বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ লেখা

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা এবং আমাদের অঙ্গীকার

গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে, আইনসভা, বিচার বিভাগ, ও আমলাতন্ত্র। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়! স্বাধীন ও সার্বভৌম গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সরকার কোনো ফেরেস্তা দিয়ে পরিচালিত হয় না। সরকারের সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়।

আসলে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। রাষ্ট্রে অন্যায় অনিয়ম হলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি হলে তা ধরিয়ে দেয় গণমাধ্যম। সরকার ভুল পথে পরিচালিত হলে, ভুল কাজ করলে গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম কখনও সরকারের প্রতিপক্ষ নয়; বরং সহযোগী। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। গণতন্ত্র স্থায়ী হয় না।

রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব আশাবাদী মানুষ। তারপরও আমি সামনে ঘোর অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। আঁধার কেটে নিশ্চয়ই আলো আসবে। কিন্তু সেটা কি প্রকৃতির নিয়মে হবে? নাকি কাউকে না কাউকে ভূমিকা পালন করতে হবে? গণমাধ্যমের পরতে-পরতে ঢুকে পড়া হলুদ সাংবাদিকদের বিতাড়ন করবে কে? কে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে বুকে আগলে রাখবে!

এখন সাংবাদিকতায় ভয়ঙ্কর সংকটকাল চলছে। এই সংকটের শুরু বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। ধীরে-ধীরে তা গভীর খাদের কিনারে এসে ঠেকেছে। এখনও সজাগ না হলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবেন। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি বিলীন হয়ে যাবে। সেখানে জায়গা করে নেবে অসততা, হলুদ সাংবাদিকতা।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, হলুদ সাংবাদিকতার ভয়ে মানুষ তটস্থ। এক সময় মানুষ পুলিশকে খুব ভয় পেত। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তীক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বলা হতো, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা; আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা।

হলুদ সাংবাদিকদের কারণে এখন প্রবাদটির নতুন সংস্করণ হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা; আর সাংবাদিক (হলুদ সাংবাদিক) ছুঁলে ৭২ ঘা। কেউ বিশ্বাস করুন বা না করুন পরিস্থিতিটা এমনই দাঁড়িয়েছে। পুলিশও এখন সাংবাদিকদের ভয় পায়।

হ্যাঁ, এই ভয়টি আগেও ছিল। দুর্নীতিবাজ পুলিশের ঘুষের কাহিনি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা সাংবাদিকদের ভয় পেত। এখন দুর্নীতিবাজ পুলিশ আর হলুদ সাংবাদিক একাকার হয়ে গেছে। যেন হরিহর আত্মা। সঙ্গত কারণেই হলুদ সাংবাদিকদের দাপট অনেক বেশি। তাদের হুংকারে পেশাদার ও সৎ সাংবাদিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। অনেকে মান-ইজ্জত হারানোর ভয়ে পরিচয় দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন।

আমি নিশ্চিত, এ রকম বৈরি পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছেন না সৎ সাংবাদিকরা। পেশায় আসার আগে আপনারা হয়তো ভাবতেন এক রকম; কাজ করতে এসে দেখছেন আরেক রকম। সাংবাদিকতার নামে হলুদ সাংবাদিকতা দেখে অনেকে হতাশায় চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। অনেকে ধৈর্য ধরে কোনোমতে টিকে আছেন। যারা টিকে আছেন তাদের অভিবাদন জানাই। তারা সত্যি সত্যিই এই পেশাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন।

আমার মনে হয়, সৎ সাংবাদিকদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলুদ সাংবাদিকতা। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দলকানা সাংবাদিক। গত এক দশকে এ দুটি সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যারা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে চান তারাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। অনেকে বলছেন, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? সবাইকে দিয়ে এই কাজ হবে না। তবে কাউকে না কাউকে তো আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা সেই আওয়াজ তুলতে চাই।

তবে এজন্য প্রয়োজন একদল সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক। এ কথা এ কারণে বলছি যে, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব ছাড়া সুসাংবাদিকতা হবে না। আগে মনেপ্রাণে এই তিনটি বিষয় ধারণ করতে হবে। সেটি না করতে পারলে এই পেশায় হলুদ সাংবাদিকতা আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। এক সময় সুসাংবাদিকতা শব্দটিই হারিয়ে যাবে। আমরা অনেক সময় ছোট পত্রিকা এবং সেখানে যারা কাজ করেন তাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু বড় গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা কতটা সুসাংবাদিকতা করছেন সেটি কি একবারও পরখ করে দেখেছি?

সাংবাদিকতা পেশার সামগ্রিক স্বার্থেই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। যারা এই পেশায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তারা টের পান, সাংবাদিকতার নামে কে কী করছেন? কে কত টাকা কিভাবে কামিয়েছেন কিংবা কামাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে অধিকাংশ সাংবাদিকের নামে বদনাম আছে। তারা পেশাকে কলঙ্কিত করছেন বলে সাধারণ মানুষও আজকাল অভিযোগ করে থাকেন। এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সুসাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই।

আগে আমাদের গুরুস্থানীয় সম্পাদকরা বলতেন, ’জানবে বেশি লিখবে কম।’ এখন সেই ধারনা উল্টে গেছে। এখন দেখা যায়, জানে কম লেখে বেশি। মানে কোনো ঘটনা সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই রিপোর্ট করে দেয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই লিখে দিতে হবে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। একজন রিপোর্টারের কলমের খোঁচায় অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আবার অনেক বড় উপকারও হতে পারে। মানুষের উপকারের বিষয়টিই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল সাধনই তো সাংবাদিকদের কাজ।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে আমরা নতুন ভাবনা, নতুন পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করছি। আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ। হৃদয়ে আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এই দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ মন্ত্রী হতে পারতাম না। সচিব হতে পারতাম না। সম্পাদক হতে পারতাম না। বড় কোনো পদে চাকরি করতে পারতাম না। সেই ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলের মতো আমাদের চাকর-বাকরই থাকতে হতো।

আমরা বিশ্বাস করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা অবহেলিত, বঞ্চিত আর নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চাই। আমরা কোনো অন্যায়ের কাছে কিংবা কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করতে চাই না।

আমাদের স্লোগান হচ্ছে, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। এটিই আমাদের বিশ্বাস, আমাদের আদর্শ। এর বাইরে আমাদের অন্য কোনো নীতি-আদর্শ নেই। আমাদের এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে যারা সহযাত্রী হতে চেয়েছেন তাদের নিয়েই আমি আমার টিম গঠন করেছি।

আমরা জানি, চলার পথে অনেক বাধা আসবে। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা ভাঙবো কিন্তু মচকাব না। আমরা হোঁচট খাব কিন্তু আমরা থেমে যাব না। আমাদের এই অভিযাত্রায় দেশপ্রেমিক মানুষের সহযোগিতা চাই।


আমার বিশ্বাস, এই দেশকে যারা ভালোবাসেন, এই দেশের যারা মঙ্গল চান, তারা নিশ্চয় আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন। আমাদের অনুপ্রেরণা দেবেন। পেছনে থেকে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যোগাবেন। এ দেশের সহজ-সরল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চাই।


পরিশেষে আমার প্রিয়তম কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো করে বলতে চাই:
অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির।
ভয়ে কাঁপে কা-পুরুষ লড়ে যায় বীর।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

mostofakamalbd@yahoo.com

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু