনোভাবেই কাজ করতে পারে না, সেটির নিচে বাংলাদেশকে অবস্থান দিয়ে তারাই তো প্রমাণ করেছে তাদের এই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্টু। আমার প্রমাণ করার দরকার নাই। আমি সেটিই বলতে চেয়েছি।

টিআইবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবি’র মত প্রতিষ্ঠান থাকা প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনগুলো আমি মনে করি যে, তারা যখন ভুল ধরে দেয়, তারা যখন দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে পরামর্শ দেয় বা প্রশ্ন তুলে সেটি ভালো। সেই কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেই সংগঠন যখন রাজনৈতিক দলের মত বিবৃতি দেওয়া শুরু করে তখন তো সেই সংঠনের আর ক্রেডিবিলিটি থাকে না। কোথায় কোন টিটিই একজন বরখাস্ত হল, সকাল বেলা বিবৃতি দিয়ে দিল। এই বিবৃতি...রাজনৈতিক দলের বিবৃতি আর টিআইবি’র বিবৃতির মধ্যে তো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, পুরো বিশ্বে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টার (টিআই) ক্রেডিবিলিটি লস করেছে সেটা আমি বলব না, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ‘টিআইবি হ্যাজ লসট ইটস ক্রেডিবিলিটি’। আপনারা জানেন যে, টিআইবি যে সমস্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে...কদিন আগে করোনার টিকা নিয়ে একটা রিপোর্ট প্রকাশ করল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দিয়েছি। আর ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বলেছেন যে, আমরা ১৭ হাজার কোটি টাকা টিকা খাতে খরচ করেছি। টিআইবি নাকি গবেষণা করেছে এটি নিয়ে। তো গবেষণা করে তারা বের করল যে,এইখাতে ২৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। তারা গবেষণা করেছে।

পরে আমরা যেটা দেখতে পেলাম যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দিয়েছি। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। ১৭ হাজার কোটি টাকার টিকা আমরা কিনেছি। আর এই ১৭ হাজার কোটি টাকার টিকা পরিবহন, প্রিজার্ভেশন, ডিস্ট্রিবিউশন ও পুশ-এই খাতে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর বিনামূল্যে ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা পেয়েছি। অথচ টিআইবি গবেষণা করল, এত ভালো গবেষণা যে, গবেষণা করে বের করল ২৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এটা যে কোনো গবেষণা নয়, এটা যে চটজলদি একটা বক্তব্য দেওয়া এটি তো এই প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমি এটিই বলেছি।’

জামালপুরে জেলা প্রশাসক কর্তৃক সরকারি অনুদানের ছবি ‘গলুই’ এর প্রদর্শনী বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছি ছবিটি চালু করে দিতে। চালু করে দিয়েছে। আর আমার মনে হয় এই কাজটি করার আগে আরেকটু ভাবা প্রয়োজন ছিল।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ওকাবের মিট দ্যা প্রেস-এ যোগ দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণমাধ্যম কর্মী আইন ২০২২, প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, করোনকালে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিকদের সহায়তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। মার্চ মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমিয়ে ১,৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১,৪৭৮ টাকা ছিল, যা মার্চ মাসের জন্য কমিয়ে ১,৪৫০ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও সমন্বয় করা হয়েছে। ১ টাকা ৩১ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের নতুন দাম ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসি জানিয়েছে, সৌদি আরামকোর ঘোষিত প্রোপেন ও বিউটেনের মূল্য পরিবর্তনের কারণে এই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সৌদি সিপি অনুযায়ী, প্রোপেনের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬১৫ মার্কিন ডলার এবং বিউটেনের মূল্য ৬০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত এলপিজির দাম চার দফা কমানো হয়েছে, সাত দফা বাড়ানো হয়েছে এবং একবার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। দাম কমায় ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও, গত কয়েক মাসে একাধিকবার মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে এর প্রকৃত প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, যারা অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাদের জন্য শরিয়ত সহজ বিধান রেখেছে। এই ধরনের ব্যক্তি রোজা রাখতে বাধ্য নন এবং তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে ফিদিয়া প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আর যাদের জন্য রোজা কষ্টদায়ক, তারা প্রতিদিন একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করবে।" (সূরা বাকারা: ১৮৩-১৮৪)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এটি বিশেষভাবে অতি বৃদ্ধ নর ও নারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা রোজা পালনে অক্ষম। তাদের জন্য প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানোর বিধান রয়েছে (বুখারী: ৪৫০৫)।

ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম:
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম, তিনি প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্রকে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ খাবার প্রদান করবেন অথবা সকাল-বিকেল পেট ভরে খাবার খাওয়াবেন। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশি দান করতে চান, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

ইসলাম একটি সহজ ও সহনশীল ধর্ম। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের ওপর আল্লাহ কোনো কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। তাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়া যথেষ্ট, যা ইসলামিক বিধানের সহজ ও বাস্তবসম্মত দিককে প্রতিফলিত করে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

ব্রিফ করছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (ইনসটে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯), এবং রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম
বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