মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কমিটিকে খুশি করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে একটু সময় লাগবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। এই সংক্রান্ত কমিটির সঙ্গে কাজ করে তাদের খুশি করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান-মেম্বার সবাইকে খুশি করতে হবে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ভিডিওবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
ভিডিওবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি র্যাব একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। তাদের কারণে দেশে সন্ত্রাস কমেছে। র্যাবের জবাবদিহিতা আছে, তোমরা তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আমরা খুশি হব।
জবাবে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমি বললাম যে গত চার মাসে কেউ মারা যায়নি। তিনি বললেন, এটা আমি জানি। এই বিষয়ে উন্নতি করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
বৈঠকে শ্রম অধিকার এবং শ্রম পরিবেশ নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি। তাদের বলেছি, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে পরামর্শ করে শ্রম অধিকার খাতের উন্নয়ন করছি। তার পরেও এই খাতে যতটুকু দুর্বলতা আছে তা কাটিয়ে উঠতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ বা একটা কমপ্লিট রোডম্যাপ প্রস্তুত করে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।
বৈঠকে টিকা, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, জলবায়ু, শ্রমিক অধিকার, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল, বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত আনা, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্মুখী এবং নিরাপদ আইপিএস চাই। একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
আরইউ/টিটি