দাবিপূরণের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার, চলবে ট্রেন
পুরনো নিয়মে ভাতা ও পেনশন সুবিধা বহাল রাখার দাবিতে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছিল ট্রেনের চালক ও রানিং স্টাফরা। দাবিপূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন রানিং স্টাফরা। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়ে রানিং স্টাফদের উপস্থিতিতে রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, তার জন্য আন্দোলনকারী রানিং স্টাফদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।’ তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
অপরদিকে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেছেন, ‘এটি কোনো পূর্ব কর্মসূচি ছিল না। রানিং স্টাফরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের কর্মসূচি পালন করেছেন। এখন আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
এর আগে বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন চালকরা। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সারাদেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভোর থেকে শত শত মানুষ অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
চালকদের দাবি ছিল, নির্দিষ্ট আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে যে অতিরিক্ত ভাতা (মাইলেজ) দেওয়া হয়, সেটা যেন সুনির্দিষ্টভাবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি নীতিমালা করে পরিশোধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে। রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটি) বুঝানো হয়।
মাইলেজ হলো রেলের সংস্থাপন কোড অনুযায়ী, রানিং স্টাফরা দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বা ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন চালালে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা রানিং ভাতা হিসেবে পাবেন। ভাতার ৭৫ শতাংশ টাকা যোগ হতো পেনশনে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে রেলের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে। এর প্রেক্ষিতেই বিক্ষোভের শুরু। এর পর কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ ভোর থেকে কর্মবিরতিতে যান রানিং স্টাফরা।
এপি/এসএ/