মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

আসোয়ান হাই ড্যাম থেকে আগলিকা দ্বীপের দূরত্ব পঁচিশ কিলোমিটারের মতো। পথে মোহামেদ তার মিশ্র আরবি-ইংরেজি ধারা বিবরণীতে ফিলাইয়ের আদি-অন্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। অতীতকালে নীল নদে বড় ধরনের বন্যার সময় ফিলাই দ্বীপে প্রেমের দেবতা আইসিসের মন্দিরটি এমনিতেই মাঝে মাঝে জলমগ্ন হয়ে পড়তো। ষাটের দশকে আসোয়ানের নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলে দ্বীপটি পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে ফিলাইয়ের মন্দির চিরদিনের জন্য জলের তলায় চলে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।

এ পর্যন্ত শুনে আমার মনে হলো, ভাগ্যিস ষাট দশকে মিশরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সরকার মন্দির ডুবিয়ে দেয়াকে ইসলামের বিজয় মনে করে হাইড্যামের স্লুইসগেট খুলে দেয়নি। বরং ইওনেস্কোর সহযোগিতায় মন্দির কমপ্লেক্সের আসল রূপ এবং বিন্যাস অনুসরণ করে আগের অবস্থান থেকে ফিলাই টেম্পল নতুন দ্বীপটিতে সরিয়ে এনেছে। এই পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে সকল জ্যামিতিক মাপজোক, পিলার ও প্রাচীর, অভ্যন্তরের দেয়ালচিত্র এবং শিলালিপিসহ সকল স্থাপনা এতটা যত্নের সাথে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যে আগে থেকে জানা না থাকলে স্থানান্তরের বিষয়টি কারো পক্ষেই বুঝতে পারা সম্ভব নয়।

আমরা যখন ফিলাই টেম্পল এনকোরেজে এসে পাহাড়ের গায়ে পার্কিং এলাকায় গাড়ি থেকে নামলাম তখন সূর্য কিছুটা পশ্চিম আকাশে আকাশে হেলে পড়েছে। দুপুরের রোদের কড়া তাপ আর নেই। দ্বীপে পৌঁছাতে হলে প্রবেশপথে যথারীতি পারের কড়ি পরিশোধ করেই নৌযানে উঠতে হবে। খুব দ্রুত মোহামেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে মেটাল ডিটেকটরের ছাঁকনি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ঘাটের পাথর বাধানো পথে এগিয়ে যাবার সময় দেখা গেল, দুপাশেই পসরা সাজিয়ে বসেছে মিনিয়েচার প্রত্নতত্ত্বের পসারি। তাদের আন্তরিক আহবান উপেক্ষা করেই আমরা একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় উঠে বসলাম। নৌকাটি ছোট হলেও সহজেই পনের কুড়িজনের জায়গা হতে পারে। গাইড এবং মাঝি মাল্লাসহ আমরা মাত্র দশজন। ইঞ্জিনে গর্জন এবং নীলের জলে ঢেউ তুলে আগলিকা দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছোট্ তরী ভেসে চললো। দ্বীপের নাম আগলিকা হলেও পুরো মন্দির কমপ্লেক্স এখনো ফিলাই নামেই পরিচিত, পুরোনো জায়গা ছেড়ে এলেও পুরোনো নাম একে ছেড়ে যায়নি।

মিনিট দশেকের এই জলপথের বাঁ দিকে কোথাও পাহাড়ের খাঁজের ভেতরে আবার কোথাও পাহাড়ের পায়ে ছোট বড় সুন্দর সব স্থাপনা, বাইরে রেলিং দিয়ে ঘেরা। ঘাটে ঘাটে স্পিডবোট অথবা ট্রলারের মতো ছোট নৌযান বাধা। ফিলাইকে কেন্দ্র করে এখানকার চমৎকার উপত্যকা জুড়ে গড়ে উঠেছে বিলাসি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল রিসর্ট কিংবা আয়েশী আমিরদের জন্য বিলাসবহুল ভিলা। পাহাড়গুলো দেখে মনে হয় লাইম স্টোন বা গ্রানাইট পাথরের টুকরো কেটে বিভিন্ন উচ্চতায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তেমনি অনেকগুলো পাথুরে পাহাড় পেরিয়ে নীলের দ্বীপের কাছাকাছি গতি শ্লথ হতে হতে দেখলাম দ্বীপের পাড়ে পাথরের বড় বড় চাঁই এবং ছোট ছোট ঝোপের মতো সবুজ গাছের বেষ্টনী। সম্ভবত দ্বীপের ভূমিক্ষয় রোধ করতেই এই ব্যবস্থা।

