বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গণমাধ্যমকর্মী চাকরি বিল সংসদে

বয়স ৫৯ হলেই অবসর!

গণমাধ্যম মালিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের সম্পর্ক ও তাদের মধ্যকার বিরোধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, নিম্নতম বেতন হার নির্ধারণ, গণমাধ্যম কর্মীদের কল্যাণ ও চাকরি শর্ত ও কর্মপরিবেশসহ গণমাধ্যম কর্মীদের আইনি সুরক্ষা প্রদানে ‘গণমাধ্যম কর্মী চাকরি শর্তাবলি বিল-২০২২ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

উত্থাপিত বিলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর অতিরিক্ত কাজ করালে ওভার টাইম দিতে হবে। এছাড়া কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বয়স ৫৯ বছর হলে বা ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ করার পর অবসর গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবসর গ্রহণকারীকে গণমাধ্যম মালিক প্রত্যেক পূর্ণ বছরের জন্য ৩০ দিনের মূল বেতন প্রদান করতে হবে।

সোমবার (২৮ মার্চ) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই বাছাই করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

উত্থাপিত বিলে যা আছে:

গণমাধ্যম কর্মীগণের শ্রেণিবিভাগ ও শিক্ষানবিশ: ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে গণমাধ্যমে নিয়োগকৃত গণমাধ্যম কর্মী শ্রেণি হবে অস্থায়ী বা সাময়িক, শিক্ষানবিশ এবং স্থায়ী চাকরি।

নিয়োগপত্র ও পরিচয় প্রদান: কোনো গণমাধ্যম মালিক নিয়োগপত্র না দিয়ে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবেন না। নিয়োগকৃত গণমাধ্যমকর্মীকে ছবিসহ পরিচয় পত্র দিতে হবে।

গণমাধ্যমকর্মীর বেতন কাল এবং বেতন পরিশোধের সময়: কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল ১ মাসের অধিক হবে না এবং পরবর্তী মাসের প্রথম সাত দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে।

কতিপয় ক্ষেত্রে কর্মকাল গণনা: কোন গণমাধ্যমকর্মী কোন গণমাধ্যমে পূর্ববর্তী ১২ মাসের বাস্তবে অন্যান্য ২৪০ দিন কাজ করে থাকলে ১ বৎসর এবং অন্যূন ১২০ দিন কাজ করে থাকলে তিনি ৬ মাস উক্ত গণমাধ্যমে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন বলে গণ্য হইবে।

মৃত্যুজনিত সুবিধা: যদি কোনো গণমাধ্যমকর্মী কোন গণমাধ্যমে মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে কোন এক বছর চাকরি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তাহলে গণমাধ্যম মালিক মৃত গণমাধ্যমকর্মীর কোনো মনোনীত ব্যক্তিকে বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তার উত্তরাধিকারীকে তার প্রত্যেক পূর্ণ বছরের বা উহার ৬ মাসের অধিক সময়ের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ দিনের এবং গণমাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় কর্মকালীন ‍দুর্ঘটনার কারণে পরবর্তিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের বেতন প্রদান করতে হবে।

কর্মঘণ্টা: সকল গণমাধ্যমকর্মীকে কোনো গণমাধ্যমে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা করা করাতে পারবে। উপধারা-১ এ যাই থাকুক না কেন কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজে নিয়োজিত করা যাবে তবে ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ের জন্য কাজের জন্য তাকে বিধি মোতাবেক অধিকাল ওভারটাইম ভাতা প্রদান করতে হবে।

ছাঁটাই ও ছাঁটাইকৃত গণমাধ্যমকর্মীর পুনঃনিয়োগ: কোনো গণমাধ্যম প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী থাকলে উক্তরূপ অতিরিক্ত গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করা যাবে, তবে উক্ত বিষয়ে সরকারকে অবিলম্বে ও লিখিতভাবে অব্যহতি করতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোনো গণমাধ্যমকর্মী কোনো গণমাধ্যম মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে ১ বছর চাকরি করে থাকেন তাহলে তাকে ছাঁটাই করার ক্ষেত্রে দুর্টি শর্ত মানতে হবে। (ক) ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখ করে তাকে এক মাসের লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১ মাসের মূল বেতন প্রদান করতে হবে। (খ) ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক বৎসর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল বেতন প্রদান করতে হবে।

অব্যাহতি: নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়িত সনদ দ্বারা শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে যে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা যাবে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো গণমাধ্যমকর্মী অন্যূন ১ বছরের অবিচ্ছিন্ন চাকরি সম্পন্ন করলে গণমাধ্যম মালিক তাকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বছরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ দিনের মূল বেতন প্রদান করবে।

দণ্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গৃহীতব্য ব্যবস্থাদী: কোনো গণমাধ্যমকর্মী যদি ফৌজদারি অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা ১ বছরের অধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বা অসদাচারণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বেতনে চাকরি হতে বরখাস্ত করা যাবে। অসদাচরণে অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে তদন্তকালীন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যাবে, যদি না বিষয়টি গণমাধ্যম বা গণমাধ্যম আপিল আদালতে বিচারাধীন থাকে। সাময়িক বরখাস্তের মোট মেয়াদ ৬০ দিনের অধিক হবে না। সাময়িক বরখাস্তকালে মালিক ওই গণমাধ্যমকর্মীকে তার সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের অর্ধেক খোরাকি ভাতা হিসাবে এবং অন্যান্য ভাতা পূর্ণ হারে প্রদান করা করতে হবে।

বরখাস্ত, ইত্যাদি ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক গণমাধ্যমকর্মীর চাকরির অবসান: কোনো গণমাধ্যম মালিক তার গণমাধ্যমে কর্মরত কর্মীকে চাকরি হতে অবসান ঘটালে ওই মালিককে স্থায়ী গণমাধ্যমকর্মীর ক্ষেত্রে ১২০ দিনের এবং অন্য গণমাধ্যমকর্মীর ক্ষেত্রে ৬০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করতে চাকরি হতে অবসান ঘটাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোনো গণমাধ্যম মালিক যদি বিনা নোটিশে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরির অবসান ঘটাতে চান সেই ক্ষেত্রে তিনি উপ ধারা (১) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশের মেয়াদের জন্য মূল বেতন প্রদান করে চাকরির অবসান ঘটাতে পারবেন। যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোনো স্থায়ী গণমাধ্যমকর্মীর চাকরির অবসান করা হয় সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্মীকে প্রত্যেক সম্পূর্ণ বছরের চাকরির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ দিনের মূল বেতনের বেতন প্রদান করবেন। ধারা-৪ এ বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১০ বা ততোধিক গণমাধ্যমকর্মীকে এক সঙ্গে চাকরি থেকে অবসানের বিষয়টি সরকারকে অবহিত করতে হবে।

স্বেচ্ছায় ইস্তফা প্রদান: কোনো স্থায়ী গণমাধ্যমকর্মী ৩০ দিনের এবং অস্থায়ী গণমাধ্যমকর্মীকে ১৫ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করে চাকরি হতে ইস্তফা প্রদান করতে পারবেন। যদি বিনা নোটিশে চাকরি হতে ইস্তফা দিতে চান তাহলে উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশে উল্লেখিত মেয়াদের জন্য মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গণমাধ্যম মালিককে প্রদান করবে।

প্রসূতিকালীন সুবিধা: কোনো নারী গণমাধ্যমকর্মী প্রসূতি ছুটির জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত সনদসহ আবেদন করলে গণমাধ্যম মালিক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছুটি আরম্ভের তারিখ অথবা সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুরঘরে প্রবেশের তারিখ হতে ৬ মাসের ছুটি পাবেন। সকল গণমাধ্যমে নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে আইনে।

শিশু কর্মী নিয়োগে বিধিনিষেধ: কোনো গণমাধ্যমে ১৮ বছরের নিম্ন বয়সী কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা যাবে না।

চাকরি হতে অবসর গ্রহণ: কোনো গণমাধ্যমে নিয়োজিত কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে তিনি চাকরি হতে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোনো গণমাধ্যমকর্মী ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ করার পর যে কোনো সময় তাহার সম্ভাব্য অবসর গ্রহণের ৩০ দিন পূর্ব লিখিত নোটিশ প্রদান করে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করতে পারবেন। তবে কোনো স্থায়ী গণমাধ্যমকর্মী চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করলে গণমাধ্যম মালিক অবসর গ্রহণকারী কর্মীকে প্রত্যেক পূর্ণ বছরের চাকরির জন্য অবসর সুবিধা হিসেবে ৩০ দিনের মূল বেতন প্রদান করবেন। এবং উক্ত অর্থ এই আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীকে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হবে।

ছুটি, চিকিৎসা সুবিধা ও ভবিষ্যৎ তহবিল গঠন: গণমাধ্যমে কর্মরত যে কোনো ব্যক্তি সাপ্তাহিক ১ দিন ছুটি ভোগ করবেন। পূর্ণ বেতনে প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে ১৫ দিন পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটি, তবে এই ছুটি কোনো কারণে ভোগ না করতে পারলে তা জমা থাকবে না এবং পরবর্তী পঞ্জিকাবর্ষে ভোগযোগ্য হবে না। পূর্ণ বেতনে একজন কর্মী প্রতি ১১ দিন পর ১ দিন অর্জিত ছুটি অর্জন করবেন। তবে এই এই ছুটি ভোগ না করলে তাহা অর্জিত ছুটি হিসাবে জমা থাকবে এবং চাকরি সমাপনান্তে জমাকৃত অর্জিত ছুটির অনূর্ধ্ব ১০০ দিন নগদায়নের সুবিধা প্রাপ্য হবেন। প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে তার চাকরির মেয়াদের অন্যূন ১৮ ভাগের এক ভাগ অংশ পূর্ণ বেতনে অসুস্থতাজনতি ছুটি প্রাপ্তির অধিকার হবেন। প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে পূর্ণ বেতনে এককালীন বা একাধিকবার অনূর্ধ্ব ১০ দিন পর্যন্ত উৎসব ছুটি ভোগ করতে পারবেন। কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে উৎসবের দিনে গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কর্মে নিযুক্ত করা যাবে তবে এই ক্ষেত্রে প্রতি কার্যদিনের জন্য ২ দিনের মূল বেতন বা ২ দিনের বিকল্প ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী ৩ বছর পরপর ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটিসহ ছুটিতে গমনের অব্যবহিত পূর্ববর্তি মাসের আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসেবে প্রাপ্য হবেন।

এসএম/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত