ছবিতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ ছিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এবার বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখ বরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার সড়কদ্বীপের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে রমনার বটমূলে সকাল সোয়া ৬টায় রাগ সংগীতের সুরের মূর্ছনায় শুরু হয় ছায়ানটের বৈশাখ আবাহন। কেমন ছিল এবারের বর্ষবরণ- ছবিতে দেখে নেওয়া যাক।
রমনা বটমূলে শুভ্র আর সবুজ পোশাক পরিহিত নানা বয়সি ৯০ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হয় ছায়ানটের অনুষ্ঠান।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
নানা ধরনের মুখোশ হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অনেককে অংশ নিতে দেখা যায়।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আল্পনা এঁকে বৈশাখকে স্বাগত জানান। অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুদের নিয়ে নাচে গানে নববর্ষ উদযাপন করেন।
চারুকলায় অনেককেই ঢোল বাজাতে দেখা যায়।
কেউ নিচ্ছেন বিশ্রাম, আবার কেউ কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত।
রাস্তার ধারে জমে উঠে বৈশাখী মেলা।
হকাররা শিশুদের খেলনাসহ নানা ধরনের পণ্য নিয়ে মেলায় বসেন।
বাঙালির এই ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন বিদেশিরাও।
হাতে আলপনা আঁকিয়ে নেন অনেকেই।
এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, গত দুই বছর আমরা এ উৎসবটি করতে পারিনি। এ উৎসবে আমাদের প্রত্যাশা, দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান যে শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, তা দূরীভূত হোক।
আমরা মনে করি আমাদের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ, অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে নিশ্চয়ই আমরা বিজয়ী হব। দেশবাসীর প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল।
এনএইচবি/আরএ/
