শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, অপেক্ষা আর ৯৭ দিন

৩০ জুনকে ডেট লাইন ধরলে অপেক্ষা আর মাত্র ৯৭ দিন। তারপরই বাংলাদেশের স্বপ্ন ডানা মেলবে পদ্মার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে যেকোনো দিন উদ্বোধন হবে বাংলাদেশের স্বপ্ন। তবে ধারণা করা হচ্ছে সেই দিনটি ২৩ জুন হতে পারে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের আক্ষেপ আর অপেক্ষার পালা শেষ হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কুরবানি ঈদে গাড়ি নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় যেতে পারবেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না ফেরীর জন্য। পদ্মা পাড়ি দিয়ে মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পৌঁছা যাবে কোনোরকম ট্রাফিক ছাড়াই।

সেতু বিভাগের সচিব মো, মনজুর হোসেন বুধবার (২৩ মার্চ) বিকালে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গত মঙ্গলবারও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ৩০ জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই পদ্মা সেতুর সকল কাজ শেষ করতে চায় সেতু কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে মোট ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাকি সাড়ে তিন শতাংশ শেষ করতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। সেতুর কাজে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুর সড়ক অংশ খুলে দেওয়ার জন্য ৩০ জুনের মধ্যেই তারা বাকি কাজ শেষ করে ফেলবেন।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এখন মূল সেতুর উপরি অংশে চলছে দুই লেয়ার বা স্তরের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। একই সঙ্গে ভায়াডাক্ট কার্পেটিং-এর কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

এ ছাড়া সেতুর ল্যাম্পপোস্ট লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। চলছে অ্যালুমিনিয়াম রেলিং নির্মাণ, সিগন্যাল সিস্টেম ও অন্যান্য কাজও চলছে সমানতালে। এসব কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

এর বাইরে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ৯৯ শতাংশ এবং ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন টানার কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ।

সূত্র জানায়, সেতুর দুই প্রান্ত অর্থাৎ মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ‍ওয়াই গার্ডারের মধ্যবর্তী স্থানে শাপলা মন্যুমেন্ট নির্মাণের কাজও চলছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানি সাহায্য সহায়ক সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে। ওই সময়ই ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ওপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন; যার মধ্য দিয়ে সেতু নির্মাণের বীজ বপন করা হয়।

মাঝখানের আট বছর খুব একটা অগ্রগতি না হলেও ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাশের স্বপ্ন পদ্মা সেতুর নকশা চূড়ান্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়। এরমধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক হঠাৎ করেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এবং বিশ্বব্যাংক নিজেরাই তদন্ত শুরু করে। ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সরকারের সঙ্গে করা ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে।

কথিত দুর্নীতির অভিযোগ উঠা এবং তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগসহ নানান ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ করার ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত বিশ্ব্যাংক দুর্নীতির কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নিজস্ব অর্থায়নে পুরোদমে শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ৪১টি পিয়ারের উপর। তার উপর বসানো হয়েছে ৪২টি স্প্যান। দ্বিতল সেতুর উপরে চার লেনের সড়ক। নিচে রয়েছে রেলপথ। সেতুর ওপরে সড়কভাগে স্ল্যাব বসেছে মোট ২ হাজার ৯১৭টি। আর নিচে সেতুর রেলপথে বসেছে মোট ২ হাজার ৯৫৯টি স্ল্যাব।

পদ্মা সেতু দিয়েই দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্যাস সংযোগ। টানা হচ্ছে বিদ্যুৎ লাইন।

২০২১ সালের জুন মাসেই সরকার পদ্মা সেতু খুলে দিতে চেয়েছিল। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছিল। কিন্তু ২০২০ সালে শুরু হওয়া অতিমারী করোনার কারণে সেতুর নির্মাণ কাজের গতি কিছুটা শ্লথ হয়। তবে কাজ থেমে থাকেনি। যার ফলে সেতু খুলে দেওয়ার সময়সীমা পিছিয়ে যায়। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বার বার বলছিলেন, ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই সেতুর সড়ক অংশ খুলে দেওয়া হবে।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এক হবে পদ্মার এপাড়-ওপাড়। পদ্মার বুক চিরে যার এক প্রান্ত ছুঁয়ে থাকবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, অন্য প্রান্ত শরীয়তপুরের জাজিরা। দূরত্ব কমে আসবে দেশের এক অঞ্চলের সঙ্গে আরেক অঞ্চলের। গতি বাড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির, চাকা ঘুরবে দ্রুতবেগে। এক শতাংশের বেশি হারে জিডিপি বাড়বে। ভাগ্য বদলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের। বাড়বে জীবনযাত্রার মানও।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্য উৎসব-২০২৫' আয়োজিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এনডিসি শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যান্য অতিথিরা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন, পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এম. এ. এন শাহীন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং তারুণ্যে উৎসবের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের  উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর 'জুলাই বিপ্লব ও তথ্য প্রযুক্তি' বিষয়ক ডকুমেন্টারি এবং 'জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' দুইটি পৃথক ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। তারুণ্য উৎসবে অনলাইন ভিত্তিক কুইজ এবং একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিশেষ অতিথি শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, 'তারুণ্য উৎসবের মাধ্যমে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষে আমরা একটি মেসেজ দেওয়া চেষ্টা করছি এদেশের তরুণরাই সবকিছুর চালিকা শক্তি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে এটা প্রমাণিত। তারুণ্য উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার কারণ হলো জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্থান ছিল কুমিল্লা। এছাড়া এই এলাকা একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এডুকেশন হাব। এই অঞ্চলে একসঙ্গে অনেক ভালো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরবর্তী ইনোভেশন হাবটি আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করবো।'

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলী বলেন, 'আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে তাদের অনুষ্ঠানের ভেন্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে করার জন্য এবং আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে। তরুণদের এগিয়ে যাএয়ার পথ এখন সেটা তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ।  তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে  তরুনদের উদ্ভাবন ও উদ্দোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আজকের আইসিটি মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ এখন এসব বিষয়ে তরুণদের টার্গেট হওয়া উচিত। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কিছু প্রজেক্ট হাতে নেয় সেখানেও আমরা সহযোগিতা করবো।'

তিনিও আরো, 'বলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়কে সচিব ঘোষণা দিয়েছেন এখানে একটি আইসিটি হাব হবে এতে আমি আমি খুব খুশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খুশি। তরুণদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এই হাবটিকে আমরা দেশের প্রথম এআই হাব বানানোর জন্য চেষ্টা করবো। কারন, এই সেক্টরে দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।'

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'আমাদের পুরো কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ভাষার মাসে আমাদের যে এই সুন্দর আয়োজন আমি শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে চব্বিশে জুলাই বিপ্লবে যে আত্মত্যাগ ছিলো তাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করি। গভীরভাবে স্মরণ করছি আমাদের ছাত্র শহিদ আবদুল কাইয়ুমকে যিনি চব্বিশের আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি আরও বলে দিতে চাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে গ্লোবাল প্রডাক্ট হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ

সালাহউদ্দিন আম্মার এবং মেহেদী সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নবগঠিত ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই সমন্বয়ক। ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক আধিপত্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।

পদত্যাগকারী দুই নেতা হলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী সজীব ও যুগ্ম সদস্যসচিব সালাহউদ্দিন আম্মার। তারা উভয়েই রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসান-এর নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই কমিটিতে ৬ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মেহেদী সজীবকে, আর ১ নম্বর যুগ্ম সদস্যসচিব হন সালাহউদ্দিন আম্মার। কিন্তু কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা দুজনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে মেহেদী সজীব লিখেছেন- ‘নতুন বন্দোবস্তের নামে ঢাকা ও ঢাবিকেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে রাজি না।’

তিনি আরও লেখেন- ‘আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছে, যা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাবিকেন্দ্রিক মনোভাব যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যেতে রাজি নই।’

সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য- ‘এই সংগঠন সর্বজনীন হতে পারত, কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। আমাদের আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লেখেন- ‘রাবি শিক্ষার্থীরা চাইছে না ঢাবিকেন্দ্রিক আধিপত্য বজায় থাকুক। তাই আমরাও থাকতে চাই না।’

এই পদত্যাগের ঘটনায় সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। সংগঠনটি কতটা সর্বজনীন হতে পারবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Header Ad
Header Ad

রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট

ছবি: সংগৃহীত

একযুগ পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নওগাঁয় সদর উপজেলা ও পৌরসভার কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই যেখানে ভোটাররা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের প্রত্যক্ষ ভোট প্রদান করবেন। দীর্ঘদিন পর কাউন্সিল হওয়ায় প্রার্থী ও সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা নিজেদের জানান দিতে গত কয়েকদিন থেকে শহর ও গ্রামে মাইকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। তবে কার গলায় উঠবে বিজয়ের মালা তা ঠিক করবেন ভোটাররা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়- নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিলো ২০১০ সালে। যেখানে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কিমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুন নবী সাজা। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৬৩৯ জন।

অপরদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ সালে। যেখানে ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক আ শ ম আল কাফী তুহিন। বর্তমানে মোট ভোটার রয়েছে ৮৫২ জন।

নওগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- মোঃ নুরুন নবী সাজা ও শেখ মোঃ মিজানুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী- শাহ্ আজিজুর রহমান চৌধুরী হিরু, মোঃ আব্দুল মতিন তালুকদার এবং মোঃ দিদারুল হক রতন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী-আগফা উদ দৌলা সবুজ, মোঃ মতিউর রহমান (বুলু), মোঃ মহসিন আলী, এস,এম শহীদুল ইসলাম (সাথী) এবং মোঃ শাহীদুজ্জামান (সাইদ)।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক বেলাল।

অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রার্থী- দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ও মো. সারওয়ার কামাল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ আব্দুস সালাম পিন্টু, মোঃ নাদিম কুদ্দুস, সরদার সাইফুল ইসলাম সাজু এবং শ.ম.আ. আল কাফী তুহিন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী- মোঃ খালেদ হাসান (লিপ্ত), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল হক রানা এবং মোঃ ওবাইদুর রহমান।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, সহকারি নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. মিনহাজুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন।

পৌরসভা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ নুরুন নবী সাজা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- ‘দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে কাউন্সিল খুবই দরকার। এতোদিন দলে যে দূর্বলতা ছিলো তা কাটিয়ে উঠবে। সেইসাথে এ কমিটির মাধ্যমে দল আগামীতে মজুত হবে এবং গতিশীল বাড়বে।’

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ (রাজা) ঢাকাপ্রকাশকে বলেন- দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশাবাদী নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

নির্বাচনের দায়িত্বরতা জানান- সকাল ১০ টায় নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌর বিএনপি এবং সকাল ৯টায় নওগাঁ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির ভোট গ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হওয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। যেখানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি-লুটপাট, গ্রেফতার ৪
সবার জন্য উন্মুক্ত কনসার্ট, জেমসসহ গাইবেন আরও পাঁচ ব্যান্ড
বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এমন সংবাদ দিয়ে ছেলেকে অপহরণ
রামপুরায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, বাসে আগুন
একযোগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫৩ জন কর্মকর্তাকে রদবদল
‘টাকা-পয়সা-গয়না কেড়ে নেওয়াতে দুঃখ পাইনি, কিন্তু ধর্ষণের মিথ্যা খবর প্রচারে আমি ভেঙে পড়েছি’
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, নেতৃত্বে যারা
নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার: হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭৪৩ জন
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ, সরকারের ব্যয় ৫২৫ কোটি টাকা
চা দোকানির ছেলে হলেন বিচারক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরে গেল চালকের প্রাণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২৭১ পদে বিশাল নিয়োগ
বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা