আমার কাছেও ফোনে চাঁদা চাইত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকা শহর একসময় সন্ত্রাসীদের আবাসস্থলে পরিণত ছিল বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, ‘তেজগাঁও এলাকা একসময় সন্ত্রাস কবলিত ছিল। শুধু এই এলাকা না। পুরো ঢাকা সন্ত্রাস কবলিত ছিল। কোনো ব্যবসায়ী শান্তিতে ব্যবসা করতে পারতেন না। আমিও ব্যবসায়ী ছিলাম। আমাকেও মাঝে মাঝে টেলিফোনে শুনতে হতো যে অমুক জায়গায় এত টাকা চাঁদা দাও, না হলে অমুক, এটা হয়ে যাবে। তখন সব ব্যবসায়ীদের কাছে এইগুলো একদম কমন জিনিস ছিল।”
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়াসা ভবনে নিম্ন আয় এলাকার আর্দশ গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম ও ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ জোর গলায় বলতে পারি, সন্ত্রাসীরা ঢাকা ছাড়া তো হয়েছেই, মাঝে মাঝে যে চাঁদার দাবি অনেকভাবে করে সেগুলো আমাদের পুলিশ বাহিনী যথাযথভাবে কন্ট্রোল করছে। যে কারণে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবকিছুতেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
পরে বস্তিবাসীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের বস্তিবাসীরা কিন্তু ভাড়া বেশি দেয়। আমার নির্বাচনী এলাকা হাতিরঝিল। যখন হাতিরঝিল করা হয়, তখন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আমাকে বলেছিল, বস্তিবাসীরা ভাড়া বেশি দেয়। পরে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। একটা দশ বর্গফুটের জায়গার ভাড়া কত? আমি দেখলাম, তারা যে ভাড়া দেয়, তারচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়ে আমরা রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় যারা থাকি, অনেক কম ভাড়া দেই। প্রধানমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রজেক্ট করেছিলেন ভাসানটেকে। সেই প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে থেমে গেছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনায় আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। নিরাপদ পানি। ওয়াসার নানা ধরনের কার্যক্রমের ফলে পানির লাইনগুলো আরও সুসংহত করে কাঙ্খিত জায়গাটিতে নিয়ে আসছে ওয়াসা। বস্তিবাসী পানির পয়সা সব সময় দিতে চাইত। আমি তাদের সঙ্গে অনেক দিন অনেকবার কথা বলেছি। বস্তিবাসী কখনো ফাঁকি ঝুকি দেন না। তাদের প্রয়োজনীয় বিলটা তারা দেন। যা অনেক ধনী লোকও দেন না।’
এসএম/এসএ/