নৌকা থেকে ঘাটে নেমে একটা লোহার সেতু পেরিয়ে বাঁ দিকে খানিকটা হেঁটে পৌঁছে গেলাম ফিলাইয়ের মন্দির চত্বরে। সামনে দেবী আইসিসের বিশাল মন্দির আর দু পাশে দীর্ঘ কলামের সারি। প্রায় অক্ষত স্তম্ভগুলোতে খোদাই করা দৃশ্যচিত্র এবং নকশার কারুকাজ কয়েক হাজার বছর পরে এখনও টিকে আছে। আইসিসের মন্দিরের উঁচু দেয়ালে বড় আকারের দৃশ্যপট তার উচ্চতা ও নির্মাণশৈলীর কারণে বিস্ময় জাগায়।

ফারাও যুগের মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিলাই টেম্পল চারিদিকে জলপরিবেষ্টিত ছোট্ট সুন্দর দৃষ্টি নন্দন একটি দ্বীপ। এর চৌহদ্দি মাত্র সাড়ে চারশ মিটার দীর্ঘ এবং দেড়শ মিটার চওড়া। স্বল্প পরিসরের গ্রানাইট পাথরের ভিত্তিভূমিতে পলি মাটির স্তর জমে জেগে ওঠা ঊর্বর ভূখণ্ডে দিগন্ত রেখায় অপূর্ব দৃশ্য সৃষ্টি করে করে প্রাচীনযুগ থেকে গ্রেকো রোমান সাম্রাজ্যের সাতশ বছর এবং মধ্যযুগে মিশরে আরবের মুসলিম শাসনের প্রায় হাজার বছর পেরিয়ে আজ পর্যন্ত দেশি বিদেশি পর্যটকের কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভাই শেথের হাতে নিহত স্বামী ওরেসিসের জীবন ফিরিয়ে আনার জন্যে আইসিসের পূজায় নিবেদিত সর্বশেষ মন্দিরগুলোর একটি ফিলাই। আইসিস এবং ওরেসিসের পুত্র সন্তান হোরাস মিশরিয়দের গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। সেই কারণেই আইসিস ‘মাদার অফ গডস’ নামেও নামেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। আজকাল ‘মাদার অফ চ্যারিটি’ বা ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ বলে যেসব পদক, পুরস্কারের কথা শোনা যায় তা বোধহয় ফিলাই থেকেই এসেছে।

মোহামেদ যখন বাঁ দিকের কলামগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের চারজন সহযাত্রীকে ইতিকথা শোনাচ্ছেন তখন রানাভাই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়েছেন। আমি ছবি তুলতে তুলতেই দেখছিলাম, আইসিসের মন্দিরের সামনে দুজন তরুণ তরুণী নানা ঢংয়ে সেলফি তোলার কসরৎ করছে। হঠাৎ তরুণটি সামনে এগিয়ে এসে তার ভাঙা ইংরেজির সাথে যথেষ্ট বিনয় যুক্ত করে যুগলের দুই একটি ছবি তুলে দেয়ার অনুরোধ জানালো। মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে আমি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি না, তারপরেও বিদেশি তরুণের অনুরোধ উপেক্ষা না করে দু তিনটি ছবি তুলে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেবার সময় জিজ্ঞেস করে জানলাম যুগলের আগমন রাশিয়া থেকে।

মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পাথরের প্রশস্ত দেয়াল, ভারি কলাম ও বিমসহ পুরো কাঠামো দেখে এর হাজার হাজার বছর টিকে যাবার মজবুত নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। বোঝা যায় সে সময়ের স্থাপত্যের শক্তি ও স্থায়ীত্বের রহস্য। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মন্দিরের দেয়ালের গায়ে রিলিফের কাজ এবং হায়রোগ্লাফিক লিপিতে উৎকীর্ণ কথা কাহিনি কিংবা কোনো তথ্য পরিচয়। শিল্প সুষমায় সমৃদ্ধ প্রতিটি ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে জীবনযাত্রার নানা প্রসঙ্গ। অভ্যন্তরের কক্ষগুলোতে আলোর পরিকল্পিত বিন্যাসের ফলে রিলিফের দৃশ্যাবলী দর্শনার্থীদের সামনে ফুটে উঠেছে তার পূর্ণ রূপ বৈচিত্র্য নিয়ে। ভেতরের একটি কক্ষে পাথরের বেদী আছে কিন্তু কক্ষের দেয়ালচিত্র ছাড়া এই বেদীতে অথবা অন্য কোনোখানে কোনো মূর্তি নেই। প্রাচীন দেব দেবী মূর্তির বিকৃতি অথবা পুরোপুরি ধ্বংসের কাজটি সম্পন্ন করেছে আদিযুগের খ্রিস্টান ধর্মধারী এবং তাদের অনুসারিরা। খ্রিস্টান শাসনামলেও দীর্ঘকাল সনাতন ধর্মের চর্চা টিকে ছিল ফিলাইয়ের মন্দিরকে কেন্দ্র করে এবং এটিই ছিল শেষ সনাতন মন্দির। দেশ থেকে পৌত্তলিকতার চিহ্ন মুছে দিয়ে যিশুর রাজত্ব কায়েম করার পবিত্র কর্ম সম্পাদন করে স্বর্গ লাভের অভিপ্রায়ে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন মন্দির এবং মন্দিরর পূজা পাট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফিলাইয়ের মূল মন্দিরটি তখন ব্যবহৃত হতো গির্জা হিসাবে। তবে শেষপর্যন্ত ফারাওদের দেব-দেবী অপসারণ করে মা মেরি বা স্বয়ং যিশুখ্রিস্টের মূর্তি কেন স্থায়ীভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি মোহামেদের কাছে সে প্রশ্নের কোনো উত্তর ছিল না।

প্রথম মন্দির পার হয়ে ভেতরের আয়তকার চত্বরে প্রবেশের পরেও দুপাশের দীর্ঘ কলামের সারি এবং সামনে আরো একটি বিপুলায়তন ভবন স্থাপত্যের চিরায়ত শৈল্পিক নির্মাণরীতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ভবনের বাইরের চত্বরে ঠিক নদীর ধার ঘেঁষে আরো একটি ছোট আকারের স্থাপনা। সন্দেহ নেই এটিও কোনো নির্ধারিত দেবতার উপাসনালয়। বর্তমানে এর স্তম্ভ এবং কার্নিশ থেকে কিছু অংশ খসে পড়েছে, কিন্তু তাতে কোনো সৌন্দর্য হানি হয়নি, বরং বেশ একটা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক গাম্ভীর্য সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি খেজুর গাছ পাথরের তৈরি ছোট কয়েকটি বেদী এবং নদীর বুকে কিছুটা দূরে এবড়ো থেবড়ো পাথরে সাজানো পাহাড়ের চুড়া মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এই স্থাপনাটির নিচেই নদীতে চলছে জলযান আর মন্দির ঘিরে নানা দেশের বিভিন্ন বয়সের পর্যটকের ভিড়।

পশ্চিম আকাশে পাহাড়ের আড়ালে সূর্য অস্তাচলে গেলেও নদীর জলে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে লাল রঙ। আমরা দুজন ছোট মন্দিরটি থেকে বাঁ দিকে ঘুরে নদীর পাড় ঘেঁষে পুরো পশ্চিম চত্বর ঘুরে এলাম। বন্যার পানি এবং নদীর ভাঙন ঠেকাতে এদিকে বেশ খানিটা অংশে পাথরের স্ল্যাব বসানো। ফিলাই মন্দির ঘুরে দেখার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এসেছিল। ঘড়ির সময় অনুসারে আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচ মিনিট দেরি করে ফেলেছি। পেছন দিকের সংকীর্ণ পথ দিয়ে আমরা আবার প্রথম আইসিসের মন্দির চত্বরে এসে পড়লাম। এদিকে দলের অন্য পাঁচজনের কারো দেখা নেই। আমাদের ভরসা ছিল রানা ভাই যখন আছেন, সেক্ষেত্রে মোহামেদ তার দলবল নিয়ে নিশ্চয়ই এই প্রাচীন মন্দিরের প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষে আমাদের ফেলে রেখে চলে যেতে পারবে না।

তাড়াহুড়ো করে ঘাটে পৌঁছে কারোরই দেখা পেলাম না। গোটা দশ বারো নৌকা ভাসছে, কিন্তু দুই একজন নাবিক বা তাদের সহকারি ছাড়া কোনো নৌকাতেই যাত্রী নেই। তাহলে আমাদের নৌকা কি এরই মধ্যে ছেড়ে চলে গেছে! পারের কড়ি দিয়ে নৌকায় উঠলেও মাঝি-মাল্লার নাম বা নৌকার নম্বর কোনোটাই তো জেনে নিইনি। তারপরেও দ্রুতই নিজেদের নৌকা খুঁজে পেলাম। আগলিকা দ্বীপে আসার সময়েই লক্ষ করেছিলাম, নৌকার পাটাতনে যে মলিন কার্পেট পাতা, তাতে ডোরাকাটা বাঘের ছাপ। আমি বোধহয় কাউকে বলেও ছিলাম, আসোয়ানের মরুভূমিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এলো কোথায় থেকে! সেই বাঘের ছাপওয়ালা নৌকা ছোট ছোট ঢেউ তুলে জলে ভাসছে, কিন্তু চালক বা যাত্রী কারোরই ফিরে যাবার তাড়া আছে বলে মনে হলো না।

ঘাটে পৌঁছাবার সংযোগ সেতু পার না হয়ে আমরা নৌকা থেকে নেমে ডকের উপরে দাঁড়িয়ে সহযাত্রীদের খুঁজতে যাবো কিনা ভাবছিলাম। বিস্তৃত পাটাতনে বিচিত্র স্যুভেনিয়ার ছড়িয়ে বসা ফেরওিয়ালাদের একজন আমাদের ধরে বসলো। প্রথমেই ‘হ্যালো ইন্ডিয়া’ বলে খাতির জমাতে চেষ্টা করতেই বললাম ‘নো ইন্ডিয়া।’ এরপরের প্রশ্ন ‘হোয়াট কান্ট্রি?’ বললাম, ‘বংলাদেশ’! প্রথমে বিড়বিড় করে নিজের মনে কয়েকবার আউড়ে নিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে প্রতি এক দুই মিনিট পরপরই সে চিৎকার করে বলতে শুরু করলো ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’! সে কি প্রথমবার আমাদের দেশের নাম শুনে তা মুখস্ত করার চেষ্টা করছিল, নাকি বাংলাদেশ শব্দের দ্যোতনায় মুগ্ধ হয়ে বারবার ‘বাংলাদেশ বলে স্লোগান দিচ্ছিল জানি না, তবে সে তার জিনিসপত্র বিক্রির চেষ্টা না বাংলাদেশের নাম গানে মগ্ন থাকায় আমরা বেশ মজা পেয়েছিলাম।

আমরা যখন সেতু পার হয়ে উপরে উঠতে যাচ্ছি তখন মোহামেদ তার তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে ফিরে আসছে। রানা ভাই তখনও বেশ কিছুটা দূরে। একে একে সকলে উঠে পড়লে এবারে ফিলাই মন্দির হাতের বাঁয়ে রেখে দু পাশের পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পথ করে নৌকা চলতে শুরু করলে রানা ভাই বাহরাইন এবং দুবাই থেকে আসা দুই সহযাত্রীর সাথে আলাপ জুড়ে দিলেন। আমি দেখছিলাম সন্ধ্যার ম্লান আলোয় পশ্চিমের লাল আকাশের পটভূমিতে ফিলাই মন্দিরের পিলারগুলো কী অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য রচনা করেছে! ‘মিশরের মুক্তা’ নামে খ্যাত এই মনোরম দ্বীপে না এলে কখনোই এই দৃশ্যের সাথে পরিচয় ঘটতো না।

ফিলাই এনকোরেজ থেকে আসোয়ান শহরে পৌঁছাতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগেনি। এরই মধ্যে সড়কের বাতিগুলো জ্বলে উঠেছে। আগেই কথা ছিল আমরা কোনো একটা ডিপার্টমেন্ট স্টোরে নেমে যাবো। নির্দেশনা অনুসারে মোহামেদ আমাদের আল রায়াহ ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সামনে নামিয়ে দিয়ে বাকি চারজনকে ঘাটে পৌঁছে দিতে যাবার সময় বলে গেল তোমাদের ক্রুইজ শিপ ওই যে দেখা যায়, এখান থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে। আমাদের যে কোনো মাঝারি ধরনের ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মতো ডাল-ডাল, মাছ-মাংস, শাক-সবজির মতো খাদ্য পানীয় থেকে শুরু করে প্রসাধন সামগ্রী, রান্নার সরঞ্জাম, বাসন-কোসন, প্রয়োজনীয় সব কিছুই এখানে বিভিন্ন অংশে নির্দিষ্ট তাকে সাজানো। আমরা আসলে নির্ভেজাল বোতলজাত পানি অর্থাৎ ড্রিংকিংওয়াটার কিনতে এসেছিলাম।

(চলবে)

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল