তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা প্রয়োজন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

তামাক পণ্যের উপর কার্যকর কারারোপের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেখানে তামাকের উপর করের কাঠামো ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক নীতি-সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
মূল নিবন্ধে ড. আতিউর রহমান তামাক আইন শক্তিশালীকরণের জন্য পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান বাতিল, বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কর্মসূচির সুযোগ বাতিল, তামাক পণ্যের গায়ে সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ–এই ছয় দফা প্রস্তাব এবং এগুলোর যৌক্তিকতা সবিস্তারে তুলে ধরেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি প্রয়োজনীয় পরিবর্ধন বা পরিমার্জনের পর এটি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে এ বিষয়ে আরও সচেতন করে তোলার উপর জোর দেন শিরীন আখতার, এমপি। অরমা দত্ত, এমপি তার বক্তব্যে নীতি-নির্ধাকরকসহ সব অংশীজনকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিবেচনায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
জেডএ/এসএ/
