মুরাদকে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর
প্রত্যাখ্যাত যাত্রী হিসেবে মুরাদ হাসানকে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ঢাকাপ্রকাশকে জানান সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা।
এদিকে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আদালতে পৃথক দু’টি মামলার আবেদন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে মুরাদের পাশাপাশি ফেসবুক লাইভের উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে করা অভিযোগের এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন। ডা. মুরাদ হাসান দেওয়া এ সাক্ষাৎকারটি ধারণ করেছেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ রেইস। এ সাক্ষাৎকার পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে জিয়া পরিবার, ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক ও আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছেন বলে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের। ডা. মুরাদ দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, মুরাদ হাসান আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তার অনেক দুর্নীতি আছে। গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে নামব আমরা।
এনএইচ/জেডএকে/