মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকায় ১১৭ টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৪১

মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৯ জন

গত মার্চ মাসে দেশে ৪৫৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৮৯ জন এবং আহত ৬৪৭ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬১ জন, শিশু ৯৬। ১৭৬ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২২১ জন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৬২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৭ দশোমিক ৫০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন'র নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, এই সময়ে ৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত। ১১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২২১ জন (৩৭.৫২%), বাস যাত্রী ৩৯ জন (৬.৬২%), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৩৪ জন (৫.৭৭%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার যাত্রী ১৭ জন (২.৮৮%), থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-টেম্পু-জীপ-পাওয়ারটিলার) আরোহী ৮১ জন (১৩.৭৫%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের (নসিমন-চান্দেরগাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটম) যাত্রী ২৪ জন (৪.০৭%) এবং প্যাডেল (রিকশা-ভ্যান-বাইসাইকেল) আরোহী ১১ জন (১.৮৬%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৭টি (৩৬.৪৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৯টি (৩৯.০৮%) আঞ্চলিক সড়কে, ৬৮টি (১৪.৮৪%) গ্রামীণ সড়কে, ৩৯টি (৮.৫১%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫টি (১.০৯%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাসমূহের ৭১টি (১৫.৫০%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৮টি (৩৬.৬৮%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৫৯টি (৩৪.৭১%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৪৬টি (১০.০৪%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪টি (৩.০৫%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক-মিকচার মেশিনগাড়ি ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার ৩ দশোমিক ৩৬ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২২ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা-হিউম্যানহলার-জীপ-পাওয়ারটিলার) ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন- (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-চান্দেরগাড়ি-ম্যাজিকগাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটম) ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং অন্যান্য ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৮৩১ টি। (ট্রাক ১৭৭, বাস ১১৪, কাভার্ডভ্যান ২৩, পিকআপ ৩৯, ট্রলি ১৫, লরি ৭, ট্রাক্টর ১২, মিকচার মেশিন গাড়ি ২, ড্রামট্রাক ৮, মাইক্রোবাস ১১, প্রাইভেটকার ১৭, মোটরসাইকেল ১৮৩, থ্রি-হুইলার ১৩৪ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা-হিউম্যানহলার-জীপ-পাওয়ারটিলার), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৬ (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-চান্দেরগাড়ি-ম্যাজিকগাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটম) এবং অন্যান্য ২৩টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, সকালে ৩৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, দুপুরে ১৯ শতাংশ, বিকালে ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং রাতে ১৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ২০ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাণহানি ২১ দশমিক ৭৩ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঢাকায়
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে, ১১৭ টি দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ২৬ টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে, ৩৩ টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ২ টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ১৯ টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ জন।

নিহতদের পেশাগত পরিচয়
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ৩ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ১১ জন, চিকিৎসক ৪ জন, স্বাস্থ্যকর্মী ৩ জন, সাংবাদিক ৪ জন, প্রকৌশলী ৩ জন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৩ জন, ডিসিসি’র পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জন, কারারক্ষী ১ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ২৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৩৬ জন, পোশাক শ্রমিক ৯ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৪ জন, ইটভাটা ও বালু শ্রমিক ৫ জন, রং মিস্ত্রি ২ জন, রাজমিস্ত্রি ৩ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ২ জন, ইউপি চেয়ারম্যান ২ জন, ইউপি সদস্য ৩ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১৪ জন এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসাবে যা বলছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;

২. বেপরোয়া গতি;

৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;

৪. বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা;

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;

৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;

৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;

৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;

৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;

১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

 

পরিস্থিতির উত্তরণে সুপারিশসমূহ

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;

২. চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;

৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;

৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে;

৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;

৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;

৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;

৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;

১০.“সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন'র দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য
সড়ক দুর্ঘটনায় গত মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৫ জন। এই হিসাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪৬৩ জন, অর্থাৎ ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

ট্রাক-সহ পণ্যবাহী দ্রুতগতির যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারী নিহতের ঘটনাও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলে না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।

