দ্বিতীয় বর্ষে ঢাকাপ্রকাশ
আজ ১ ডিসেম্বর। অনলাইন মাল্টিমিডিয়া ‘ঢাকাপ্রকাশ’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’- এই শ্লোগানকে ধারণ করে ২০২১ সালের বিজয়ের মাসে এই দিনে যাত্রা শুরু করেছিল অনলাইন ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল ‘ঢাকাপ্রকাশ’।
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ দ্বিতীয় বর্ষে পা রেখেছে দেশের প্রথম সারির অনালাইন পোর্টাল ‘ঢাকাপ্রকাশ’। পথচলার এই এক বছরে ঢাকাপ্রকাশ চেষ্টা করেছে সাদাকে সাদা ও কালো কালো বলার। কোন চাপের মুখে নতিস্বীকার না করে সত্য প্রকাশে ছিল অবিচল। যার ফলে স্বল্প সময়ে পাঠক, দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকাপ্রকাশ।
সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঢাকাপ্রকাশ-কে জানানো শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ঢাকাপ্রকাশ এমন একটি অনলাইন যেটি খুবই অল্প সময়ে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীই নয়, সরকারের স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম.রেজাউল করিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এর বাইরে সাবেক তথ্য মন্ত্রী, বর্তমানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আরো অনেক রাজনৈতিক নেতা,চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পী, সাহিত্যিক, মাঠ প্রশাসনে কর্মরত জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা(এসপি) ভিজ্যুয়াল বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকতে।
প্রথম বর্ষ শেষ করে দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখা উপলক্ষে ঢাকাপ্রকাশ ১ ডিসেম্বর সকাল থেকে রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুর ইসলাম এভিনিউয়ের (কারওয়ানবাজার) কার্যালয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকালে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে থাকছে ঢাকাপ্রকাশ সপ্তাহব্যাপী বিশেষ আয়োজন। যাতে থাকছে বিশিষ্টজনদের লেখার পাশাপাশি সাক্ষাৎকার, এডিটর’স টক্, ভিজ্যুয়াল আয়োজন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লিখেছেন দেশের গুণীজনরা। এদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক,বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ, চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সম্শিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
ঢাকপ্রকাশ-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকাপ্রকাশ নিয়ে পাঠকদের বাছাইকৃত লেখা প্রকাশ করেছে পক্ষকাল ব্যাপী। পাঠকদের লেখা থেকে ১০ সেরা দশ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া ছিলো শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। তাতে সেরা তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ঢাকাপ্রকাশ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা খুবই ছোট পরিসরে হাটি হাটি পা পা করে যাত্রা শুরু করেছিলাম এক বছর আগে। এই স্বল্প সময়ে আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকাপ্রকাশ-কে সত্যিকার অর্থে একটি গণমাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার। যেকানে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। সৎ সাংবাদিকতা যেখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠিক সেই সময়ে আমরা ঢাকাপ্রকাশ-কে মানুষের কাছে একটি বস্তনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, অসংখ্য অনলাইন পোর্টালের ভিড়ে আরেকটা অনলাইনমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন ও দুরুহ কাজ। গত এক বছরে আমরা সেই অসাধ্য কাজটা করার চেষ্টা করেছি নিরলসভাবে। আমরা বেশ কিচু রিপোর্ট করেছি যেগুলো পাঠকমহলে সাড়া ফেলেছে। এই রিপোর্টের মাধ্যমেই আমরা পাঠক ও দর্শক হৃদয়ে স্থান নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পাঠক ও দর্শকদের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এটা সত্যিই অভাবনীয়।
মোস্তফা কামাল বলেন, আগামীতেও ঢাকাপ্রকাশ মানুষের কথা বলবে। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবে। সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমাদের এই পথ চলায় পাঠক ও দর্শকরা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।
এনএইচবি/এএস