হুদা কমিশনের অধীনে শেষ নির্বাচন ৩১ জানুয়ারি
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে দেশের ২১৯ ইউপিতে ভোট এদিন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠণ করে ফেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে এ ধাপের নির্বাচনের তারিখ জানান ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল অনুমোদন দেওয়া হয়।
তফসিল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৬ জানুয়ারি বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ জানুয়ারি। এবার এ ধাপের সব ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ২০০ এর বেশি পরিষদের ভোট হয়েছে। আরও দেড় হাজার ইউপির ভোটের তফসিল হয়েছে। ষষ্ঠ ধাপের ২১৯টি নিয়ে এখন প্রায় চার হাজার ইউপির তফসিল হল।
নূরুল হুদার কমিশন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচন উপযোগী সব ইউপির ভোট ধাপে ধাপে শেষ করার পরিকল্পনা করেছে। বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষের আগে স্থানীয় সরকারের শেষ নির্বাচন এটি। চলতি বছরের মার্চে ইউপি ভোটের তফসিল দিয়ে ১১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা আটকে যায়। পরে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ১১ নভেম্বর এবং তৃতীয় ধাপে ১০০৪টির নির্বাচন হয় ২৮ নভেম্বর। আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টিতে এবং পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ৫ জানুয়ারি ভোট হবে। ষষ্ঠ ধাপে ভোটের তারিখ ৩১ জানুয়ারি। বাকিগুলো মেয়াদ শেষে নির্বাচন উপযোগী হলে পরের কমিশনকে করতে হবে।
এসএম/জেডএকে