নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে থাকবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ওই সূত্র জানায়, বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ওই বৈঠকে বিভিন্ন নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান বলেন, যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান বা দিবস উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রায় তার ব্যতিক্রম হবে না। আগের মতো জঙ্গি নাশকতাসহ সব বিষয় মাথায় রেখে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এখন পর্যন্ত সহিংসতার কোনও ধরনের হুমকি পাওয়া যায়নি। রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষকে একটি শান্তিপূর্ণ বর্ষবরণ উপহার দিতে পুলিশবাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলমান রাখবে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি তথ্য বলছে, নতুন বছরকে নিরাপদে বরণ করতে এবং যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসারসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা কঠোরভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি ও মঙ্গলশোভাযাত্রা কেন্দ্রিক সকল এলাকায় থাকবে সিসি ক্যামেরা। রমনার বটমূল ও আশপাশ এলাকায় ডিএমপির ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে এবং অনুষ্ঠানের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে থাকবে ডিএমপি ও সোয়াটের সমন্বিত ওয়াচ টাওয়ার, যারা সবকিছু উপর থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন।
তিনি বলেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেউ বাইরে থেকে ঢুকতে পারবে না। কেউ ঢুকতে চাইলে তাকে কঠোর পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হবে। আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেউ মুখোশ পড়তে পারবেন না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে থাকবে। সেই সঙ্গে ডিএমপির সোয়াট, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডিবি পুলিশ থাকবে। যদি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তাহলে কোন রাস্তায়, কীভাবে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়া হবে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আলাদা পুলিশ ফোর্স। সারা ঢাকা আমাদের পুলিশের নজরে রাখা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তায় কাজ করবে র্যাব। কাউকে সন্দেহ হলে তাদের তল্লাশি করা হবে। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য সারাদেশে র্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যে কোনও ঘটনা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
কেএম/এসআইএইচ