দিন-রাত পরিশ্রম করে ২৫০০ ফেসবুক আইডি হ্যাক করেন লিটন
ফেসবুক আইডির এক হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
সোমবার (১১ এপ্রিল) অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাকে ধরার পর ডিবি পুলিশ বলছে, একটি দুটি নয়, প্রায় ২৫ শতাধিক ফেসবুক হ্যাক করেছেন তিনি। গ্রেপ্তার হ্যাকারের নাম মো. লিটন ইসলাম।
সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ জানায়, প্রথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি দিন-রাত পরিশ্রম করে হ্যাকার লিটন এ প্রযর্ন্ত ২৫ শতাধিক ফেসবুক আইডি হ্যাক করার কথা শিকার করেছেন।
গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পরবর্তীতে তার দখলে থাকা প্রায় ২৫শ’ দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার হ্যাকার প্রথমে অনলাইনে ফিশিং লিংক তৈরি করে ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে। শেয়ারকৃত লিংকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার চেষ্টা করামাত্রই উক্ত পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম হ্যাকারের কাছে চলে যায়। হ্যাকার উক্ত আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দ্রুত তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
নাজমুল হক বলেন, তারপর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া আইডির মেসেঞ্জারে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি-ভিডিও সংগ্রহ করে ডাউনলোড করে তা সংরক্ষণ করেন লিটন। পরবর্তীতে ওই হ্যাকার টার্গেট ব্যক্তিকে মেসেঞ্জারে বার্তা প্রদান করে হ্যাকিংয়ের বিষয়ে অবগত করে টাকা দাবি করেন। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তার ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের এক ভিকটিম মো. আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হ্যাকারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এবং তাকে আশুলিয়া থানার এনায়েতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার লিটনকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
কেএম/আরএ/