দেশে আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে: সিপিবি
দেশে ‘আধাপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে’। আয় কমে যাওয়ায় আর নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ সংকটে। এসব মানুষকে বাঁচাতে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে। শ্রমিকদের পুরো মাসের বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন মোড়ে সিপিবি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ থেকে এসব কথা বলেন নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা। এছাড়া কথা বলেন, পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও মানবেন্দ্র দেব, ক্ষেতমজুর নেতা আনোয়ার হোসেন রেজা, শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন প্রমূখ।
সভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা ভাত চাই, ভোটের অধিকার চাই। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা এ দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, হরতালও করেছি। কিন্তু আপনারা জানেন আজকে বাংলাদেশের বাজারের কী অবস্থা। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। তিনি আরো বলেন, চালের দাম বাড়িয়ে দিলে অসুবিধা নেই, আগে সাধারণ মানুষের বেতন মজুরি লাখ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু মানুষের আয় দিন দিন কমছে। ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে গণসংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানান তিনি।
সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মানুষের জীবনের দুরবস্থা দূর করতে হলে পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যস্বত্বভোগী চক্র ভাঙতে হলে উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় সর্বত্র বেড়েছে। কিন্তু আয় বাড়েনি। সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, বাজার আজ মধ্যস্বত্বভোগী এবং সিন্ডিকেটের দখলে। সরকারের সে বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। উপরন্তু এদের ওপর ভরসা করেই সরকার টিকে আছে। এই মধ্যস্বত্বভোগী এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসএম/