মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩০২ কলেজ নামেই জাতীয়করণ!

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৩০২টি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। তবে জাতীয়করণ হলেও এসব কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাই পাচ্ছেন না। এই চার বছরে যেসব শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে গিয়েছেন ও যাচ্ছেন তারাও কোনোরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। আদৌও পাবেন কি না সেটাও জানেন না।

শুধু তাই নয়, শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার ফলে জাতীয়করণ হওয়া এসব কলেজে শূন্যপদে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেখা দিয়েছে শিক্ষক সংকট। এ কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম।

সরকারিকরণ হওয়া বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখন একটা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। কবে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুযোগ-সুবিধা পাবেন সে নিয়েও তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

তারা বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি ধীর হওয়ার কারণে জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোর কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব কলেজ সরকারি হোক সেটা শিক্ষা ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা চান না। যার ফলে তারা ইচ্ছে করে ডিলে করছেন। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত উপজেলা পর্যায়ে কলেজ জাতীয়করণ প্রক্রিয়াকে প্রলম্বিত করার জন্য এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ঘাপটি মেরে থাকা সরকারবিরোধী কর্মকর্তারা ইচ্ছে করে দেরি করাচ্ছেন। যাতে সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিলম্বের কারণে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে এখন নানারকম সংকটে পড়তে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে শিক্ষক সংকট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং ২০১৬ সালের জুন মাসে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে ৩০২টি কলেজ জাতীয়করণ করে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট গেজেট প্রকাশ করে।

জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোর সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে রেজিস্ট্রি হয়।

কিন্তু এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার প্রায় চার বছর পরও জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা এখন পর্যন্ত পৌঁছেনি।

মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রজত কান্তি গোস্বামী বলেন, কলেজ সরকারি হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি হয়েছিল। কিন্তু চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে আছে। সুযোগ-সুবিধা এখনও মিলছে না।

তিনি বলেন, জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আটটি সাব-কমিটি করে দিয়েছিল। এখানেই সব ডিলে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের লোকজন বরাবরই আমাদের বিরোধিতা করে আসছে। এখন মনে হচ্ছে ইচ্ছে করে ডিলে হচ্ছে।

এই সহকারী অধ্যাপক আরও বলেন, অনেকেই অবসরে যাচ্ছেন। তারা কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই অনেকটা শূন্য হাতে যাচ্ছেন। শূন্য পদ পূরণ করা যাচ্ছে না। কারণ জাতীয়করণ হওয়ার পর কলেজের শিক্ষক নিয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই।

বড়লেখা সরকারি কলেজের শিক্ষক ঋষিকেশ দাশ পিন্টু বলছিলেন, আমরা এখন অপেক্ষা করছি। কবে এই অপেক্ষা শেষ হয় জানি না।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে তার দপ্তরে বসে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'প্রত্যেক শিক্ষকের নথি, যখন তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তখন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল কি না, ডিজির প্রতিনিধি ছিলেন কি না- এরকম প্রত্যেকের ডিটেইল ডকুমেন্ট লাগে। কলেজের জমির দলিল-দস্তাবেজ…। এসব কিছু মিলিয়ে যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। এরপর আমরা পাঠাই অধিদপ্তরে। সেখান থেকে আবার মন্ত্রণালয়ে আসে। আমরা আবার যাচাই-বাছাই করে পাঠাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন অনেক কিছু জানতে চায়। সেগুলো দেখে দিতে হয়। তারপর আবার যায় অর্থমন্ত্রণালয়ে।'

তিনি বলেন, এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আসলেই অনেক সময় লাগে। আমি ও উপমন্ত্রী যখন দায়িত্ব নেই তখন আমরা দেখি যে, এই প্রক্রিয়াটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তখন আমাদের মনে হয়, শুধু একটা টিম কাজ করলে অনেক লম্বা সময় লাগবে। এ জন্য আমরা অনেকগুলো টিম বাড়িয়ে দেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা আরেকটা কাজ করলাম যে, যত ডকুমেন্ট লাগবে সেই তালিকাটা আমরা আরেকবার রিভিউ করি। তালিকা রিভিউ করে আমাদের কাছে মনে হয়েছে দু’একটা জিনিস ওভারলেপ আছে। যেমন একটা থাকলে আরেকটার দরকার নেই। যেটা একদম না হলেই নয়, সেগুলো রেখেছি। সেই তালিকাও খুব ছোট না। একেকজনের ১৮/১৯টা ডকুমেন্ট।'