এই আতঙ্কজনক প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

কেএম/এএস

Header Ad

সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ইনসটে: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস)। ছবি: সংগৃহীত

কোনো সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয় বরং রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানা মহাবিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা আঘাত আসলে এবং অবমাননা হয় এমন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি রাষ্ট্রদ্রোহ ঘটনায় যুক্ত থাকে, সে যেই হোক, যত বড় নেতাই হোক, তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রদায় বিবেচনায় নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উন্নয়ন বৈষম্য নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইতিপূর্বে বাংলাদেশে এলাকাভিত্তিক বৈষম্য ছিল। যে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়েছে সেই এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। আমরা বৈষম্য নিরসন করে সারাদেশে উন্নয়ন করতে চাই।

বাজেটসহ অন্যান্য বিষয়ে রংপুরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় গোপালগঞ্জসহ দুই একটি জেলার উন্নয়ন করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলোর সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে রংপুরবাসী আর কোনো বৈষম্যের শিকার হবে না।

পরে অসহায়-দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রায় ৬০০ শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারের সদস্য রাজমিস্ত্রী শহীদ মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন, গার্মেন্টসকর্মী শহীদ মামুন মিয়ার বাবা আজগর আলী এবং শহীদ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রানী বেগম তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

অনুষ্ঠান শেষে তিনি রংপুরের পীরগাছা ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে তিস্তা নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণের জন্য পানিয়ালের ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় উলিপুর উপজেলার শতশত মানুষ তাদের দাবি জানাতে পানিয়ালের ঘাটে উপস্থিত হন। এছাড়া নবনির্মিত পীরগাছা উপজেলা পরিষদ ভবন উদ্বোধন করেন তিনি। বিকেলে কাউনিয়া উপজেলায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করার কথা রয়েছে উপদেষ্টার।

Header Ad

সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির

সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনে প্রস্তাব বিএনপির। ছবি: সংগৃহীত

নতুন পদ উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রী সৃজনসহ মোট ৬২টি জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাবনা সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে বিএনপির প্রস্তাবনাগুলো জমা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ।

সেখান থেকে বেরিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান সংস্কারে মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, বর্তমান বাস্তবতা ও পরে যেন একনায়কতন্ত্র তৈরি না হয় সেগুলো মাথায় নিয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবনায় প্রজাতন্ত্র, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, তফসিলসহ সব বিষয়ে অ্যাড্রেস করেছি। যাতে সংবিধানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাধিত হয় এবং সেটার রূপকার জনগণ পায়। রাষ্ট্রের সব অঙ্গে যাতে সবক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হয়, সেই প্রস্তাব দিয়েছি।

উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, জুডিশিয়ারি, উপ-রাষ্ট্রপতি, উপ-প্রধানমন্ত্রী রাখার ব্যাপারেও প্রস্তাবনা দিয়েছি। যাতে পাওয়ার অব ব্যালান্স তৈরি হয়, সেসব বিষয়েই আমরা অ্যাড্রেস করেছি।

Header Ad

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যমুনা নদীতে নব নির্মিত দেশের দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আপ ও ডাউন লাইনে দুটি ট্রায়াল ট্রেনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ টেস্ট রান চলবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ও বুধবার (২৭ নভেম্বর)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ট্রেন চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান।

রেলও‌য়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, একটি ইঞ্জিন ও তিন বগি নিয়ে ট্রেনটি সকাল ৯ টা ৪২ মিনিটে ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে যায়। ট্রেনটি ১০টা ৪১ মিনিটে পূর্বপাড়ে ফিরে আসে।

সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে অপর একটি ট্রেন একটি ইঞ্জিন ও তিন বগি নিয়ে সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে পূর্ব প্রান্তে আসে ও ১০ টা ২৯ মিনিটে পশ্চিম প্রান্তের দিকে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে ১০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করলেও পরে ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন দুটি চলাচল করে। সেতুটির কাজ প্রায় পুরোপুরি শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করা হবে জানুয়ারিতে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এ প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন