বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছে ৩৩ হাজার পরিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে তৃতীয় ধাপে ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করবেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের জমির দলিল ও ঘরের চাবি প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় ধাপে ৬৫ হাজারের বেশি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তরের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সে লক্ষ্যেই নির্মাণকাজ চলে। এরই মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর নির্মাণ হয়ে গেছে। এগুলো ঈদের আগে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করার মধ্যদিয়ে তাদের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে জানানো হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে তাদের। এর সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের কাছে ঘর হস্তান্তরের চিত্র তুলে ধরে জেলা সংবাদদাতারা জানান-

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পেতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ কথা জানান। এ পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।

খুলনা জেলায় ১৪টি রূপসায়, ৬২টি তেরখাদায়, ৩৫টি দিঘলিয়ায়, চারটি ফুলতলায়, ৬৫টি ডুমুরিয়ায়, ৩৬টি পাইকগাছায় ও দাকোপে ২০টি পরিবারের কাছে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তৃতীয় পর্যায়ে খুলনার জন্য পাঁচটি ধাপে সর্বমোট ৯০৬টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে।

গোপালগঞ্জের ৬১২টি পরিবারকে একটি করে গৃহ ও দুই শতক জমি প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।

ঈদের আগে বগুড়ায় ৯৩০ গৃহহীন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে জেলায় ৯৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসাবে জয়পুরহাটের ২০৬টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে তাদের স্বপ্নের নিবাস।

পিরোজপুরে উপহারের ঘর পাচ্ছে এক হাজার ১১১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ একর জমির উপর এই ২২৮টি গৃহ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।

পাবনা জেলার ৩৭৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ স্বপ্নের ঘর। জেলা প্রশাসক জানান, তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে পাবনার ৯ উপজেলা ৩৭৩ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। পাবনায় মোট ৬৫৪টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ঠ ঘর জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এর আগে পাবনায় দুই পর্বে এক হাজার ৪২৩ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে বিদুৎ, রাস্তা, স্যানেটারি, পানিসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে নওগাঁ জেলায় ৫৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ তৈরি বাড়ি। জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মসূচির তৃতীয পর্যায়ে জেলায় ৬১০টি পরিবারের অনুকুলে গৃহনির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত গৃহ নির্মাণের আওতায় ইতিমধ্যে ৫৪০টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০টি’র নির্মাণ কাজ চলছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ১৮৪ টি গৃহহীন পরিবার জমিসহ পাকা বাড়ি পাচ্ছে। ৬৯৬টি পরিবারকে জমির দলিলসহ পাকা বাড়ি উপহারের দলিল হস্তান্তর করা হবে। এবারে প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে সামান্য ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই নির্মাণ ব্যয় বাড়ি প্রতি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে।

বরগুনার খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১৯ জনকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। দুই শতাংশ জমিতে দুই রুমের পাকা ঘরের সাথে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা সম্বলিত আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রত্যেক ঘরেই জ্বলবে বিদ্যুতের আলোও।

রংপুরের পীরগঞ্জে তৃতীয় পর্যায়ে ২৪০ টিকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আজ ১২০টি পরিবারকে জমি হস্তান্তর করবেন।

চাঁদপুরের ৭৫২ পরিবারকে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে আজ। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, জেলায় ১২৩টি ঘর ভূমিহীনদের দেয়া হচ্ছে।

রাঙ্গামাটিতে তৃতীয় পর্যায়ে জেলায় মোট ২০৬টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৫০টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২৬টি স্থানে এক হাজার ৪৪২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১৫টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের উপহার হিসেবে পাকা ঘর পাচ্ছে যশোরের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬১০টি পরিবার।

নীলফামারী জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের নতুন পাচ্ছে এক হাজার ২০৫ গৃহহীন পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ের এসব ঘরের প্রতিটির নির্মাণ খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে।

নোয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের উপহার হিসেবে পাকা ঘর পাচ্ছে ৩৬৮টি ভূমিহীন পরিবার।

এসএ/

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়