অতঃপর বিমানবন্দর ছাড়লেন ডা. মুরাদ
সদ্য তথ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ও দুবাইয়ে প্রবেশ করতে না পেরে দেশের ফেরার পর কালো রঙের গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে তার দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বেড় হয়ে যান ডা. মুরাদ। এসময় তাকে কালো রঙের একটি সেডান কারে চরে ডমেস্টিক যাত্রীদের গেইট দিয়ে বেড় হতে দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসলেও সাংবাদিকদের ভিড় এড়াতে কৌশলে বিমানবন্দরের এই গেইট ব্যবহার করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। একই সঙ্গে জামালপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১টা ২১ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিন্তু তাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের সময় কানাডার নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সে দেশে প্রবেশ করতে পারেননি।
কানাডা প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে মুরাদ হাসান শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পথে রওনা দেন।কিন্তু আগে থেকে ভিসা না নেওয়ায় তাকে দুবাইয়ে ঢুকতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কানাডা ও দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার রয়েছে।
এদিকে ডা. মুরাদ দুবাই থেকে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের (ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন এমন খবরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন।তবে নির্ধারিত ওই বিমানটি অবতরণ করলেও ওই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান আসেননি।
এনএইচ/