রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরতের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরতের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র আগে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে রাজি হয়েছিল, কিন্তু পরে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লঙ্কেনের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আগে একবার ঠিক হয়েছিল তাকে পাঠানো হবে কিন্তু পাঠানো হয়নি। এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করা উচিত।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো একটি গেম চেঞ্জার হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়াকে আমেরিকান জনগণ পছন্দ করবে না। এটি আপনারা চিন্তা করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করা হলেও এ পর্যন্ত তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। দুই মন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান চলাচল, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানির বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে উক্ত বৈঠকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রায় ১৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এটি প্রত্যাহার করা হলে মার্কিন জনগণ উপকৃত হবে, যার প্রভাব তাদের নির্বাচনের ওপর পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র মূলত তৈরি পোশাক ক্রয় করে এবং বেশি দামে বিক্রি করে। আপনি (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) যদি শুল্ক প্রত্যাহার করেন, তাহলে আপনার ক্রেতারা উপকৃত হবে এবং আপনাদের ধন্যবাদ দেবে। আপনারা নির্বাচনে জিতে যাবেন।'
বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগের ৯০ শতাংশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আপনারা ওষুধ তৈরি করেন। ইনফরমেশন টেকনোলজি খাতে বাংলাদেশের তরুণরা ভালো করছে এবং সেখানে বিনিয়োগ করেন।’
'প্রায় ১৭ কোটি লোকের বাজার হচ্ছে বাংলাদেশ। এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০ কোটি লোকের বাস। এখানে মার্কিন বিনিয়োগ আসলে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ হবে', বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেটি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা জিতবেন। আপনি যদি জিনিস তৈরি করেন, বিক্রি করেন— তাহলে আপনার লাভ হবে। আপনারা কমপিটিটিভ হবেন। আপনাদের তাগিদে আপনারা এখানে আসেন।'
কেএফ/