দীপু মনি বলেন, আমাদের উপর নির্দেশনা আছে, একটা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত তথ্য কমপ্লিট করে পাঠাতে হবে। একটা তথ্য বাদ রেখে পাঠালে হবে না। সে কারণেই একটু সময় লাগছে।

তিনি বলেন, যখন থেকে এটি জাতীয়করণ হয়েছে তখন থেকেই সে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুযোগ-সুবিধা পাবে। এটা আমরা চাই। যারা অবসরে যাচ্ছেন তারাও যেন এই সুযোগ পান। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত কী আসে সেটা আমরা এখনই বলতে পারছি না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু যে কলেজগুলোতে অধ্যক্ষের পদ শূন্য তা নয়, কলেজগুলোকে যখন জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তখন থেকে ম্যানেজিং কমিটিগুলো কাজ করছে না। এসমস্ত সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছি।

আমার ধারণা এই বছরের মধ্যে সবগুলো শেষ হয়ে যাবে। আমরা আরও বেশি জোর দিচ্ছি। এই সপ্তাহেও এ বিষয় নিয়ে বৈঠক আছে বলে যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ ইচ্ছে করে ডিলে করছে কি না বলতে পারছি না।

এনএইচবি/টিটি

Header Ad

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে

এ আর রহমান এবং মোহিনী দে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সংসারের ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় পরকীয়ার কারণে উভয়ের ডিভোর্স হয়। এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তার আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে মোহিনী স্পষ্টই জানালেন, রহমান তার কাছে বাবার মতো।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ‘খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা করা হচ্ছে, তা সত্যি ক্রাইমের পর্যায় পরে।'

মোহিনীর কথায়, ‘আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মোহিনী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত।

দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।

Header Ad

ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই বিশেষ কোনো গোষ্ঠির লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসের চেয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। তবে এখনও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় কিছু শঙ্কা থেকে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কেউ পরিচয় জানতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে। অকারণে কাউকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। কেউ অবৈধ আদেশ দিলে সেটাও পালন করবেন না।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা বেড়ে গেছে। কোনো অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেওয়া যাবে না। কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে যাই বলুক না কেন কাজ করে যেতে হবে। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। কী পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক বা না করুক কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। মব জাস্টিসের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনি প্রক্রিয়ায় বের হওয়ার পর পুনরায় অপকর্মে জড়ালে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। যাদের কাছেই অপরাধের তথ্য থাকে তারা তা দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। আমরা কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কঠোর হতে চাই না।

তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ স্থিতিশীল একটি পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Header Ad

সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ক্রিকেট যেমন নাটকীয়তায় ভরা, তেমনি তাদের দলটির পারফরম্যান্সও চরম অনিশ্চিত।প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ধস দেখেছিল পাকিস্তান। হারে সিরিজ শুরু করা সফরকারী দল অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়েছে ১৯০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে রেখেই। বড় ব্যবধানের এই জয় নিশ্চিত করার পথে ৫৩ বলেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। যা ফরম্যাটটিতে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম। বাঁ-হাতি এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬২ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান সাইম। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্রেইগ আরবাইনের দলটি। দলীয় ৬ রানে ওপেনার তাদিওয়ানাশি মারিমানি (৪), ২৩ রানে জয়লর্ড গাম্বি (৫) আউট হলে স্বাগতিকরা বিপদে পড়ে যায়। এরপর কয়েকজন ব্যাটার থিতু হলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ডিওন মায়ার্স। এ ছাড়া শন উইলিয়ামস ৩১, অধিনায়ক আরবাইনের ১৮ ও সিকান্দার রাজার ১৭ রানই কেবল সম্বল ছিল জিম্বাবুয়ের। ৩২.৩ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪৫ রানে। বিপরীতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ। এ ছাড়া সালমান আগা ৩ এবং সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম একটি করে শিকার ধরেন।

১৪৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সাইম। তার সঙ্গে শফিকের ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারেই পাকিস্তান ৭১ রান তোলে। একপ্রান্তে সাইম দ্রুতগতিতে রান তুললেও, শফিক ছিলেন শান্ত-ধীরস্থির। শেষ পর্যন্ত দুজন অপরাজিত থেকেই পাকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান ২৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা