পুলিশকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি: আইজিপি
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা প্রতিনিয়ত সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পুলিশকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আমরা চাই, কোনো অন্যায় বা অদক্ষতার সঙ্গে পুলিশ জড়িত না হোক।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আইজিপি।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সংগঠন একটি জীবন্ত বিষয়। সংগঠনকে জীবন্ত রাখতে হলে প্রয়োজন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন, দরকার সংস্কার। পরিবর্তনের ভেতর দিয়েই একটি সংগঠন টিকে থাকে, এগিয়ে যায়। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অন্যতম প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘ চাকরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আইজিপি বলেন, পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এ তিনটি জায়গায় কাজ করা খুব দরকার।
তিনি তার কর্মকালে সবার সহযোগীতায় কনস্টেবল, সাব-ইনস্পেক্টর ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগ বিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছেও বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, কনস্টেবল পদে ‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। যার সুফল দেশের জনগণ খুব শিগগিরই পাবেন। তিনি এএসপি পদে নিয়োগ বিধিতেও সংস্কার আনার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন।
করোনাকালে দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশের মহাকাব্যিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, পুলিশ জনগণের যে ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করেছে তা অভূতপূর্ব। জনগণের এ আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।
তিনি আগামীতে দেশের জন্য, দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আইজিপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম, ডিআইজি তওফিক মাহবুব চৌধুরী ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলিশ ইনস্পেক্টর বি এম ফরমান আলী।
অনুষ্ঠানে আইজিপির কর্মকালীন সময়ের খণ্ডচিত্রের ভিত্তিতে নির্মিত দুটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে আইজিপিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাগরিকদের অভিমতের ভিত্তিতে ‘পরিবর্তনের পরিক্রমা: নাগরিক অভিমত’ এবং বিট পুলিশিংকে উপজীব্য করে রচিত ‘দুর্জয়ের ডাইরির’ দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কেএম/এএস