রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ লেখা

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা এবং আমাদের অঙ্গীকার

গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। অপর তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে, আইনসভা, বিচার বিভাগ, ও আমলাতন্ত্র। বোঝাই যাচ্ছে গণমাধ্যমের গুরুত্ব ও অবস্থান কোথায়! স্বাধীন ও সার্বভৌম গণমাধ্যম ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। সরকার ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সরকার কোনো ফেরেস্তা দিয়ে পরিচালিত হয় না। সরকারের সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই গণমাধ্যমকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হয়।

আসলে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের পাহারাদার। রাষ্ট্রে অন্যায় অনিয়ম হলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি হলে তা ধরিয়ে দেয় গণমাধ্যম। সরকার ভুল পথে পরিচালিত হলে, ভুল কাজ করলে গণমাধ্যমই সঠিক পথ বাতলে দেয় যাতে সরকার সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। গণমাধ্যম কখনও সরকারের প্রতিপক্ষ নয়; বরং সহযোগী। কাজেই বলিষ্ট ও শক্তিশালী গণমাধ্যম ছাড়া রাষ্ট্রব্যবস্থা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। গণতন্ত্র স্থায়ী হয় না।

রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে গেলেও চতুর্থ স্তম্ভ শক্ত থাকলে রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর চতুর্থ স্তম্ভ নড়বড়ে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব আশাবাদী মানুষ। তারপরও আমি সামনে ঘোর অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। আঁধার কেটে নিশ্চয়ই আলো আসবে। কিন্তু সেটা কি প্রকৃতির নিয়মে হবে? নাকি কাউকে না কাউকে ভূমিকা পালন করতে হবে? গণমাধ্যমের পরতে-পরতে ঢুকে পড়া হলুদ সাংবাদিকদের বিতাড়ন করবে কে? কে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে বুকে আগলে রাখবে!

এখন সাংবাদিকতায় ভয়ঙ্কর সংকটকাল চলছে। এই সংকটের শুরু বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। ধীরে-ধীরে তা গভীর খাদের কিনারে এসে ঠেকেছে। এখনও সজাগ না হলে সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা হারিয়ে যাবেন। সাংবাদিকতার ডিকশনারি থেকে সততা ও পেশাদারিত্ব শব্দ দুটি বিলীন হয়ে যাবে। সেখানে জায়গা করে নেবে অসততা, হলুদ সাংবাদিকতা।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, হলুদ সাংবাদিকতার ভয়ে মানুষ তটস্থ। এক সময় মানুষ পুলিশকে খুব ভয় পেত। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তীক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বলা হতো, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা; আর পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা।

হলুদ সাংবাদিকদের কারণে এখন প্রবাদটির নতুন সংস্করণ হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে ৩৬ ঘা; আর সাংবাদিক (হলুদ সাংবাদিক) ছুঁলে ৭২ ঘা। কেউ বিশ্বাস করুন বা না করুন পরিস্থিতিটা এমনই দাঁড়িয়েছে। পুলিশও এখন সাংবাদিকদের ভয় পায়।

হ্যাঁ, এই ভয়টি আগেও ছিল। দুর্নীতিবাজ পুলিশের ঘুষের কাহিনি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা সাংবাদিকদের ভয় পেত। এখন দুর্নীতিবাজ পুলিশ আর হলুদ সাংবাদিক একাকার হয়ে গেছে। যেন হরিহর আত্মা। সঙ্গত কারণেই হলুদ সাংবাদিকদের দাপট অনেক বেশি। তাদের হুংকারে পেশাদার ও সৎ সাংবাদিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। অনেকে মান-ইজ্জত হারানোর ভয়ে পরিচয় দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন।

আমি নিশ্চিত, এ রকম বৈরি পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারছেন না সৎ সাংবাদিকরা। পেশায় আসার আগে আপনারা হয়তো ভাবতেন এক রকম; কাজ করতে এসে দেখছেন আরেক রকম। সাংবাদিকতার নামে হলুদ সাংবাদিকতা দেখে অনেকে হতাশায় চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। অনেকে ধৈর্য ধরে কোনোমতে টিকে আছেন। যারা টিকে আছেন তাদের অভিবাদন জানাই। তারা সত্যি সত্যিই এই পেশাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন।

আমার মনে হয়, সৎ সাংবাদিকদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলুদ সাংবাদিকতা। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দলকানা সাংবাদিক। গত এক দশকে এ দুটি সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যারা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে চান তারাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। অনেকে বলছেন, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? সবাইকে দিয়ে এই কাজ হবে না। তবে কাউকে না কাউকে তো আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা সেই আওয়াজ তুলতে চাই।

তবে এজন্য প্রয়োজন একদল সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক। এ কথা এ কারণে বলছি যে, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব ছাড়া সুসাংবাদিকতা হবে না। আগে মনেপ্রাণে এই তিনটি বিষয় ধারণ করতে হবে। সেটি না করতে পারলে এই পেশায় হলুদ সাংবাদিকতা আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। এক সময় সুসাংবাদিকতা শব্দটিই হারিয়ে যাবে। আমরা অনেক সময় ছোট পত্রিকা এবং সেখানে যারা কাজ করেন তাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু বড় গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা কতটা সুসাংবাদিকতা করছেন সেটি কি একবারও পরখ করে দেখেছি?

সাংবাদিকতা পেশার সামগ্রিক স্বার্থেই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। যারা এই পেশায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তারা টের পান, সাংবাদিকতার নামে কে কী করছেন? কে কত টাকা কিভাবে কামিয়েছেন কিংবা কামাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে অধিকাংশ সাংবাদিকের নামে বদনাম আছে। তারা পেশাকে কলঙ্কিত করছেন বলে সাধারণ মানুষও আজকাল অভিযোগ করে থাকেন। এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সুসাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই।

আগে আমাদের গুরুস্থানীয় সম্পাদকরা বলতেন, ’জানবে বেশি লিখবে কম।’ এখন সেই ধারনা উল্টে গেছে। এখন দেখা যায়, জানে কম লেখে বেশি। মানে কোনো ঘটনা সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই রিপোর্ট করে দেয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই লিখে দিতে হবে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। একজন রিপোর্টারের কলমের খোঁচায় অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আবার অনেক বড় উপকারও হতে পারে। মানুষের উপকারের বিষয়টিই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল সাধনই তো সাংবাদিকদের কাজ।

আমাদের মনে রাখতে হবে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে আমরা নতুন ভাবনা, নতুন পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করছি। আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ। হৃদয়ে আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এই দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ মন্ত্রী হতে পারতাম না। সচিব হতে পারতাম না। সম্পাদক হতে পারতাম না। বড় কোনো পদে চাকরি করতে পারতাম না। সেই ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলের মতো আমাদের চাকর-বাকরই থাকতে হতো।

আমরা বিশ্বাস করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা অবহেলিত, বঞ্চিত আর নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চাই। আমরা কোনো অন্যায়ের কাছে কিংবা কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করতে চাই না।

আমাদের স্লোগান হচ্ছে, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। এটিই আমাদের বিশ্বাস, আমাদের আদর্শ। এর বাইরে আমাদের অন্য কোনো নীতি-আদর্শ নেই। আমাদের এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে যারা সহযাত্রী হতে চেয়েছেন তাদের নিয়েই আমি আমার টিম গঠন করেছি।

আমরা জানি, চলার পথে অনেক বাধা আসবে। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা ভাঙবো কিন্তু মচকাব না। আমরা হোঁচট খাব কিন্তু আমরা থেমে যাব না। আমাদের এই অভিযাত্রায় দেশপ্রেমিক মানুষের সহযোগিতা চাই।


আমার বিশ্বাস, এই দেশকে যারা ভালোবাসেন, এই দেশের যারা মঙ্গল চান, তারা নিশ্চয় আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন। আমাদের অনুপ্রেরণা দেবেন। পেছনে থেকে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি যোগাবেন। এ দেশের সহজ-সরল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চাই।


পরিশেষে আমার প্রিয়তম কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো করে বলতে চাই:
অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির।
ভয়ে কাঁপে কা-পুরুষ লড়ে যায় বীর।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

mostofakamalbd@yahoo.com

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা

ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত। ছবি: সংগৃহীত

ডিজনির নতুন চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট’ লেবাননে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবিটিতে ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদতের অভিনয় করায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ আল-হাজ্জার সিনেমাটি নিষিদ্ধের সরাসরি নির্দেশ দেন। দেশটির চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ সংস্থাও গ্যাদতের উপস্থিতির কারণে সিনেমাটি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছিল বলে উল্লেখ করেছে লেবাননের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আন-নাহার এবং মার্কিন বিনোদনমাধ্যম ডেডলাইন।

ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি হামলা এবং গ্যাল গ্যাদতের প্রকাশ্য ইসরায়েল-সমর্থনের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈরুতভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবেশনা সংস্থা ইতালিয়ান ফিল্মস জানিয়েছে, গ্যাল গ্যাদতের নাম আগেই লেবাননের ‘ইসরায়েল বয়কট তালিকা’-তে যুক্ত ছিল। ফলে তার অভিনীত কোনো ছবি লেবাননে মুক্তি পায় না। ‘স্নো হোয়াইট’ও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ডিজনি ঘোষণা দেয়, লাতিন বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী রেচেল জেগলার ‘স্নো হোয়াইট’ চরিত্রে অভিনয় করবেন। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুক্তির আগেই বিতর্কের মুখে পড়ে সিনেমাটি, যার কারণে ডিজনি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানও সীমিত করে।

উল্লেখ্য, ‘স্নো হোয়াইট’ রূপকথাটি প্রথমবার সিনেমার রূপ পায় ১৯০২ সালে নির্বাক সংস্করণে। এরপর এটি একাধিকবার সবাক, অ্যানিমেটেড ও লাইভ-অ্যাকশন হিসেবে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়লো