পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিন-চার মাস পর পরই যেন বাসা-বাড়ির পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা হয় সেজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাসা-বাড়ির পানির রিজার্ভার সময়মত পরিষ্কার না করার কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। তাই এখন থেকে ওয়াসা ম্যাসিভ প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন করবে যেন, অনুগ্রহ করে যার যার পানির রিজার্ভারগুলো যেন পরিষ্কার করেন। না হলে এটা ঠেকানো কঠিন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কলেরা বা ডাযারিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্ধারিত আলোচনার বাইরে বিশেষ করে বর্তমান কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ঢাকাতে গত ২০/২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়ারিয়ার প্রকোপ খুব একটা দেখা যায়নি।
ডায়ারিয়া মূলত হতো ডাউনে। যখন শুস্ক মওসুমে পানির খুব অভাব হয় তখন বরিশালসহ কোস্টাল বেল্টে সাধারণ ডায়ারিয়া হত। কিন্তু এবার ঢাকাতেও হয়েছে। এর কতগুলো কারণ আমরা ফাইন্ড আউট করেছি। মন্ত্রিসভায়ও বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেক করে দেখলাম ওয়াসা যে পানি দেয় তার সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কোন সোর্সে ব্যাকটেরিয়া নেই। পানিটা যে নিয়ে এসেছে অনেক জায়গায় লিক আছে। অনেক জায়গায়ই হাইরাইজ বিল্ডিং হচ্ছে। যার ফলে ন্যাচারেলি পানির ডিম্যান্ড বাড়ছে। এ কারণে অনেক জায়গায়ই নতুন করে পানির লাইন টানা হচ্ছে সেখানে অসুবিধা হচ্ছে। এখন মানুষ কী করছে, সব জায়গায় মানুষ ওয়াসার পাইপ কেটে কেটে নিজেরা পাম্প বসিয়ে টেনে নিয়ে আসছে। ওই যে পাম্প বসাচ্ছে ওইখানে লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়েই ব্যাকটেরিয়া ঢুকছে। এটা অন্যতম একটা রিজনেবল কারণ।’
এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়টি ওয়াসাকে বলা হয়েছে। তারা নোটিশ করবে। তারপর ব্যবস্থা নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অলমোস্ট সব জায়গাতেই। তবে কয়েকটা জায়গায় বেশি হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশেষজ্ঞরা কয়েক জায়গায় পানি পরীক্ষা করে জানিয়েছেন সেসব জায়গায় ক্লোরিনের একটু শর্ট আছে। ক্লোরিনের শর্টও ওয়ান অব দ্যা রিজন্স। এটার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ওয়াসাকে জানানোর পর তারা ওইসব এলাকায় গিয়ে ক্লোরিনের সমস্যা সমাধান করায় পানির সমস্যা কমে গেছে।
তিনি জানান, ডব্লিউএইচও আমাদেরকে সাড়ে সাত মিলিয়ন কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়ারিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এটা মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে দেওয়া হবে।
এনএইচবি/এমএমএ/