জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বিশ্বের ৭৫ মিলিয়নের বেশি প্রতিবন্ধী মানুষ যাতে তাদের প্রতিভাকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে পারে এবং সমাজে যাতে পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ থাকে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে উদ্বোধনী বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও কাতার স্থায়ী মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অটিজম স্পিক্সস যৌথভাবে ইভেন্টটির আয়োজন করে।
বক্তৃতায় ড. মোমেন কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। মহামারিকালে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে সারাবিশ্বে অটিজমের শিকার শিশুরা অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো এবং কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা অনেক পরিবারকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। অটিজমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবার যেসব চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক গঞ্জনা মোকাবিলা করছে তা প্রশমিত ও দূর করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন একসঙ্গে কাজ করছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রণয়নসহ প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ব্যক্তিদের সুরক্ষায় নেওয়া বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অটিস্টিক ব্যক্তিদের সর্বোত্তম জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাতারের সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবারমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে আলী বিন নাসার আল-মিসনাদ, জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিস্সা ফ্লেমিং, জাতিসংঘের ডেসার পরিচালক ড্যানিয়েলা ব্যাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক ওয়েরনার ওবারমিয়ের।
প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অটিজম বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। প্যানেল আলোচনা ছাড়াও অটিজমের শিকারদের পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। এ ছাড়া অটিজমের শিকার ব্যক্তিরাও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভার্চুয়াল এ ইভেন্টে অংশ নেন।
এসএন