মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুন্সীগঞ্জে নির্মূল কমিটির নেতারা

হৃদয় মন্ডলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তারই স্কুলে

বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তারই স্কুলে। মুন্সীগঞ্জের পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এ ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে মুন্সিগঞ্জের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। ঢাকা থেকে যাওয়া বিশিষ্ট নাগরিকদের সফর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল উপস্থিতি ছিলেন।

সভায় মুন্সীগঞ্জের পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলাম যার জন্য আওয়ামী লীগের সময়ে মুন্সিগঞ্জে কখনো জামায়াত তাদের দাপট দেখাতে পারেনি। জামায়াত ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ সবসময় মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক নাশকতার চেষ্টা করেছে। তারই নিদর্শন এই শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের উপর ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা।’
তিনি জানান, ‘আগামী মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিনোদপুর রামকুমার স্কুলে যেটা হুদয় মণ্ডলের কর্মক্ষেত্র সেখানকার মাঠে তাকে সংবর্ধন জানাবো বিজ্ঞানের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের জন্য।’

মুন্সিগঞ্জে সূধীসমাজের সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ‘মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও সন্ত্রাস প্রতিহতকরণে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক মতবিনিময় সভায় হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।

নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ও নির্মূল কমিটির মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বলের সঞ্চালনা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জের পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর-এর সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, মুন্সিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান, মুন্সিগঞ্জ জেলা নির্মূল কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলার সভাপতি সুজন হালদার, উদীচির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, পূজার উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমর কুমার ঘোষ, মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাভোকেট নাসিমা আক্তার, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ চৌধুরী নুপুর, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সাধারণ সম্পাদক নবীন কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক বাসুদেব নাগ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববি, উদীচির সদস্য হামিদা খাতুন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের নিকট থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি বলেন, ‘বিগত ৫০ বছর যাবৎ আমি রাজনৈতিক কর্মী। এ সময় আমি প্রত্যক্ষ করেছি নানা কারণে বাংলাদেশের অনেক জেলাতেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলেও মুন্সীগঞ্জে কখনো হয়নি। কিন্তু আপনার সঙ্গে যা হয়েছে এজন্য আমি সত্যিই অনেক ব্যথিত, ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও দুঃখিত।’
হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কেন হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে ১৯ দিন কারারুদ্ধ করে রাখল তা আমার বোধগম্য নয়।’ বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে তার আসনে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠাকরণে যা যা করণীয় তিনি তা করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ এক যুগেরও অধিককাল একটানা ক্ষমতায় তাকার পরও প্রশাসন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবস্থানকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কখনো তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে ইসলাম অবমাননার পোস্ট দিয়ে কিংবা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে কিংবা স্কুলে হিজাব-নেকাব নিয়ে মিথ্যাচার করে সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষকদের হেনস্তা করে বাংলাদেশকে মোল্লা উমরদের তালেবানি আফগানিস্তান বানাতে চাইছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা মুন্সিগঞ্জ এসেছি স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের লাঞ্চনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য। মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির প্ররোচনায় স্কুলের কিছু ছাত্র যেভাবে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে হেনস্তা করেছে, ভিকটিমকে নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো তাকে গ্রেফতার করে প্রশাসন যে ন্যাক্কারজনক আচরণ করেছে আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ১৯ দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বটে তবে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি অত:পর বছরের পর বছর আদর্শবান এই শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগের গ্লানিকর মামলার বোঝা বইতে হবে, যেটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিরীহ ছেলে রসরাজ এবং এ ধরণের সাম্প্রদায়িক মামলার অন্যান্য ভুক্তভোগীর ক্ষেত্রে।’

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আজ আমরা বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি- ১. অবিলম্বে মুন্সিগঞ্জের হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসরাজ ও সুনামগঞ্জের ঝুমন দাস সহ সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের সকল মামলা প্রত্যাহার করে ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে। মুন্সিগঞ্জের প্রশাসনকে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ও তার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২. সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রদান একং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণে জন্য অবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। ৩. সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, বিদ্বেষ, সন্ত্রাস মোকাবেলার জন্য অবিলম্বে বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠন কতে হবে। ৪. ওয়াজের নামে ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত ও ভিন্ন জীবনধারার অনুসারীদের প্রতি অনবরত বিষোদগার করে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জমি উর্বর করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং ৫. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের যে কোনো স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাম্প্রদায়িক উসকানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত করার জন্য ইতিপূর্বে চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরণের জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে বদলি বা সাময়িক বরখাস্ত কোনও শাস্তি নয়।’

বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে লাঞ্ছিত করে জেলে দেয়ার ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশে রয়েছে উল্লেখ করে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশ তালেবানি শাসন কায়েম করতে চায়। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কিছু লোক যারা তাদেরকে সহায়তা করে চলেছে। এদেরকে অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে।’

তিনি হৃদয় মণ্ডলের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিনোদপুর রামকুমার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের নাম উল্লেখ করে করে বলেন. ‘দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে স্থানীয় প্রশাসনকে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে। অন্যথায় পুলিশ প্রশাসনকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ’

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘চলমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় সংখ্যালঘু রক্ষাবাহিনী কমিটি গঠন করতে হবে। কেবল সরকার এবং পুলিশের একার পক্ষে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে প্রতিহত করা সম্ভবপর নয় এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। নিজ নিজ এলাকার মানুষকেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা মানে সমাজের সকল শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা।’ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকরা যেন সকল প্রকার ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে শিক্ষা দিতে পারেন এজন্য তিনি সরকারকে কার্যকারী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাবো বিজ্ঞানের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের জন্য। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ছড়িয়ে যাওয়া বিষয়ে অবশ্যই সরকারের রাজনৈতিক ব্যর্থতা রয়েছে। এ থেকে উত্তরণে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে। পাঠ্যসূচিতে সংস্কৃতি চর্চার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এটা করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে।’

কাজী মুকুল কাজী মুকুল বলেন, ‘শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের লাঞ্ছনার ঘটনার সেঙ্গ জড়িত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, বিনোদপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মামলাকারী ইলেকট্রিশিয়ানকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। কারণ তাদের জন্যেই শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে কারাবাস যাপন করতে হয়েছে। তারা যদি যথাযথ পদক্ষেপ নিতো তবে হৃদয় মণ্ডলকে সাম্প্রদায়িক এ মিথ্যা অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো না। বিশেষ করে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন ও শিক্ষক তাজরিয়ানকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারা ধর্মকে সামনে এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের উপর একের পর এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাচ্ছে। শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের ঘটনাও সে পরিকল্পনারই অংশ। সম্মিলিতভাবে এই মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।’

বিনোদপুর রামকুমার স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘আজকের যারা আমার লাঞ্ছনার প্রতিবাদ জানাতে মুন্সিগঞ্জের সার্কিট হাউজের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এরপর আপনারা আমার পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন সেজন্য শিক্ষক হিসেবে আমি খুব গর্বিত।’

মুন্সিগঞ্জের পূজার উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমর কুমার ঘোষ বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন এতোই বেড়ে গেছে যে, তারা এখন ছাত্রদের দিয়ে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করছে। হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের ঘটনায় বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মুন্সিগঞ্জ জেলার সভাপতি সুজন হালদার বলেন, ‘পাঠ্যসূচিতে সাংস্কৃতিক চর্চার বিষয়ে একাধিক অধ্যায় রাখলে শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নকালীনই অসাম্প্রদায়িক হিসেবে বেড়ে উঠবে।’

মুন্সিগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাভোকেট নাসরিন আক্তার বলেন, ‘গত কয়েকবছরে মুন্সিগঞ্জে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ছাড়াও এ সময়ে আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক এসব ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক এসব ঘটনা ঘটছে বিচারহীনতার কারণে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মুন্সিগঞ্জেও এসব ঘটনা ঘটছে। সুদর্শন গাঙ্গুলীর বাড়ি ও সিরাজদীখানের ফেওনাসারে শিব মন্দিরের ভূমি দখল, গোয়ালখালীর সেতু মণ্ডলকে রাস্তা থেকে তুলে এনে অপমান নির্যাতন করার জেরে তার আত্মহত্যা। বিভিন্ন মন্দিরে যারা হামলা করছে তাদের পাগল অপ্রকৃতিস্থ আখ্যা দিয়ে অপরাধ ছোট করে দেয়া হয়েছে। আর সে কারণেই আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এই বিচারহীনতা থেকেই এ ধরণের অপরাধের পরিমাণ বাড়ছে।’

এপি/

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়