রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ লেখা

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা এবং আমাদের অঙ্গীকার

গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে, আইনসভা, বিচার বিভাগ, ও আমলাতন্ত্র। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়! স্বাধীন ও সার্বভৌম গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সরকার কোনো ফেরেস্তা দিয়ে পরিচালিত হয় না। সরকারের সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়।

আসলে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। রাষ্ট্রে অন্যায় অনিয়ম হলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি হলে তা ধরিয়ে দেয় গণমাধ্যম। সরকার ভুল পথে পরিচালিত হলে, ভুল কাজ করলে গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম কখনও সরকারের প্রতিপক্ষ নয়; বরং সহযোগী। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। গণতন্ত্র স্থায়ী হয় না।

রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব আশাবাদী মানুষ। তারপরও আমি সামনে ঘোর অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। আঁধার কেটে নিশ্চয়ই আলো আসবে। কিন্তু সেটা কি প্রকৃতির নিয়মে হবে? নাকি কাউকে না কাউকে ভূমিকা পালন করতে হবে? গণমাধ্যমের পরতে-পরতে ঢুকে পড়া হলুদ সাংবাদিকদের বিতাড়ন করবে কে? কে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে বুকে আগলে রাখবে!

এখন সাংবাদিকতায় ভয়ঙ্কর সংকটকাল চলছে। এই সংকটের শুরু বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। ধীরে-ধীরে তা গভীর খাদের কিনারে এসে ঠেকেছে। এখনও সজাগ না হলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবেন। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি বিলীন হয়ে যাবে। সেখানে জায়গা করে নেবে অসততা, হলুদ সাংবাদিকতা।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, হলুদ সাংবাদিকতার ভয়ে মানুষ তটস্থ। এক সময় মানুষ পুলিশকে খুব ভয় পেত। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তীক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বলা হতো, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা; আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা।

হলুদ সাংবাদিকদের কারণে এখন প্রবাদটির নতুন সংস্করণ হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা; আর সাংবাদিক (হলুদ সাংবাদিক) ছুঁলে ৭২ ঘা। কেউ বিশ্বাস করুন বা না করুন পরিস্থিতিটা এমনই দাঁড়িয়েছে। পুলিশও এখন সাংবাদিকদের ভয় পায়।

হ্যাঁ, এই ভয়টি আগেও ছিল। দুর্নীতিবাজ পুলিশের ঘুষের কাহিনি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা সাংবাদিকদের ভয় পেত। এখন দুর্নীতিবাজ পুলিশ আর হলুদ সাংবাদিক একাকার হয়ে গেছে। যেন হরিহর আত্মা। সঙ্গত কারণেই হলুদ সাংবাদিকদের দাপট অনেক বেশি। তাদের হুংকারে পেশাদার ও সৎ সাংবাদিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। অনেকে মান-ইজ্জত হারানোর ভয়ে পরিচয় দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন।

আমি নিশ্চিত, এ রকম বৈরি পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছেন না সৎ সাংবাদিকরা। পেশায় আসার আগে আপনারা হয়তো ভাবতেন এক রকম; কাজ করতে এসে দেখছেন আরেক রকম। সাংবাদিকতার নামে হলুদ সাংবাদিকতা দেখে অনেকে হতাশায় চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। অনেকে ধৈর্য ধরে কোনোমতে টিকে আছেন। যারা টিকে আছেন তাদের অভিবাদন জানাই। তারা সত্যি সত্যিই এই পেশাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন।

আমার মনে হয়, সৎ সাংবাদিকদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলুদ সাংবাদিকতা। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দলকানা সাংবাদিক। গত এক দশকে এ দুটি সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যারা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে চান তারাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। অনেকে বলছেন, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? সবাইকে দিয়ে এই কাজ হবে না। তবে কাউকে না কাউকে তো আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা সেই আওয়াজ তুলতে চাই।

তবে এজন্য প্রয়োজন একদল সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক। এ কথা এ কারণে বলছি যে, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব ছাড়া সুসাংবাদিকতা হবে না। আগে মনেপ্রাণে এই তিনটি বিষয় ধারণ করতে হবে। সেটি না করতে পারলে এই পেশায় হলুদ সাংবাদিকতা আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। এক সময় সুসাংবাদিকতা শব্দটিই হারিয়ে যাবে। আমরা অনেক সময় ছোট পত্রিকা এবং সেখানে যারা কাজ করেন তাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু বড় গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা কতটা সুসাংবাদিকতা করছেন সেটি কি একবারও পরখ করে দেখেছি?

সাংবাদিকতা পেশার সামগ্রিক স্বার্থেই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। যারা এই পেশায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তারা টের পান, সাংবাদিকতার নামে কে কী করছেন? কে কত টাকা কিভাবে কামিয়েছেন কিংবা কামাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে অধিকাংশ সাংবাদিকের নামে বদনাম আছে। তারা পেশাকে কলঙ্কিত করছেন বলে সাধারণ মানুষও আজকাল অভিযোগ করে থাকেন। এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সুসাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই।

আগে আমাদের গুরুস্থানীয় সম্পাদকরা বলতেন, ’জানবে বেশি লিখবে কম।’ এখন সেই ধারনা উল্টে গেছে। এখন দেখা যায়, জানে কম লেখে বেশি। মানে কোনো ঘটনা সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই রিপোর্ট করে দেয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই লিখে দিতে হবে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। একজন রিপোর্টারের কলমের খোঁচায় অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আবার অনেক বড় উপকারও হতে পারে। মানুষের উপকারের বিষয়টিই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল সাধনই তো সাংবাদিকদের কাজ।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে আমরা নতুন ভাবনা, নতুন পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করছি। আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ। হৃদয়ে আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এই দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ মন্ত্রী হতে পারতাম না। সচিব হতে পারতাম না। সম্পাদক হতে পারতাম না। বড় কোনো পদে চাকরি করতে পারতাম না। সেই ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলের মতো আমাদের চাকর-বাকরই থাকতে হতো।

আমরা বিশ্বাস করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা অবহেলিত, বঞ্চিত আর নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চাই। আমরা কোনো অন্যায়ের কাছে কিংবা কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করতে চাই না।

আমাদের স্লোগান হচ্ছে, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। এটিই আমাদের বিশ্বাস, আমাদের আদর্শ। এর বাইরে আমাদের অন্য কোনো নীতি-আদর্শ নেই। আমাদের এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে যারা সহযাত্রী হতে চেয়েছেন তাদের নিয়েই আমি আমার টিম গঠন করেছি।

আমরা জানি, চলার পথে অনেক বাধা আসবে। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা ভাঙবো কিন্তু মচকাব না। আমরা হোঁচট খাব কিন্তু আমরা থেমে যাব না। আমাদের এই অভিযাত্রায় দেশপ্রেমিক মানুষের সহযোগিতা চাই।


আমার বিশ্বাস, এই দেশকে যারা ভালোবাসেন, এই দেশের যারা মঙ্গল চান, তারা নিশ্চয় আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন। আমাদের অনুপ্রেরণা দেবেন। পেছনে থেকে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যোগাবেন। এ দেশের সহজ-সরল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চাই।


পরিশেষে আমার প্রিয়তম কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো করে বলতে চাই:
অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির।
ভয়ে কাঁপে কা-পুরুষ লড়ে যায় বীর।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

mostofakamalbd@yahoo.com

Header Ad
Header Ad

বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে প্রাইভেটকারের চাপায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নূর মোহসীনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন৷

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ৷

আজ আদালতে আসামিদের জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী৷ আদালত জামিন ও রিমান্ড শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক কাইউম খান৷

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মুবিন আল মামুন (২০), মিরাজুল করিম (২২) ও আসিফ চৌধুরী (১৯)৷ তাদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ৷ রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী হাসান বাদী হয়ে দায়ের করা ওই মামলায় তাদের মাদক সেবন ও বহনের অভিযোগ আনা হয়৷

এর আগে শুক্রবার ডোপ টেস্টের পর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান জানান, মুবিনের শরীরে অ্যালকোহল ও গাঁজা, মিরাজুলের শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ তবে আসিফ চৌধুরীর শরীরে মাদকজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি৷

মাদক মামলায় পুলিশ বলেছে, ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে একটি বিদেশি মদের খালি বোতল ও এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গেছে৷

এর আগে শুক্রবার সড়ক পরিবহন আইনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা মাসুদ মিয়া৷

গত শুক্রবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে পূর্বাচল উপশহরের নীলা মার্কেটের সামনে ৩০০ ফুট সড়কে (কুড়িল-কাঞ্চন) পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে দাঁড়ানো অবস্থায় প্রাইভেটকারটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়৷ এতে ঘটনাস্থলে মারা যান বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ (২২)৷ গুরুতর আহত হন তার দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা (২২)।

Header Ad
Header Ad

আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে তীব্র শীত বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা দুদিন বৃষ্টি ঝরেছে। বৃষ্টি শেষে রোদ উঠেছে ঢাকার আকাশে। রোদ দেখা গেলেও কমেছে তাপমাত্রা। আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার সারাদেশের শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানায় তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যত্র তা সামান্য বাড়তে পারে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে শনিবার (২১ ডিসেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যা ০৬টা থেকে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে সাগরে অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, নিম্নচাপ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে সাগরে মিশে যাচ্ছে। পরবর্তী দুইদিন শীত কিছুটা বেড়ে যাবে। এছাড়াও মঙ্গলবার ও বুধবার বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে৷

তিনি বলেন, বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

এসময় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল দেশে সর্বোচ্চ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়। এছাড়া বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।

এ উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

মরহুমের রুহের মাগফেরাতের জন্য সোমবার দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকেলে ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

হাসান আরিফের প্রথম নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে সম্পন্ন হয়। শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজা শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্তমানে তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়েছে। হাসান আরিফের মেয়ে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর সোমবার রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