টিপ পরায় হেনস্তা: যা বলছে তদন্ত কমিটি
কপালে টিপ পরায় লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। ওই তদন্ত কমিটি বলছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেক উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসছিলেন, এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ফার্মগেটের ওই সড়কে উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসছিলেন নাজমুল তারেক। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। বাইক নিয়ে উল্টো পথে আসায় নাজমুল তারেককে ডাক দেন লতা সমাদ্দার। এতেই রেগে যান নাজমুল। ঝগড়ায় লিপ্ত হন দুজন। পরে লতা সমাদ্দারের শরীর ঘেঁষে বাইক টেনে চলে যান নাজমুল।
তবে অভিযোগকারী নারীর কপালে টিপ পরা নিয়ে অভিযুক্তের মন্তব্যের বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি আরও যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
গত শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করেন পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে। পরে নাজমুলকে শনাক্ত করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নাজমুল তারেক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে সময় চাওয়া হতে পারে।
কেএম/টিটি