আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণের ধীরগতিতে রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নতুন নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেলপথের নির্মাণকাজে ধীরগতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার শিবনগর শূন্যরেখায় রেলপথের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অসন্তোষের কথা জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। এটি উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে, এটি ৬ নম্বর হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় নির্মাণকাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলপথমন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়তা প্রদান করেন, আগামী জুনের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করবে এবং এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলপথ চালু করা সম্ভব হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঠিকাদারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করে বিকল্প ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, এই রেলপথটি ভারতের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশ এবং বাকি বাংলাদেশ প্রান্তে। নির্মাণ এবং পরামর্শক কাজে যুক্ত রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড অব ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪.৫০ শতাংশ।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএ/